সাতক্ষীরায় মান্দারবাড়িয়া চরে বিএসএফ কর্তৃক পুশ ইন ৭৮ জন, উদ্ধার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর জবিতে সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ নোয়াখালীতে ১৩ মামলার আসামি যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২ অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে জাবি ছাত্রদল নেতা হিরন বুধবার চট্টগ্রাম আসছেন প্রধান উপদেষ্টা সুন্দরবনের চরে পুশইন ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, তিনজন কারাগারে ১১ মাস বয়সী শিশুর করুণ মৃত্যু: বালতির পানিতে পড়ে প্রাণ গেল মরিয়মের চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু আন্দোলনের নামে জবির মেডিক্যাল দখল শিক্ষার্থীদের শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভারতীয় মদ উদ্ধার, পিকআপ আটক অনশনের ১৮ ঘন্টায়ও নেই প্রশাসনের সাড়া,অসুস্থ একাধিক শিক্ষার্থী নতুন বাজেটে বাস্তবভিত্তিক এডিপি গ্রহণ করা হবে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এনবিআর বিলুপ্তির কারণ জানাল সরকার নলছিটিতে খালের পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস জয়পুরহাটে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্টের কাঙ্খিত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ইটভাটার বিরুদ্ধে শৈলকুপায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১০০ লিটার বাংলা মদ ধ্বংস গোয়ালন্দে কৃষান-কৃষানীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হলো “পার্টনার কংগ্রেস” আদমদীঘিতে গৃহবধূ রহস্যজনক নিখোঁজ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনের নামে জবির মেডিক্যাল দখল শিক্ষার্থীদের


আবাসন ভাতা, হল নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই প্রেক্ষিতে গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে বেড ও বালিশ নিয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী শের আলীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের একটি কক্ষে অবস্থান শুরু করেন তারা। এরপর থেকে তিন সপ্তাহ পার হলেও মেডিক্যাল সেন্টারের ওই কক্ষ ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা।



মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিক্যাল সেন্টারের ওই কক্ষে অবস্থান করছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। থাকার জন্য সেখানে টানানো হয়েছে মশারি। এছাড়া দড়ি বেঁধে কাপড় শুকানোর ব্যবস্থাও করেছেন তারা। এর আগে মেডিক্যালের ওই কক্ষের একটি পাত্রে সিগারেটের ফিল্টার ও ছাই রাখা একটি ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে।



এ বিষয়ে মেডিক্যালে অবস্থানরত অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহান বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেডিক্যাল সেন্টার ছাড়বো না।” মেডিক্যাল সেন্টারে সিগারেটের ফিল্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এগুলোর বিষয়ে আমি জানি না।”



অবস্থানরত শিক্ষার্থী শের আলী বলেন, আমরা মেডিক্যাল সেন্টার থেকে খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবো। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এখানে ছিলাম ,এখন আর যেহেতু কাথাবালিশ কর্মসূচি নেই এজন্য ২/৩ দিনের মধ্যে ওইটা ছেড়ে দিবো।



তিনি আরো বলেন, মেডিকেলের আমরা যে রুমে আছি এখানে খুব বেশি রোগী আসেনা।মোডিক্যাল সেন্টারের যেখানে ডাক্তার বসে ওখানে  দুইটা বেড আছে ওখানেই থাকতে জরুরি চিকিৎসা নেয়া শিক্ষার্থীরা।মেডিক্যাল সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সিগারেট সেবনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আসলে এমন কিছু দেখিনি। সিসি ক্যামেরা চেক করলেই সবটা জানা যাবে।



দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। মো. মামুন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আন্দোলনের অনেক ভাষা রয়েছে, এভাবে মেডিক্যাল ওয়ার্ড দখল করে আন্দোলন চলতে পারে না।” এছাড়াও শিক্ষার্থীরা নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছে। সুতরাং মেডিক্যালে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উচিত মেডিক্যাল সেন্টার ছেড়ে দেওয়া।



এ বিষয়ে সেন্টারের উপ-চিকিৎসা কর্মকর্তা মিতা শবনম বলেন, “তারা বলছেন তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবস্থান করছেন। ফল না পাওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, তারা এসে কথা বলেছিলেন, তবুও তারা ওয়ার্ড ছেড়ে যাননি।”



তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি ইমারজেন্সি বেড আছে, যেখানে হয়তো কোনো জরুরি রোগী এলে আমরা সেবা দিতে পারি। কিন্তু যদি এমন কোনো শিক্ষার্থী বা একাধিক শিক্ষার্থী আসেন যাদের ওয়ার্ড প্রয়োজন, তখন তো বিষয়টি সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।”

Tag
আরও খবর