প্রচন্ড তাপদাহ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে খাদ্য ও পানীর সংকট রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান পৈত্রিক সম্পত্তির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরিষাবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমিদাতার সন্তানের বুকফাটা কান্না। বগুড়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড মধুপুরে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচালিত স্বপ্নজয়ী স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ শৈলকুপার কুশবাড়ীয়া গ্রামে যোগদান অনুষ্ঠান তীব্র গরমে সমুদ্র স্নানে স্বস্তি পর্যটকদের তীব্র গরমে সমুদ্র শহরে শরবত ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করলেন শহিদুল হক সোহেল মেয়র মাহাবুবের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ শাজাহানপুরে মাটি ব্যবসায়ীদের দৌড়ত্ব থামাতে পারছেনা প্রশাসন বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফ্যান নষ্ট থাকায় গরমে বিপাকে ভর্তিকৃত রোগীরা মির্জাগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীতে উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিএনপি ফাইনাল খেলার প্লেয়ার না

আমির হোসেন আমু: ফাইল ছবি



◾ নিউজ ডেস্ক 


ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। শুক্রবার এক সমাবেশে তারা বলেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার আসার আর কোন সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপিকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পরামর্শ দিয়ে নেতারা আরও বলেন, আমরা নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা চাইনা। কিন্তু এমন নির্বাচন নিয়ে অপচেষ্টা হলে ১৪ দল ঘরে বসে থাকবে না। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা রাজপথে তা প্রতিহত করা হবে। 


গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যহত করতে বিএনপিসহ দেশবিরোধী অপশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে গতকাল বিকালে রাজধানীর ডিপ্লমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। 


সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের পেতাত্মা হিসেবে এই দেশে রাজনীতি করছে। মির্জা ফখরুলের মাধ্যমে পাকিস্তানের জয়গানের মধ্য দিয়ে সেই থলের বিড়ার বেড়িয়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন-নৈরাজ্যের মূল লক্ষ নির্বাচন নয়। তাদের মূল লক্ষ দেশে অরাজনৈতিক-অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আবার ক্ষমতায় যাওয়া যায় কিনা সেই হিসাব-নিকাশ। কিন্তু সেই হিসাবে এখন অনেক গড়মিল। পদ্মা-মেঘনায় অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।


বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, তাদের প্রেতাত্মারাই তথাকথিত দল গঠন করে দেশে বারবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অরাজনৈতিক সরকার গঠনের পায়তারা করেছে। আজ যদি তারা মনে করেন, এভাবে এগোতে পারবেন, তাহলে ভুল করছেন। তারা ফাইনাল খেলতে চায়। কিন্তু ফাইনালের আগে যে লীগ খেলতে হয়; সেই লীগ খেলতে গিয়েই তাদের পা ভেঙে যাবে। কারণ আপনারা ফাইনাল খেলার প্লেয়ার না। 


বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করে আমু আরও বলেন, জনগণ আপনাদের ভোট দেবে না তা আপনারা জানেন। তাই নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করতে চান না। সেজন্য ছলে-বলে-কৌশলে সবসময় নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চান। সরে আছেন এবং আগামীতেও থাকবেন। এটা আমরা জানি এটা আমরা বুঝি। 


বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা নৈরাজ্য চাইনা, বিশৃঙ্খলা চাইনা, কিন্তু বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আমরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তা প্রতিহত করবো। জনগণের সহায়সম্পত্তি ক্ষতি হতে দেবো না। 


বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আমু বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) বিএনপিকে বারবার সুযোগ দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপিকে কেউ বাধা দেবেন না। কিন্তু বিএনপি তো বাধা চায়। তারা পুলিশের গায়ে পেট্রোলবোমা মারে, ইট মারে না।


যাতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। যাতে পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে। তাহলে বিএনপি বলতে পারে তাদের আন্দোলনে পুলিশ আঘাত করেছে। কিন্তু আমরা জানি, সব জায়গায় প্রথমে তারাই আঘাত করে; এ কারণে তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাদের এসব নৈরাজ্য সৃষ্টির সময় শেষ। আগামীতে এসব নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য ১৪ দল সজাগ, সচেতন এবং প্রস্তুত। 


সমাবেশে ১৪ দলের অন্যতম শরিক না বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বিএনপি বিগত দিনের নির্বাচন নিয়ে প্রহসন করেছে। আজ আবার সেই খেলায় মেতে উঠেছে। তারা আবার তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়কের দিন শেষ হয়েছে। তাদের সামনে এখন একটাই মাত্র পথ খোলা আছে, সেটি হচ্ছে নির্বাচন। যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে বিশ্বাস করেন; তাহলে আগামী নির্বাচনে আসুন। নির্বাচন ঘিরে যেকোনো ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ১৪ দলের নেতাকর্মীদের ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান মেনন। 


আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুকল বশর মাউজভান্ডারি, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।


বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীরা লাঠির মাথায় পতাকা বেধে অংশ নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মায়া চৌধুরী বলেন, কিভাবে তারা লাঠি নিয়ে সমাবেশে আসলো সেটা প্রশাসনকে দেখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যারা আন্দোলনে জয়ী হয় তারাই নির্বাচনেও জয়ী হয়। আজ থেকে আমরা রাজপথে নেমেছি বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাপথ থেকে সরবো না। 

আরও খবর





6627269844851-230424091016.webp
বিএনপির পর আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত

৩ দিন ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে