জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, কথা বলতে পারাটা, অধিকার আদায়ের হচ্ছে প্রথম ধাপ। মায়ের গর্ভ থেকে যখন সন্তান জন্মলাভ করে, সে সন্তান যখন কথা বলতে পারেনা। কিন্তু সে তার যে ক্ষুধা লাগছে, তার দুধ প্রয়োজন, সে কথাটা কিন্তু তার কাঁন্নার মাধ্যমে তার মাকে জানান দেন যে তার কিছু একটা প্রয়োজন! কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আপনারা ওরাও সম্প্রদায়ের এতোগুলো মানুষ! আপনারা এখন পর্যন্ত জাতিগতভাবে কি প্রয়োজন? সেকথাগুলো আপনারা কোথাও সাহসের সাথে মুখ ফুটে বলতে পারেন নাই। স্বাধীনতার ৫০বছর পার হয়ে গেলো, এতোদিনে আমরা আমাদের কমসংখ্যার মানুষের যে জাতিগোষ্ঠী আছে বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে, বাংলাদেশের যেকোন নীতিনির্ধারণে, বাংলাদেশের অফিস-আদালত শুরু করে, প্রত্যেক জায়গায় আমরা দেখতে চাই-আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওরাও সম্প্রদায়ের মানুষেরা শিক্ষিত হয়ে সেইসব জায়গাতে গিয়ে তাদের সম্প্রদায়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, বাংলাদেশের হয়ে কাজ করতে পারে।
শনিবার (৩ মে) রংপুরের পীরগাছায় ইটাকুমারী ইউনিয়নের সোমনারায়ণ গ্রামে ওরাও সম্প্রদায়ের সাথে বৈশাখের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের হয়ে (ওরাও সম্প্রদায়) যতগুলো জায়গায় বলা সম্ভব! আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আপনাদের কথাগুলো বলতে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশে এমন একটি রাজনীতি করতে চাই- যেখানে জাতিগতভাবে সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে তার উপর কোন নিপীড়ন-নির্যাতন হবেনা। জাতিগতভাবে সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে কেউ রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন বৈষম্যের শিকার হবেনা। শুধুমাত্র জাতিগতভাবে সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে নিজের ভাষা, নিজেদের সংস্কৃতি সবকিছুতে বিলীন করে দিতে হবে-এই রাজনীতি আমরা বাংলাদেশে হতে দিতে চাইনা। ওরাও সম্প্রদায়ের মানুষ তারা তাদের নিজের ভাষায় কথা বলবে। তারা নিজেদের সংস্কৃতি পালন করবে। একই সাথে তারা বাংলাদেশের মূলধারায় সবগুলো জায়গায় যেখানে যেখানে প্রতিনিধিত্ব করা যায়। সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিত্ব প্রত্যেক জায়গায় তাদের ন্যায্য হিস্সা বুঝে পাবে-এই রাজনীতি বাংলাদেশে করতে চায়- জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন একই উপজেলার পারুল ইউনিয়ন যুব সমাজের উদ্যোগে একদিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানজুড়ে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক শামিম হোসেন, ফারদিন এহসান মাহিম, আলমগীর কবির, তৌফিক আহমেদ, ডা. একরামুল হক, শাকিল সরকার সহ জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ।