জাগো মুসলমান - আর. এম. কারিমুল্লাহ আমরা খামেনিকে এখনই হত্যা করব না: ট্রাম্প যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি জানভির মিউ মিউ লুকে লন্ডনের ফ্যাশন সন্ধ্যায় ঝলকানি লাখাইয়ের গোপিনাথ লিবিয়ায় অপহরণের শিকার ; শোনালেন নির্যাতনের কাহিনী শান্তিগঞ্জে জামায়াতের সাংগঠনিক ও বায়তুলমাল পক্ষের প্রস্তুতি সভা ক্ষেতলালে সরকারি পুকুর লীজকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাকে মারধর কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে দু'জনের মৃত্যু ইশরাকের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল অফেন্সের’ অভিযোগ আসিফ মাহমুদের শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি, চালকের আসনে বাংলাদেশ তেহরানে দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে: পররাষ্ট্রসচিব সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৪৪ জন অবশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো জিল্লুর রহমানকে দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স১০০ শয্যায় দাবীতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন রাজশাহী কলেজ পাঠকবন্ধুর ঈদ পুনর্মিলনী ও আম উৎসব অনুষ্ঠিত লালপুরে ভেজাল আইসক্রিম তৈরির দায়ে ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুই মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

মো. ফরমান উল্লাহ - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 17-06-2025 11:34:20 pm


কিশোরগঞ্জের  নিকলী উপজেলার  বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই। তিনি উপজেলার গুরুই  গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর বাবার নাম সোনাফর মিয়া এবং মায়ের নাম দুঃখী বিবি। সখিনা নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তার স্বামী   কিতাব আলী মারা যান । নিকলীতে সখিনা বেগমকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া গ্রামে তার ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের কাছে থাকতেন।

আজ  মঙ্গলবার(১৭ জুন)  ভোরে হিলচিয়া বড়মাইপাড়া গ্রামে ভাগ্নির বাড়িতে ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যু বরন  করেন।  আজ মঙ্গলবার  আসর নামাজ বাদ  সখিনার গ্রামের বাড়ি গুরুই ঈদগাহ মাঠে জানাজা  নামাজ শেষে শাহী মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।


১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী এবং দেশীয় রাজাকারদের হাতে শহীদ হন। ভাগ্নের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধ পরায়ণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্নার কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে  ফাঁকে তিনি রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন।

একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। আর সেই দা  দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সখিনা বেগমের সেই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে বলে জানা যায়।

আরও খবর