লাখাই উঠেছে তালের শাঁস,প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর।
লাখাই উঠেছে তালের শাঁস,প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর।
জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় 'মধু মাস'। এ মাসের আগমন ঘঠতেই হরেক রকমের ফল বাজারে ওঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বাজারে আম, লিচু, কাঠালসহ হরেক রকমের ফলের দেখা মিলছে। তার মধ্যে নতুন করে দেখা মিলছে তালের শাঁস। প্রচন্ড তাপদাহে চাহিদার পাশাপাশি তাল শাঁসের কদর বেড়েছে। সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় এ সময় বিভিন্ন বয়সী মানুষের পছন্দের তালিকায় এটি জায়গা করে নিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,৭ই মে(বুধবার) লাখাই উপজেলার বুল্লাবাজারের চৌরাস্তার মোড়ে আব্দুর রহমান তালের শাঁস বিক্রি করছেন, তালের শাঁস কোথায় থেকে এনেছেন জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে এনেছি,কত টাকা বিক্রি করছেন? জানতে চাইলে বলেন, ৩০টাকা পিছ।
এ ছাড়াও লাখাইয়ের বাজারের বিভিন্ন ফুটপাতের রাস্তার মোড়ে বিক্রেতারা শাঁস কেটে রাখছেন। কাটা শেষ হতে না হতেই ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন, এ ভাবেই বিভিন্ন হাটবাজারে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে তালের শাঁস
বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিবছরই এ সময়ে আমি তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি। গরমের এ - দিনে তালের শাঁস বিক্রিও হয় ভালো। বেশ চাহিদাও রয়েছে। পাশাপাশি দামও ভালো। প্রতিটি - তাল শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় দরে বিক্রি করছি। তালের ভিতরে কখনও ৩টি আবার কখনও ২টি শাঁস থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি করে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লাভ হয়।
বামৈ বাজারের তাল বিক্রেতা - আলতাফ মিয়া বলেন, সব বয়সী মানুষের - কাছে প্রিয় তালের শাঁস। আবার - মৌসুমি ফল বলে শখের বশেও অনেকে এটি খায়, দামেও বেশ সস্তা। তাই বাজারে এর কদরও বেশি।
তালের শাঁস কিনতে আসা জসিম জানান, বছরের এই প্রথম সময়ে তালের শাঁস খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গরমের দিনে তালের শাঁস খুবই উপকারী। তাই কিনলাম। একটু দাম বেশি, তারপরও ছেলেমেয়েদের খাওয়ার জন্য নিলাম।
স্বাস্থ্যবিদদের মতে , তালের শাঁসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ, পানি ও আঁশ রয়েছে। ভ্যাপসা গরমে শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তালের শাঁস খুবই উপকারী। ফলটির রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণও।