ঘাটাইল ব্রাহ্মণশাসন সরকারি কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে আজ (৭ই মার্চ-২০২৪ তারিখে) বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ-এ প্রদত্ত কালজয়ী ভাষণের স্মরণে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস” ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে শহীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পর আলোচনার প্রথমেই ৭ই মার্চ ভাষণের উপর নির্মিত প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অত্র কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ৭ই মার্চ ভাষণ দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্বর করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার মো. ইয়াকুব আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শাহানা আক্তার, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ শরীফ সিদ্দিকী।
৭ই মার্চ ভাষণ উপলক্ষে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে আলোচকবৃন্দ বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। উক্ত আলোচনায় বক্তব্য প্রদান করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগরে প্রভাষক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ শরীফ সিদ্দিকী, বাংলা বিভাগের প্রভাষক নজরুল ইসলাম, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শাহানা আক্তার, সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র কলেজের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক আ.ন.ম বজলুল কাদির রতন ।
বাঙালির অধিকার আদায়ের সকল গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা নিষ্ফল হবার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলার নিষ্পেষিত মুক্তিকামী জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন আলোচকবৃন্দ আরো মন্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্মা করেছিল, বিশ্বের ইতিহাসে তা একান্তই বিরল। আর সেজন্যেই ইউনেস্কো ভাষণটিকে মানবজাতির একটি প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
পরিশেষে, অধ্যক্ষ উপস্থিত সবাইকে ৭ই মার্চের ভাষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং ঐক্য ও সংকল্পের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান এবং বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশা করে সমাপনী ঘোষণা করেন।
২ দিন ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১২ দিন ৬ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
২৫ দিন ৪ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
২৯ দিন ৭ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৩৫ দিন ৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩৯ দিন ২ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৪০ দিন ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে