ঠাকুরগাঁও-লাহিড়ী- নেকমরদ রুটে বাস সার্ভিস চালুর দাবী নোয়াখালীতে ট্রেনের দাবিতে ছাত্র-জনতার রেলপথ অবরোধ মানববন্ধন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের ১৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত রাবিতে চান্স পেলো সাংবাদিকের পুত্র নাজমুস সাকিব লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ পুলিশের জালে আটক ৩। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক তারেক রহমান লোহাগাড়া উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনু্ষ্ঠিত। ক্ষেতলাল প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজার সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী নির্বাচিত কুষ্টিয়ায় মাদক সম্রাজ্ঞী কামিনী গ্রেপ্তার পীরগাছায় মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে চার বছরের শিশু নিহত মাওলানা রইস উদ্দিন হতাকাণ্ডের বিচার ও ইসলাম বিদ্বেষী নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন তুহিনের মুক্তির দাবিতে ডোমারে তাঁতী দলের বিক্ষোভ ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত "পুড়াখালী তা'লিমুল কুরআন মাদ্রাসা"। চোরাই ১২ টি রেল লাইনের পাতের খুঁটির ৬টি ফেরৎ দিলেও বাকীগুলো উদ্ধারের চেষ্টা নেই ★ প্রশাসন চুরি ও উদ্ধার ঘটনাই জানেন না ★ খুঁটি উঠানো ও চোরাই পথে বিক্রয়ের নায়ক মইজুদ্দীন ধরা ছোঁয়ার বাইরে কথা বলতে পারাটা, অধিকার আদায়ের প্রথম ধাপ : পীরগাছায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ডোমারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে গ্রেপ্তার-১ জবির দুই হলের প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে:- উপাচার্য লালপুরে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস পালন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়: ড. আলী রীয়াজ সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

ভালুকায় অবৈধ করাতকলের থাবায় নিধন বনাঞ্চল, নির্বিকার বনবিভাগ।



ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:- ভালুকা উপজেলায় অবৈধ ভাবেই চলছে প্রায় শতাধিক করাতকল। সরকারি কোন অনুমোদন ছাড়াই বছরের পর বছর এভাবে চলে আসলেও নির্বিকার বনবিভাগ। ফলে করাতকলের থাবায় নিধন হচ্ছে বনজ, ফলজ, ওষুধি সহ নানা প্রজাতির গাছ এবং ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য,আর বিলুপ্ত প্রায় পশু পাখির অভয়ারণ্য বাসস্থান।


 সরেজমিনে তদন্তে জানাযায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বনাঞ্চলের আশপাশে অবৈধভাবে এসব করাতকল স্থাপন করা হলেও তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করছেন সমিল মালিকদের কাছ থেকে।


সংরক্ষিত বনের ভিতর বা আশেপাশে করাতকল স্থাপনের নিয়ম না থাকা সত্যেও উপজেলার হবিরবাড়ী বিড, কাদিগড় বিড, আখালিয়া বিড, উথুরা বিড, ও হাজির বাজার বিডে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শতাধিক অবৈধ করাতকল। করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত কোনো করাত-কল স্থাপন বা পরিচালনা করতে পারবেন না।


পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বনের মধ্যে এই করাতকল স্থাপনের ব্যাপারে আপত্তি তুলেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মিল মালিকরা সরকারি কোন নিয়ম মানছেন না। অনেকেই বছরের পর বছর অনুমোদন ছাড়াই চালাচ্ছেন অবৈধ স’মিল। তার মধ্যে ভালুকা পৌরসভায় ২৭ টির মধ্যে অনুমোদন আছে ১২ টি বাকি গুলি চালাচ্ছে অবৈধভাবে প্রশাসনকে মাসোহারা দিয়ে।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার হবিড়বাড়ি রেঞ্জের অধীনে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের এক কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করেন সাইফুল ইসলাম, সোহাগ মিয়া, মাস্টার বাড়ীতে রহিম মিয়া, বাটাজোর বাজারের পাশেই সেলিম তালুকদার, ফারুক,পাপন, জাহাঙ্গীর শাহজাহান সহ আরো অনেকেই। এসব কলে প্রতিদিন চিরাই হচ্ছে বনাঞ্চলের অসংখ্য চোরাই কাঠ। এগুলো সহ সর্বমোট ৭৮টির অধিক অবৈধ সমিল রয়েছে।


এদিকে উথুরা রেঞ্জের নাকের ডগায় দিন রাত দেদারসে বনজ গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চেড়াই করছেন নূর ইসলাম। তাছাড়াও ডাকাতিয়া আড়াইপাড়া আব্দুল হাই নামে এক নেতা দুটি অবৈধ কলের মালিক সে একা নিজেই। এছাড়াও মল্লিকবাড়ি বাজারের সাথেই শামসুল হক কারি, মাইন উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, শাহবুদ্দিন, জাকির হোসেনসহ এ রেঞ্জের অধীনে আরো অনেক করাতকল রয়েছে। যেগুলো বন বিভাগের চোখে পড়ে না। এসব স’মিল গুলোর একটিরও বন পরিবেশের বৈধ কাগজপত্র (লাইসেন্স) নেই।


সবই স্থানীয় বিটে মাসোহারা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে চালিয়ে আসছে মিল মালিকরা। অবৈধ করাতকলের জন্য বনাঞ্চলের কোন গাছপালা রক্ষা করা যাচ্ছে না। তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। করাতকল বিধিমালা, ২০১২-এ বলা আছে, জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। তবে এই নিদের্শনা কেউ মানছে না। যত্রতত্র বসানো হয়েছে করাতকল।


দিনে রাতে প্রকাশ্যে চেড়াই করা হচ্ছে গজারি,সেগুনসহ বিভিন্ন ফলজ প্রজাতির গাছ।এ যেন বনাঞ্চল ধ্বংসের হিড়িক পড়ে গেছে ‌‌। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তাঁরা উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ইউএনও,থানাসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন। জনবল সংকট থাকায় বনাঞ্চল ও বনভূমি রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যথেষ্ট আর্মস না থাকার কারনটাও ইস্যু করেন তিনি। কবে কখন এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হবে,আদৌ হবে কি না এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকেই।


বছরের পর বছর ধরে এসব চলতে থাকলে ও কোন মাথা ব্যাথা নেই বন কর্মকর্তাদের। শুধুমাত্র লোক দেখানো দু-একটা অভিযান চালিয়ে ফরমালিটি রক্ষা করা তাছাড়া আর কিছু না।দ্রুত এসব অবৈধ স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে অচিরেই ভালুকার বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

Tag
আরও খবর