সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার শ্যামনগরে শিশু অধিকার বিষয়ে এনসিটিএফ সংলাপ দরগাপাশা'র ৬নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জামায়াত নেতা হাজী মো মশিউর রহমান কে সংবর্ধনা মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অ্যালকোহল ও কাঁচামাল উদ্ধার জবির একটি হলের নাম 'বিশ্বজিৎ দাস হল' রাখার আহ্বান গণ অধিকার পরিষদ নেতার ইরান- ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লালপুরে বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রার্থনা অনন্য দৃষ্টান্ত সোনাইমুড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা নারীকে জবাই করে হত্যা রাতভর টানা বৃষ্টিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ কুতুবদিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন কচুয়ায় মাঠের পানি থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

একজন বৃক্ষ প্রেমিকের গল্পকথা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 17-11-2023 07:56:10 am

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনবোধে বৃক্ষ রোপণ করেন তানভীর। © ছবি : দেশচিত্র



◾ শেখ আব্দুল্লাহ : বৃক্ষ প্রেমিক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন। ছোটবেলা থেকে তার শখের কাজ বৃক্ষ রোপণ করা। দিন যাচ্ছে সময়ের সাথে তার এ শখ ও বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন যায়গা থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করে তাদের বাড়ির আঙিনায় লাগাতেন এবং পড়াশোনা পাশাপাশি সেগুলোর পরিচর্যা করতেন। স্কুল কলেজে পড়াকালীন তিনি নিজ হাতে স্কুল কলেজ প্রাঙ্গণে অনেক গাছ লাগিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসেও তিনি শত ব্যস্তার মাঝে তার শখকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এখন তানভীর হোসেন পড়াশোনা করছেন ঢাকা কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষে। তিনি ঢাকা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসের একজন আবাসিক ছাত্র। 


কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলার জন্য প্রতিবছর ক্যাম্পাসে কিছু গাছ লাগান। কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে গাছগুলো মারা যায়। তানভীর হোসেন সময় পেলে এসব গাছের যত্ন নেন। আবাসিক হলের থাকার সুবাদে ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে তিনি গাছের যত্ন নিতে পারেন।তিন শুধু কলেজ কর্তৃপক্ষের লাগানো গাছের পরিচর্যা করেন না, নিজের লাগানো গাছেরও পরিচর্যা করেন। 


পড়াশোনা খরচ থেকে তিনি টাকা বাঁচিয়ে গাছ কিনেন এবং নিয়মিত সে গাছগুলো পরিচর্যা করেন।ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে তিনি বেশকিছু গাছ লাগিয়েছেন।  


তানভীর হোসেন দেশচিত্রকে জানায়, গাছ লাগানো এখন তার শখের যায়গায় সীমাবদ্ধ নেই। ছোট বেলায় তিনি গাছ লাগিয়েছেন শখের বসে; এখন তিনি গাছ লাগান শখ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার প্রয়োজনবোধে। তিনি গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন বর্তমান আমাদের মধ্যে চলছে গাছ কাটার প্রতিযোগিতা। গাছ কেটে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলা হচ্ছে , ইটের ভাটায় ব্যাপক হারে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।


কিন্তু যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে, সেভাবে কেউ গাছ লাগানোর দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। প্রানী বেচে থাকার জন্য অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন, যেটি আমরা গাছ থেকে পাই। যদি এভাবে আমরা গাছ কাটতে থাকি তাহলে একসময় চরম অক্সিজেন সংকট দেখা দেখা দিবে এবং পুরো প্রাণীজগৎ একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন প্রাকৃতিক ও অপ্রকৃতিক ভাবে প্রতিনিয়ত কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হয়। এ কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস বায়ুমন্ডলের তাপ বৃদ্ধি করে। গাছ বায়ুমন্ডল থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।  


যদি আমরা এভাবে গাছ কাটতে থাকি তাহলে বায়ুমন্ডলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করবে এবং স্থলভাগ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। একসময়ে ধীরে ধীরে স্থলভাগ পানির নিচে চলে যাবে এবং পুরো জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। 


তানভীর হোসেন সবাইকে গাছের প্রতি যত্নশীল হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি নিজে গাছ লাগাচ্ছেন এবং অন্যকে গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। তিনি বলেন গাছ কাটা বন্ধ করতে এবং নতুন গাছ লাগাতে আমাদের সবার একসাথে কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে 'গ্রীন ভয়েস' নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্বের দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রীন ভয়েসের সেচ্ছাসেবীরা বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র করে গাছ লাগাচ্ছেন এবং সে গাছের পরিচর্যা করছেন। তানভীর হোসেন গ্রীন ভয়েসর একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি বলেন গ্রীন ভয়েসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আমার অনেক ভালো লেগেছে। বর্তমান গাছ কাটার যে প্রতিযোগিতা বেড়েছে, সেটি দমনের জন্য এরকম একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রয়োজন ছিল। আমি এরকম একটি সংগঠনের আশায় ছিলাম। গ্রীন ভয়সের সাথে কাজ করে আমার বেশ ভালো লাগছে। আমি আজীবন গ্রীন ভয়েসের সাথে গাছ কাটা দমন এবং গাছ লাগানো ও পরিচর্যার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চাই। 

তাই আমাদেরও উচিত গাছ কাটা বন্ধে এবং গাছের পরিচর্যায় তানভীর হোসেনের মতো গাছের প্রতি যত্নশীল হওয়া। বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজন করে সাধারণ মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করা। 


আরও খবর