ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘ ১ ঘন্টা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বটতলা থেকে কাঠেরপুল এলাকা পর্যন্ত রনক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের ঘটনার প্রকাশ্যে ফিল্ম স্টাইলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশের পক্ষে যুবদল নেতা সুজন ও অপর পক্ষে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিনের পক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈকত বাহিনীর সদস্যরা। দুই গ্রুপের লোকজনদের হাতে রাম দা, পিস্তল, ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা দেখা গেছে। জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার বিস্তারকে কেন্দ্রে করে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে ও অস্থিরতা বিরাজমান রয়েছে। সেই সাথে ফতুল্লার শিবু মার্কেট, কোতালেরবাগ, কাঠেরপুল, রামারবাগ, রেললাইন বটতলা এলাকার গামেন্টর্স-ডাইং, মিনি হোসিয়ারীর ওয়েস্টিজ, ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিতে এলাকায় লোক দেখানো শোডাউনসহ মালিকপক্ষের লোকদের সৈকত-সুজনের বাহিনী সদস্যরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছিলেন। সেই সুবাদে গত ৪/৫দিন যাবৎ এই এলাকায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিলো।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধের জন্য ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি একই সময়ে মিছিল বের করে। এর মধ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ যুবদল, ছাত্রদলসহ তাদের আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির ব্যানারে মিছিলে ছিলেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ আরো অনেকই। দুই পক্ষের মূলত উদ্দেশ্য ছিলো সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধের নামে
এলাকা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ।
এ সময় দুপুর ২ টায় মিছিলের শুরুর আগে রেল লাইন বটতলায় ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জমায়েত হতে থাকে লোকজন। তিনটার দিকে মিছিলটি রেল লাইন বটতলা হয়ে কোতালের বাগ কবরস্থান পাড় হওয়ার সময় অপর একটি পক্ষ মিছিলে হামলা করে। স্থানীয়রা সাবেক বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন হাজীর দুই ছেলে আক্তার, যুবলীগ নেতা ও শাহ নিজামের সমর্থক সুমন ও মেয়ের জামাতা যুবলীগ নেতা ওলা মাসুদ, সৈকত, সুজন, শিমুলকে দোষারোপ করেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে স্থানীয় কয়েকজন জানান, হামলার কারণে বিক্ষোভ মিছিল ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়। কিন্তু হামলার শিকার হয়ে পুনরায় তারা একত্রিত হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়। ওই সময় কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এতে বেশ কিছু যানবাহন, বাড়ি ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় নিয়ে থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া একে অন্যদের দোষারোপ করেছেন। কারণ সংঘর্ষে লিপ্তরা এই দুই নেতার অনুসারী।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান মাহমুদ বলেন, 'বিকেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পরে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া দিয়ে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। হামলা বা সংঘর্ষকারীদের দলীয় পরিচয় সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হবে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
১ দিন ১৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
২ দিন ৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
২ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩ দিন ১৪ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
১০ দিন ২৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
২১ দিন ২ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২৩ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৪১ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে