রাজশাহী কলেজে ভাইভা দিতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক মিরসরাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সুন্দরবনে হরিণ মারার ফাঁসদড়ি ও দুটি নৌকা উদ্ধার শান্তিগঞ্জে পিক-আপের ধাক্কায় শিশু নিহত,গুরুতর আহত-১ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংসসহ ২টি দোকানে জরিমানা ঝিনাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি জাবিপ্রবিতে ইইই বিভাগে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম চীনের সঙ্গে চুক্তি, মোংলা বন্দর পরিণত হবে আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেলেন যারা বড় ধরনের সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন করা হবে না নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিছু প্রতিক্রিয়া আক্রমণাত্মক ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত বেশকিছু আম ধ্বংস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নওগাঁর বদলগাছির ‘নাক ফজলি আম’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে রংপুর বিভাগে বদলি আদমদীঘিতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৬ অভয়নগরের কামকুল বাজারে সামান্য বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতা, বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ

জিলকদ মাসের ফজিলত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 21-05-2024 01:26:48 am

রমজান পরবর্তী শাওয়ালের পরই সমাগত মাসটি জিলকদ। যা হিজরি বর্ষের এগারোতম মাস। জাহিলিয়াতের যুগে আরবরা এ মহিমান্বিত মাসের সম্মানার্থে যুদ্ধবিগ্রহ ও ঝগড়া-বিবাদকে হারাম মনে করত, যুদ্ধাস্ত্র হাত থেকে নামিয়ে রাখত, কেউ কাউকে হত্যা করত না এবং এ মাসে পিতা তার পুত্রের হত্যাকারী থেকেও প্রতিশোধ গ্রহণ করত না। যেহেতু লোকেরা এ মাসে ঝগড়া-বিবাদে জড়ানো, এমনকি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া থেকেও বিরত থাকত, তাই এ মাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুলকদ’ অর্থাৎ বসে থাকার মাস বা বিরত থাকার মাস।


ফজিলতপূর্ণ চার মাসের মধ্যে জিলকদ একটি। আল্লাহতায়ালা যে চারটি মাসকে আশহুরে হুরুম অর্থাৎ হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে জিলকদ অন্যতম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আল্লাহর কিতাবে মাসের সংখ্যা ১২টি সেইদিন থেকে যেদিন আল্লাহতায়ালা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এরমধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ।’ (সুরা তওবা ৩৬)


সম্মানিত চার মাসের তিনটি ধারাবাহিকভাবে জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থটি রজব মাস। উল্লিখিত মাসগুলোকে আশহুরে হুরুম বলা হয় দুই কারণে। এক. এই মাসগুলোতে যুদ্ধবিগ্রহ এবং হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হারাম। দুই. এ মাসগুলো বরকতময় এবং এতে ইবাদতের সওয়াব বেশি অর্জিত হয়। তবে এর মধ্যে প্রথম হুকুমটি রহিত হয়ে গেছে। দ্বিতীয়টি এখনো নিজ অবস্থায় বহাল আছে।


জিলকদ হজের দ্বিতীয় মাস। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হজের নির্ধারিত কয়েকটি মাস রয়েছে।’ (সুরা বাকারা ১৯৭) ইবনে ওমর (রা.) বলেন, হজের মাসগুলো হলো শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের ১০ দিন। উলামায়ে কেরাম একমত যে, উপরোক্ত তিনটি মাসই হলো হজের মাস। এ বিষয়টি জিলকদ মাসের মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব আরও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।


আল্লামা আবু বকর তালেব মক্কী (রহ.) বলেন, জিলকদ মাসের শ্রেষ্ঠত্বের এটি একটি কারণ যে, এর মধ্যে দুটি গুণ একত্র হয়েছে। এক আশহুরে হুরুম তথা হারাম মাস। দুই আশহুরে হজ অর্থাৎ হজের মাস। রাসুল (সা.) জীবনের চারটি ওমরাহর তিনটি জিলকদ মাসে সম্পন্ন করেন। হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) জীবনে চারটি ওমরাহ পালন করেন। তার সব কয়টি জিলকদ মাসে আদায় করেন, তবে একটি হজের সঙ্গে আদায় করেন। (সহিহ বুখারি)


ওলামায়ে কেরাম বলেন, রাসুল (সা.) এ মাসে কয়েকবার ওমরাহ আদায় করেছেন, যাতে করে গণমানুষ জিলকদ মাসের বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সম্যক অবগত হতে পারে এবং জাহেলি জামানার লোকদের সঙ্গে বিরোধিতাও হয়ে যায়। কারণ এ মহিমান্বিত মাসে ওমরাহ পালন করাকে তারা বড় পাপ মনে করত। এজন্য নবী (সা.) পর্যায়ক্রমে একের পর এক ওমরাহ এ মাসে আদায় করেন। যেন লোকসমাজ এর বৈধতা খুব ভালো করে হৃদয়ঙ্গম করে নেয় এবং জাহেলি জামানার সেই প্রভাব যেন একেবারেই শেষ হয়ে যায়।


জিলকদ মাসে আল্লাহর নির্দেশে মুসা আলাইহিস সালাম তুর পাহাড়ে এতেকাফ করেছেন। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আমি মুসার জন্য ত্রিশ রাতের মেয়াদ স্থির করেছিলাম যে, এ রাতসমূহ তুর পাহাড়ে এসে এতেকাফ করবে। তারপর আরও দশ দ্বারা তা পূর্ণ করি।’ (সুরা আরাফ ১৪২) বিখ্যাত মুফাসসির মুজাহিদ (র.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, জিলকদ মাসের ৩০ দিন এবং জিলহজ মাসের ১০ দিন মোট ৪০ দিনের কথা উক্ত আয়াতে ব্যক্ত হয়েছে।


জিলকদ মাসের মুস্তাহাব আমল : আমাদের প্রত্যেকের উচিত হারাম মাসগুলোতে আমলে সালেহ (নেক আমল) বাড়িয়ে দেওয়া। কারণ রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং বর্জন করো। তুমি হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং বর্জন করো। তুমি হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং বর্জন করো। এ কথা বলে তিনি তিনটি আঙুল একত্র করার পর ফাঁক করে দিলেন। (আবি দাউদ)


মুহাদ্দিসরা লিখেছেন তিন আঙুল দ্বারা ইশারা করার অর্থ হলো যতবার ইচ্ছা ততবার রোজা রাখবে। কিন্তু একটানা তিন রোজা রাখার পর এক বা দুদিন বাদ দেবে। কোনো কোনো মুহাদ্দিস বলেছেন, এর অর্থ আশহুরে হুরুমে তিন দিন রোজা রাখা এবং তিনদিন ছেড়ে দেওয়া। তারপর তিনদিন রোজা রাখা এবং তিনদিন ছেড়ে দেওয়া। তারপর তিনদিন রোজা রাখা এবং তিনদিন ছেড়ে দেওয়া। আর এটিই উত্তম।


জিলকদ মাস ও অন্যান্য হারাম মাসে নেক আমল করা অপরাপর মাসগুলো অপেক্ষা অধিকতর সওয়াব লাভ হয়। এ মাসে গুনাহ করা অন্যান্য মাসের তুলনায় গুরুতর অপরাধ। ইমাম আবু বকর আল জাসসাস লিখেছেন, যে ব্যক্তি এই বরকতময় মাসগুলোতে ইবাদত করে তার অন্যান্য মাসেও এবাদতের তৌফিক হয়। আর যে ব্যক্তি এই মাসগুলোতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে তার জন্য বছরের বাকি মাসগুলোতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয় (আহকামুল কোরআন ৪/৩০৮)

আরও খবর