চিলমারীতে "কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের" দিনব্যাপী, হাতে-কলমে শিক্ষা সফর শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ঝিনাইগাতীতে কারিতাসের আয়োজনে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয় ডোমারে ইউএনও'র যোগদান ও বিদায় সংবর্ধনা ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদল কতৃক এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ ১৭ বছর পর মোংলায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন নির্বাচন রাজবাড়ী বিআরটিএতে দুদকের অভিযান: চার দালাল আটক, টাকা উদ্ধার লাখাই উঠেছে তালের শাঁস,প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর। শ্রীমঙ্গলে নগরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন নিশ্চিতে ম্যাক বাংলাদেশের মতবিনিময় ও ইউএনও বরাবর নারী ফোরামের স্মারকলিপি সাতক্ষীরায় নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের সংলাপ অনুষ্ঠিত আক্কেলপুর একযুগ আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা পর ও চলছে স্কুলের পাঠদান। শ্যামনগরে সাংবাদিকদের জলবায়ু বিষয়ক প্রশিক্ষণ কচুয়ায় বিভিন্ন উপকার ভোগীদের মাঝে চেক বিতরণ রাসেল ভাইপার আতঙ্কে কৃষক,গামবুট বিতরণ করলেন উপজেলা প্রসাশন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ নৌকা তৈরী করাই মনিরুলের একমাত্র পেশা

জ্বরে যেমন খাবার খাবেন

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 08-08-2022 02:50:20 am

সংগৃহীত ছবি


মো. ইকবাল হোসেন: 


ঋতু গণনায় বাংলাদেশে এখন বর্ষাকাল। এই সময়ে মানুষের জ্বরের প্রকোপ যেন একটু বেশিই দেখা যায়। কারও সাধারণ জ্বর, কারও ডেঙ্গুজ্বর কারও আবার চিকুনগুনিয়া। 

জ্বরের কারণ অনেক। 

বর্তমানে করোনার কারণে জ্বর, ডেঙ্গুজ্বর; সেই সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপও বাড়ছে। তবে সাধারণ ভাইরাস জ্বরই বেশি হয়ে থাকে এ সময়। এ ছাড়া আরও কিছু কারণে জ্বর হতে পারে। যেমন, কিছু জটিল রোগে র‌্যাশসহ জ্বর হতে পারে, ক্যানসার, মস্তিষ্কের প্রদাহ, টাইফয়েড, বাত, হাম, রক্তের প্রদাহ, শরীরে কোনো কাটাছেঁড়া ইত্যাদির কারণেও জ্বর হতে পারে। বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও জ্বর হতে পারে।


ভাইরাস জ্বর সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেলে জ্বর থেকে দ্রুত সুস্থ 

হওয়া যায়। 

জ্বর হলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বেড়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা যত বেশি হয়, বিপাকক্রিয়াও তত বেশি হয়। তাই এ সময়ে শরীরে বাড়তি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। এ সময়ে পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


তরল খাবার

জ্বরের সময় তরলজাতীয় খাবার রোগীর জন্য খুব বেশি কার্যকরী। এই সময়ে তরল খাবারে কিছু বিশেষ উপকারী দিক হচ্ছে, 

•হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়

•দ্রুত শক্তির জোগান দেয়

•শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে

•খাবারে অরুচি থাকলেও দ্রুত খেয়ে 

নেওয়া যায়

তবে তরলজাতীয় খাবারে ক্যালরি কিছুটা কম থাকে। সে জন্য শুধু তরলের ওপরে নির্ভর না করে পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে হবে।

জ্বরে তরল খাবার হিসেবে চিকেন 

স্যুপ, ভেজিটেবল স্যুপ, ফলের রস, লেবুর শরবত, মাল্টা ও কমলার জুস, ডাবের পানি, মিল্কশেক, দুধ ও দই, বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি ইত্যাদি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।


ফলের রস

ভিটামিন সিযুক্ত যেকোনো ফলের রস 

এ সময়ে বেশি বেশি পান করতে হবে। 

ঘরে তৈরি ভিটামিন সিযুক্ত তাজা ফলের 

রস, যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, চিনি ছাড়া আনারসের রস দ্রুত জ্বর কমাতে কার্যকরী। 


চিকেন স্যুপ

ক্যালরি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে চিকেন স্যুপের বিকল্প নেই। জ্বরের সঙ্গে যদি বমি বা ডায়ারিয়া থাকে, তাহলে চিকেন স্যুপ আপনার শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করে। এ স্যুপের মধ্যে একটু সবজি যোগ করে দিলে তা থেকে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যাবে। যা আপনাকে দ্রুত আরোগ্যলাভে সাহায্য করবে এবং জ্বর-পরবর্তী দুর্বলতা কমাতেও সাহায্য করে।


মসলাযুক্ত চা 

এ সময় মসলাযুক্ত চা খুবই উপকারী। মসলাযুক্ত চায়ের অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ আছে। চায়ের সঙ্গে লেবু, তুলসীপাতা, পুদিনাপাতা ও লং মিশিয়ে খেলে তা বেশি উপকারী।


মিল্কশেক

অন্যান্য যেকোনো তরল খাবারের চেয়ে মিল্কশেক একটি বেশি ক্যালরিবহুল খাবার। সঙ্গে কিছু ওটস, কিশমিশ, আম, খেজুর, বাদাম, কলা ইত্যাদি যোগ করে দিলে এর পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলে মিল্কশেক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 


ডাবের পানি

পানিশূন্যতা কমাতে, তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষায় এবং ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি খুবই কার্যকরী।



নরম খাবার


তরল খাবারের পাশাপাশি নরম খাবারও দিতে হবে। নরম খাবার রোগীকে বেশি চিবোতে হয় না। এ ধরনের খাবার সহজে খাওয়া যায় এবং সহজে হজম হয়। নরম পাতলা খিচুড়ি, পাতলা সুজি, জাউভাত, পুডিং, পায়েস ইত্যাদি নরম খাবার হিসেবে জ্বরের সময় খাওয়া যেতে পারে। 


পাতলা খিচুড়ি

চাল, ডাল, সবজি ও মুরগি দিয়ে রান্না করা পাতলা খিচুড়ি জ্বরের রোগীর জন্য একটি আদর্শ সুষম খাবার। শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে শারীরিক দুর্বলতা দূর করে।


দুধ-সাগু ও সুজি 

দুধ দিয়ে তৈরি পাতলা সাগু বা সুজি বেশ পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার। এটি সহজে হজম হওয়ায় দ্রুত শক্তি জোগায়। দিনে অন্তত একবার দুধ-সাগু বা সুজি খাওয়ালে রোগী যথেষ্ট শক্তি পাবে।


আরও খবর






681a1a19b7d82-060525081801.webp
কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি

১ দিন ৩ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে