বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যুগপৎ আন্দোলন কয়রায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন গুচ্ছ 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৯ মে, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিএনপি ব্যবসায়ী বান্ধব পরিবেশ গড়তে  বদ্ধপরিকর: বিএনি নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন সুন্দরবন থেকে ৪২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, শিকারী পলাতক ঘাটাইলে রাত হলেই চলে মাটি খেকোদের তান্ডব আদমদীঘিতে পোল্ট্রি ফার্মের ১হাজার মুরগীর বাচ্চা পদদলিত করে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা আদমদীঘিতে জামায়াত নেতাসহ তিনজনকে মারপিট করে দুই মোটরসাইকেল মোবাইল ফোন ছিনতাই দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাড়াহুড়ো কোনো কাজ ভাল লাগে না লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত তামিম চিরনিদ্রায় শায়িত। কচুয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা সার্ভেয়ারের পরিদর্শন নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় চিলমারীতে "কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের" দিনব্যাপী, হাতে-কলমে শিক্ষা সফর শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ঝিনাইগাতীতে কারিতাসের আয়োজনে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয়

দাঁড়িয়ে পানাহার করা অনুচিত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 31-05-2023 01:03:20 am

◾আবদুল আযীয কাসেমি : পানাহারে ইসলামের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিষ্টাচার। সাধারণভাবে খাওয়াদাওয়া বসে করাই মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। তবে প্রয়োজনের সময় কখনো কখনো দাঁড়িয়েও পানাহার করার অনুমতি আছে। এই বিষয়ে মহানবী (সা.)-এর হাদিস থেকে দুই ধরনের বর্ণনার কথা আমরা জানতে পারি। কিছু হাদিসে নবী (সা.) স্পষ্ট ভাষায় দাঁড়িয়ে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন। আবার কিছু হাদিস থেকে বোঝা যায়, তিনি কখনো কখনো দাঁড়িয়েও পানাহার করেছেন। কিছু কিছু সাহাবির আমল থেকেও দাঁড়িয়ে পানাহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়। 


এক হাদিসে বলা হয়েছে, নবী (সা.) দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। আরেক বর্ণনা অনুযায়ী, নবী (সা.) এক লোককে দাঁড়িয়ে পান করতে দেখে ধমক দিয়েছেন। (মুসলিম: ২০২৪) 


অন্য দিকে আরেক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘আমি নবী (সা.)-এর কাছে জমজমের পানি নিয়ে এলে তিনি সেটা দাঁড়িয়ে পান করেছেন।’ (বুখারি: ১৬৩৭)


উভয় ধরনের বর্ণনা সামনে রেখে আলিমগণ বলেছেন, যেসব হাদিসে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে, এর মর্ম হলো এটি মাকরুহে তানজিহি হবে। যেসব হাদিস থেকে এর বিপরীতটা বোঝা যায়, সেটা থেকে উদ্দেশ্য হলো এটার বৈধতা দেওয়া। অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়া দাঁড়িয়ে পান না করা। একান্ত প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা যেতে পারে। খাওয়ার বিষয়টিকে আলিমগণ পান করার মতোই বলেছেন। অর্থাৎ খাওয়ার ব্যাপারেও উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা প্রযোজ্য হবে।


তবে দাঁড়িয়ে পানাহার করলে তা হারাম হবে না—এ বিষয়ে সবাই একমত। সর্বোচ্চ মাকরুহ হবে। তবে দাঁড়িয়ে পানাহার করা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি তা শিষ্টাচারবিরোধীও। তাই পারতপক্ষে দাঁড়িয়ে পানাহার করা অনুচিত। 


লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

আরও খবর