জয়পুরহাটে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট শেরপুরে নাগরিক প্লাটফর্ম সক্রিয়করণ বিষয়ক ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর ৪ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার ‎জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে সিরাজদিখানে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ‎ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চোরকে চিনে ফেলায় নৃশংসভাবে নারীকে হত্যা; ঘটনার ২০ ঘন্টার মধ্যে ক্লু-লেস এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন মধুপুরে বিএনপি'র কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ঘাটাইলে বৃদ্ধ মহিলাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট বেগমগঞ্জে চুরি করতে এসে নারীকে জবাই করে হত্যা,গ্রেপ্তার-২ কিশোর নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার টাঙ্গাইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শামীম, মহব্বত সাধারণ সম্পাদক অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে থাকব: ফখরুল বরিশালে যানজট নিরসন ও অতিরিক্ত ভাড়া জবাবদিহিতার দাবিতে এনসিপির আবেদন এশিয়া কাপ আর্চারিতে স্বর্ণপদক জিতলেন আলিফ একজোট নয় ইসলামী দলগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছে জামায়াত ইসরায়েল ‘সন্ত্রাস’ ছড়াচ্ছে, মুখ ফসকে বলে ফেললেন মার্কিন দূত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা মোংলায় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব ও মার্কিন যুদ্ধনীতি: ইতিহাসের আলোকে একটি বিশ্লেষণ করোনার চোখ রাঙানি সত্ত্বেও পিছোবে না এইচএসসি পরীক্ষা বরিশালে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আগস্টে সড়কে ঝরল ৫১৯ প্রাণ

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 03-09-2022 10:38:20 am

সংগৃহীত ছবি

◾ নিউজ ডেস্ক


দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় গত আগস্টে ৫১৯ জন নিহত এবং ৯৬১ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত ৪৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এসব দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৪ জন নারী ও ৬৯ জন শিশু রয়েছে। 


সংস্থাটির মাসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় গত জুলাইয়ে ৭৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এই হিসাবে আগস্টে প্রাণহানি কমেছে ২৯ দশমিক ৭৬। তবে প্রাণহানি হ্রাসের এই মাত্রা কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না বলে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আগস্টে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৭৪ জন, অর্থাৎ ১৭ জন।


শনিবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের আগস্টের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৭২ জন, যা মোট নিহতের ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, অর্থাৎ ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ।


এ সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।


দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন : রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৭টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৫২টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৯টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৯টি সংঘটিত হয়েছে।




• দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান


দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, সকালে ২৮ দশমিক ৮২, দুপুরে ২২ দশমিক ২, বিকালে ১৮ দশমিক ৫৫, সন্ধ্যায় ৫ দশমিক ৬৭ এবং রাতে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৭টি দুর্ঘটনায় ১৪২ জন নিহত। 


সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৯টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩২ দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে মাগুরা, ঝালকাঠি ও সুনামগঞ্জ জেলায়। এই তিনটি জেলায় সাতটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন।


দেশে সড়ক দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। সেগুলো হলো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি; ১০ গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।


এ ছাড়া বেশ কিছু সুপারিশ করেছে রোড সেফটি। সেগুলো হলো, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্ট নির্দিষ্ট; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌপথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

আরও খবর