নিষিদ্ধ হলো ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ নাগরপুরে বিবাহিত নারীর অশ্লীল ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নন্দীগ্রামে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মোংলায় মশাল মিছিল প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ প্রদান দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে জামায়াত ছাত্রদলের আহ্বায়ককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন শিবিরের সভাপতি বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজারে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় চাঁদাবাজি, থানায় অভিযোগ সঙ্গীতশিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসী আর নেই যৌথবাহিনীর অভিযানে পুশকৃত চিংড়ী আটক, ছয়জনকে জরিমানা স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না পীরগাছায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করলেন জাপা নেতা!! স্বাক্ষী অপর দুই বিএনপি নেতা; সমালোচনার ঝড় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ট্রাম্প লালপুরে পর্নোগ্রাফি অপরাধে শফিউদৌলা গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে ‘লীগ ধর, জেলে ভর, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিও করার দাবিতে লালপুরে মতবিনিময় সভা সাধারণ মানুষের মাঝে ৫ শতাধিক বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করলেন আহসানুল কবির বাবু পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন যৌথ বাহিনীর অভিযানে চাঁদাবাজ গ্রেফতার শ্যামনগরে তিন দফা দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল

মধুপুরে জাল দলিল মামলায় পিবিআই’র মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদনের অভিযোগ

ছবি-দেশচিত্র


টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাল দলিল মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর মিথ্যা মনগড়া প্রতিবেদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দামপাড়া গ্রামের মৃত আ. রেজ্জাকের ছেলে মো. আ. ছালাম তার সৎ ভাইদের বিরুদ্ধে পৈত্বিক বসতভিটা জাল দলিল করার অভিযোগে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করলে পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক  মোখলেছুর রহমান (বিপি নং-৮৫১১১৩৫৯০৮) আদালতে মিথ্যা, বানোয়াট, আর উদ্দেশ্য প্রণোদিত তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৃত আ. রেজ্জাক তার জীবৎদশায় ছেলে-মেয়েদের জায়গা-জমি ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু আ. রেজ্জাকের মৃত্যুর পর পিতায় দলিল করে দিয়েছেন বলে আ. ছালামের বসতভিটা উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে সৎ ভাই মো. জাহাঙ্গীর ও আনোয়ার।

আ. ছালাম জানান, যে জমি পিতায় নিজ হাতে ভাগ করে দিয়ে গেলেন সেই জমি কিভাবে তাদেরকে দলিল করে দিলেন। দলিলের কথা পিতা জীবিত থাকায় না বলে কেন নয় বছর পর প্রকাশ করলেন। দলিলে পিতার স্বাক্ষর গড়মিল থাকা এবং চেনা সাক্ষী দলিলের কথা না জানায় দলিলটি জাল মনে হওয়া আদালতে মামলা দায়ের করেন আ. ছালাম। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পিবিআই বিবাদীদের খুশি করার জন্যই মনগড়া মিথ্যা প্রতিবেদন দিয়েছেন।

মিথ্যা তদস্ত প্রতিদেনের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার মধুপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি আ. ছালাম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছালাম অভিযোগ করেন, জাল দলিলের প্রমানের জন্য আদালতে আমি যে সব দলিল দাখিল করেছি তদন্ত কর্মকর্তা সেই দলিল যাচাই-বাছাই না করে বিাদীদের দ্বারা আরো কিছু জাল দালিল তৈরি করে তার ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে আসামীদের বাঁচানোর অপচেষ্টা করেছেন। বিতর্কিত দলিলে উল্লেখিত ১৬ (ষোল) ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরকে ১৭ (সতেরো) ডিজিটে (রিরাইট, ঘষামাজা) রূপান্তর করে পিবিআই উল্লেখিত জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরকে প্রথমে পরিচিতি পরে জন্মনিবন্ধন বলে পাশ কাটানো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনছন।। অপরদিকে দলিলের চেনাসাক্ষি মুসলিম উদ্দিনের বক্তব্যও তদন্ত প্রতিবেদনে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

অন্য চেনাসাক্ষী মো. ছানোয়ার হোসেন নাকি মো. আঃ কাদের নাকি ছানোয়ার হোসেন সাজু এই নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন পিবিআই’র ওই কর্মকর্তা। এছাড়াও পিবিআই তদন্তে ৭ (সাত) জন নিরপেক্ষ সাক্ষীর নামে ১ ও ২ নং বিবাধীর মা, একজন ভগ্নিপতিকে দুই ঠিকানা দিয়ে দুইবার ব্যবহার করে সাক্ষিদের কলেবর বৃদ্ধি করা হয়েছে। দলিল সম্পাদনকালে বিতর্কিত দলিলের ২ নং চেনা সাক্ষী মো. ছানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন না। ওনার নাম ব্যবহার করেছেন, মধুপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল/জাল দলিল প্রস্তুতের মূলহোতা দলিল লেখক মামলার ৩ নম্বর বিবাধী মো. আরিফুল ইসলাম।

দলিলের চেনাসাক্ষি মুসলিম উদ্দিন জানান, যে দলিলে আমাকে চেনা সাক্ষি দেখানো হয়েছে আমি সেই দলিল সম্পর্কে কিছুই জানি না। পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান জানান, যাচাই-বাছাই করে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। বাদী ইচ্ছে করলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন চ্যালেঞ্চ করতে পারেন।


আরও খবর