কক্সবাজার ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে ট্রেনে কাটা পড়ে আহত ও নিহতের সংখ্যা। কেউ ট্রেনের পাশে সেলফি তুলতে গিয়ে, কেউ মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটার সময়, কেউ অতি উৎসাহী হয়ে, কেউ হেডফোনে গান শুনতে শুনতে অসতর্কতাবশতঃ রেল লাইনে হাঁটতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ছে।
অনেক সময় স্লিপারে পা পিছলে, ট্রেনের আওয়াজ শুনতে না পাওয়া, আঁকাবাঁকা পথে ট্রেন দেখতে না পাওয়ার কারণে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে মানুষ।
কক্সবাজারে রেল স্টেশন চালুর পর এই পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছে। এর মধ্যে চকরিয়ার বরইতলীতে ১জন, রামুতে ভোট দিয়ে ফেরার সময় একজন, কক্সবাজারে ইসলামপুরে একজন মারা গেছে ট্রেনে কাটা পড়ে, সাথে দুই ভাই বোন অতি উৎসাহী হয়ে ট্রেন দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আর সেলফি তুলতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।
সর্বশেষ ১৪ই জানুয়ারি রোববার ফজরের নামাজের পর হাঁটতে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে রেলওয়ের দাবী, আইন অমান্য করে, তাড়াহুড়ো করে পারাপারের সময় ঘটছে বেশির ভাগ রেল দুর্ঘটনা।
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাষ্টার গোলাম রাব্বানী জানান, রেল লাইন আশপাশে সবসময়ই ১৪৪ ধারা জারি থাকে এবং রেল লাইনে হাটা চলাও অপরাধ। মৃত্যুর জন্য তিনি অসচেতনতাকে দায়ি করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গেইট ম্যান ও রেলওয়ে কতৃপক্ষের উদাসীনতা ও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যপারে কক্সবাজার সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে প্রশাসনেরও এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা দরকার। "
কক্সবাজারে রেল নতুন হওয়ার কারণে মানুষ এখনও বুঝতে পারছে না। রেললাইনের আশে পাশের মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল।
৪ দিন ৪ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
২১ দিন ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩০ দিন ৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৩২ দিন ৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৩৬ দিন ৭ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৩৬ দিন ৭ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৫১ দিন ১৮ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৫৪ দিন ৫ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে