ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয় ভারত-পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা জয়পুরহাটে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান ভারতের মুসলমানদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানালো - (IHRC) রাকিবুল ইসলাম শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দিনব্যাপী কৃষক ও উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শাজাহানপুর ভোক্তা-অধিকারের অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা !!! জবিতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে সরকারীভাবে ধান- চাল সংগ্রহ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন আবারও নোয়াখালীতে ৬ বছর শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ নিজ ঘরে নামাজ পড়তে উঠে ছুরিকাঘাতে নারী খুন চোরের ছুরিকাঘাতে চাটখিলে বৃদ্ধার মৃত্যু ধর্ষন মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী এক মুসলিম দেশ রাজশাহী কলেজে ভাইভা দিতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক মিরসরাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সুন্দরবনে হরিণ মারার ফাঁসদড়ি ও দুটি নৌকা উদ্ধার শান্তিগঞ্জে পিক-আপের ধাক্কায় শিশু নিহত,গুরুতর আহত-১ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংসসহ ২টি দোকানে জরিমানা ঝিনাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা

ডাক্তার থাকেন না, নার্স দিয়েই চলছে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর মেডিকেল সেন্টারে ৩ জন ডাক্তার থাকা সত্বেও একজন নার্স ও একজন ব্রাদারের উপর নির্ভর করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ হাজার শিক্ষার্থীর। একজন ডাক্তারকে সকালের টাইমে পাওয়া গেলেও দুপুরের পর ডাক্তার শুন্য অবস্থায় থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার।


৩ দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুপুর ২ টার পরে লাঞ্চের টাইম শেষে ডাক্তারের চেম্বার ফাঁকা পড়ে থাকে। লাঞ্চের পরে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে তারা ডাক্তারের অভাবে নার্সের/ব্রাদারের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।


দুপুরের পর সেবা নিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা সেবা নিতে এসে ডাক্তার না পেয়ে বাধ্য হয়ে নার্স/ব্রাদারের কাছে থেকে চিকিৎসা সেবা নিলাম"।


এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র ব্রাদার রাজীব কুমার বাছাড় জানান, "ডাক্তার না থাকায় আমাদের উপর কিছুটা চাপ পরে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা এসে ঔষধ চায়, ঔষধ দেওয়াতে ভুল হলে পরে কোন সমস্যা ঘটতে পারে এজন্য আমরা আতঙ্কে থাকি"।


মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেওয়া এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা তমা জানান" মেডিকেল সেন্টারে কখনোই ডাক্তার পাওয়া যায় না, কোন একটা সমস্যা নিয়ে গেলে বলে এখানে হবে না! কাশির জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার তো নেই বরং নার্স কিছু ঔষধ দিয়েছে, কোন প্রেসক্রিপশন ও দেয়নি আর বলছে অন্য ডাক্তার দেখাতে। চিকিৎসা তো জরুরি সেবা তাহলে ডাক্তারদের দিনের ১২ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ৬ ঘন্টা তো উপস্থিত থাকা উচিত। নাম মাত্রই মেডিকেল সেন্টার চলছে। নার্সদের একটু ভুলে সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা! এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি"।


লাঞ্চের পরে কেন চিকিৎসক পাওয়া যাচ্ছে না, "এ বিষয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. রোকাইয়া আলম বলেন, আমরা মর্নিং ও ইভিনিং সিডিউল ভাগ করে নিয়েছিলাম সে অনুযায়ী আমি প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে দুপুর১ টা পর্যন্ত আমার ডিউটি পালন করি। তবে গত পরশু ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জের ভাইভাতে থাকার কারণে আমি ছিলাম না। এছাড়া আমি প্রতিদিন থাকি, আজও আমি ১ টা পর্যন্ত ছিলাম। অন্যরা কেন থাকছেন না এ বিষয়ে  আগামীকাল সকালে আমি অন্য ডাক্তারদের সাথে কথা বলব"।


এছাড়া তিনি আরো বলেন, "আরেকটি ব্যাপার এখন পেশেন্টের লোড অনেক বেশি হয়, একদিন আউটডোরে ২৫০ শিক্ষার্থীও দেখতে হয়েছে। ২৫০ জন পেশেন্ট দেখা একজন ডাক্তারের পক্ষে সম্ভব না। এতগুলো পেশেন্ট দেখার পরে ইভিনিং এ ডাবল টাইমে আর ডিউটি করা সম্ভব হয় না। আজ মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রশাসনের কাছে ডাক্তার চেয়ে একটা চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে, আরো দুইজন ডাক্তার দিলে পুরো টাইম কাভার দেয়া আমাদের জন্য ভালো হয়"।


জানা যায়, দুপুরের পরে চিকিৎসা কেন্দ্রে বসার কথা ডা. নিখিল চন্দ্র বালার। তবে এ বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমার অফিস প্রধান ডা. অভিষেক বিশ্বাস এর সাথে কথা বলেন।


বাকি দুইজন ডাক্তার কে পাওয়া গেলেও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. অভিষেক বিশ্বাস কে কখনও মেডিকেল সেন্টারে পাওয়া যায় না এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া যায়।


ডাক্তারদের কেন পাওয়া যাচ্ছে না এ ব্যাপারে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. অভিষেক বিশ্বাস বলেন, "এ ধরনের কোন অভিযোগ আসলে আপনারা প্রশাসনের সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই"।


সিনিয়র মেডিকেল অফিসারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, উনাকে পার্টটাইমে নেওয়া। ইমার্জেন্সি প্রয়োজনেই ওনাকে ডাকা হয়। আর বাকি দুইজন ডাক্তারদের তো ফুলটাইম মেডিকেল সেন্টারে থাকার কথা। ডাক্তারদের তো অর্ধেক টাইম থাকার কথা নয়, তারা ফুল টাইম থাকবেন। তাদের তো শিফটিং করার কথা না। শিফটিং করার পরেও তারা কেন থাকছেন না এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, আমি তাদের সাথে কথা বলে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

Tag
আরও খবর