শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া গ্রামে পানির জন্য বোরিং করতে গিয়ে মিলেছে গ্যাসের সন্ধান। সেই গ্যাস দিয়েই এখন স্থানীয়রা চালাচ্ছেন রান্নাবান্নার কাজ। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতূহল ও চাঞ্চল্য। গ্রামের কৃষক নূর মোহাম্মদ জানান, গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার তিনি পানীয় জলের জন্য সাবমার্সিবল বোরিং শুরু করেন। প্রায় ৪০ ফুট গভীরে যেতেই পাইপের ভেতর থেকে চাপ অনুভূত হয় এবং পানি উপচে পড়তে থাকে। এতে প্রথম বোরিং কাজ ব্যর্থ হলে কাছাকাছি আরও দুটি স্থানে নতুন করে বোরিং করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়—বুদবুদ শব্দ, পানির সঙ্গে বাতাসের প্রবল চাপ এবং পাইপ ওপরে উঠে আসার চেষ্টা চলে।
শেষ পর্যন্ত চতুর্থ স্থানে বোরিং করলে সেখান থেকেও বের হতে থাকে গ্যাসমিশ্রিত পানি। পরীক্ষামূলকভাবে আগুন ধরালে দেখা যায়, গ্যাসে জ্বলছে আগুন। পরে স্থানীয়রা সেটি ব্যবহার করেই রান্নাবান্না শুরু করেন।
নূর মোহাম্মদ বলেন, “পানির জন্য বোরিং করতে গিয়ে গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন ওই গ্যাসেই চা-ভাত রান্না করছি।”
এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রায় ১০–১২ দিন ধরে গ্যাস নির্গমন অব্যাহত থাকলেও এখনো কোনো সরকারি তদন্ত শুরু হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হযরত আলী বলেন, “এর আগেও এ এলাকায় বোরিং করতে গেলে গ্যাস বের হয়েছে। আমরা চাই, কর্তৃপক্ষ এসে বিষয়টি পরীক্ষা করুক—আসলেই এখানে গ্যাসের মজুদ আছে কি না।”
রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের যুবদল সভাপতি সোহেল রানা বলেন, “গ্রামের পশ্চিম অংশে গ্যাস পাওয়া গেছে, তবে কতটুকু মজুদ আছে তা নিরূপণে সরকারের উদ্যোগ দরকার।”
তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন,“গ্যাসের প্রকৃতি ও মজুদের পরিমাণ নির্ধারণের দায়িত্ব পেট্রোবাংলার। তবে উন্মুক্ত স্থানে মাটির নিচে গ্যাসে আগুন দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।”
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, “প্রাকৃতিক গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ চলছে।”
২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে