লাখাইয়ের সড়কে বর্ষা আসতেই শুরু হয় যানচলাচলে ভোগান্তি, রাস্তা উঁচু করতে ইউনিয়ন বাসীর দাবি।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নে লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সাব-মার্জিবল সড়কটি বর্ষায় ডুবে যাওয়ায় বছরের ৪/৫ মাস এ সড়কে যানচলচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়কটি সারাবছর ব্যাপী যানচলচল উপযোগী করে নির্মানের দাবি দীর্ঘদিনের।
উপজেলা সদরের সাথে লাখাইয়ের ইউনিয়নবাসীর চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি সারাবছর চলাচলের উপযোগী রাস্তা নির্মানে দীর্ঘদিন যাবৎ আবেদন নিবেদন করে আসলেও অদ্যাবধি এ সড়কটি নির্মানে কোন কার্যকরী উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। ফলে বছরের প্রায় ৪/৫ মাস লাখাই ইউনিয়নের ১৪ টি গ্রামের জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অথচ এ রাস্তাটি সারাবছর যানচলাচল উপযোগী করে নির্মিত হলে ইউনিয়নবাসীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেত।
এছাড়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার মানুষের যোগাযোগ ও চলাচলের কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সড়কটি। ইউনিয়নের অধিকাংশ লোক ঢাকায় ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় রাজধানীর সাথে তাদের একটা আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়েছে।যা বর্ষার মৌসুম আসলেই শেষ হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর দাবি লাখাই টু বামৈ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। এর ফলে ৪/৫ মাস অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে ১নং লাখাই ইউনিয়নবাসীর। এসময় নৌকা হয়ে উঠে এ অঞ্চলের একমাত্র বাহন। শুকনো মৌসুমে ১০-১৫ টাকায় লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ১০ মিনিটে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই গন্তব্যে পৌঁছতে ৩০ টাকা লাগে এবং সময় লাগে ১ ঘন্টা বা তার বেশি। এছাড়া নৌকার মাঝিরা যাত্রী পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে নৌকা ভিড়ায়। এতে সীমাহীন কষ্ট ও দূর্ভোগ পোহাতে হয় কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যায়।
তাই জনমনে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে দাবি উঠছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাখাই- বামৈ সড়কটি উচু করে নির্মান করা হোক।
এলাকার স্থানীয় জনসচেতন ব্যক্তিবর্গরা বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেও তাদের এই সড়ক টি উঁচু করণের দাবি জানাচ্ছেন দেশবাসীর কাছে।
ফলে ব্যবসা-বানিজ্য, যাতায়াত সহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হত। কিন্তু রাস্তাটি উঁচু ভাবে নির্মান না হওয়ায় ইউনিয়নের ১৪ টি গ্রামের হাজার হাজার জনগনের দুর্ভোগ চরমে। শুকনো মৌসুমে এ সড়কে যাতায়াত করে ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর, আমানুল্লাহপুর, মাহমুদপুর, চিকনপুর, রুহিতনসী, স্বজনগ্রাম, সন্তোষপুর, কৃষ্ণপুর, কামালপুর গ্রাম সহমোট ১৪ টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
এ বিষয়ে ইউনিয়নবাসী সহ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই সড়কটি সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শীঘ্রই উঁচু করা হোক।
এ ব্যাপারে ১নং লাখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রোপম জানান, এই রাস্তাটি উঁচুভাবে নির্মান হলে ইউনিয়নবাসী পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা পাবে এবং এলাকার উন্নয়ন হবে।