মাওলানা রইস উদ্দিন হতাকাণ্ডের বিচার ও ইসলাম বিদ্বেষী নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে মানববন্ধন তুহিনের মুক্তির দাবিতে ডোমারে তাঁতী দলের বিক্ষোভ ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত "পুড়াখালী তা'লিমুল কুরআন মাদ্রাসা"। চোরাই ১২ টি রেল লাইনের পাতের খুঁটির ৬টি ফেরৎ দিলেও বাকীগুলো উদ্ধারের চেষ্টা নেই ★ প্রশাসন চুরি ও উদ্ধার ঘটনাই জানেন না ★ খুঁটি উঠানো ও চোরাই পথে বিক্রয়ের নায়ক মইজুদ্দীন ধরা ছোঁয়ার বাইরে কথা বলতে পারাটা, অধিকার আদায়ের প্রথম ধাপ : পীরগাছায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ডোমারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে গ্রেপ্তার-১ জবির দুই হলের প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে:- উপাচার্য লালপুরে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস পালন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়: ড. আলী রীয়াজ সুধীজনদের সাথে মত মতবিনিময় সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আজ বিশ্ব মুক্ত গনমাধ্যম দিবস পুরস্কার মিলবে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ জমা দিলে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল জয়পুরহাটে নাগরিক পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী পরিদর্শন সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬ বস্তা ফাঁদ, বরফসহ ট্রলার জব্দ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাটি চাপায় পড়ে বাড়ীয়ালার মৃত্যু বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতন-চাকরিচ্যুত প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শ্যামনগরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সাত কলেজের পরিকল্পনা হোক টেকসই

সাকিবুল হাসান - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 06-01-2025 01:10:15 am

সাত কলেজের কথা ভাবলে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের ছবি ভেসে ওঠে। তাহলো ঢাকা কলেজ,ইড়েন মহিলা কলেজ, বাঙলা কলেজ,কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজ ,শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।২০১৭সালে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারণ তাদের পড়াশোনার মান উন্নয়ন করার জন্য।এখানে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তারা গ্রাম থেকে অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা শহরের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। কিন্তু পড়াশোনা করতে এসে তারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হয়। যা তাদের পড়াশোনার গতিশীলতা কে শীতল করে দেয়।যা আদৌ কাম্য নয়। সাত কলেজের অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে।যা আমাদের কে প্রেরণা যোগায়। সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে পাথেয় হিসেবে কাজ করে।সাত কলেজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় ঢাকা কলেজের কথা। ঢাকা কলেজ ছিল এদেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ।এই বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থী ছিল অনেক প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গরা, খ্যাতিমান কবি সাহিত্যিকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্নে যার অবদান ছিল অবিস্মরণীয়।একইভাবে বাকি ছয় কলেজের ও এমন অনেক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চেয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নাই। আবার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রয়োজন মাফিক ক্লাসরুম নাই।যার কারণে এক ডিপার্টমেন্টের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীর ক্লাস চলাকালীন একই সাথে ২য় ব্যয় বর্ষের ক্লাস থাকলে তাদের জায়গা দিতে হিমশিম খাইতে হয়। অন্যদিকে পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করা ও রেজাল্ট প্রকাশে বিলম্বিত করা এবং সঠিক ফলাফল প্রকাশে ব্যর্থ হওয়া।এক পরীক্ষার পর অপর পরীক্ষা দেওয়ার মাঝে দীর্ঘদিন গেপ থাকা। পরিচয়ের সংকট তো দৃশ্যমান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে পারে । কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্দ্বিধায় নিজেদের পরিচয় দিতে পারে না।কারণ বরাবরই বলা হয়েছে,সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। অনেক ক্ষেত্রে নিজের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয় দিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সার্টিফিকেটে ভিন্ন অ্যাফিলিয়েট শব্দটি উল্লেখ থাকায় উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা দূতাবাস সমূহে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। সাত কলেজ নিয়ে টেকসই পরিকল্পনা গড়তে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক মাথায় রাখা প্রয়োজন। শিক্ষা, প্রশাসন, অবকাঠামো এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা বিবেচনায় একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। সাত কলেজে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।গবেষণার সুযোগ বাড়াতে উন্নত গবেষণা ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন।শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে। সাত কলেজের জন্য আলাদা প্রশাসনিক ইউনিট গঠন করা যেতে পারে।পরীক্ষার সময়সূচি ও রেজাল্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।প্রতিটি কলেজে শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল সুবিধা এবং ক্যাম্পাস পরিবেশ উন্নত করতে হবে।সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ করে পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা বাজেট বরাদ্দ এবং সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য স্বচ্ছ পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে।প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। সাত কলেজের সমস্যা সমাধান হলে আমরা সুন্দর একটি পরিবেশ পাবো পড়াশোনার জন্য।যার সুফল ভোগ করবে সব সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যেখানে কোনো ধরনের শিক্ষা সিন্ডিকেটের বৈষম্যের শিকার হতে হবে না।যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্নের প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। তাই আগামীর সুন্দর দেশ বিনির্মাণে সাত কলেজ পরিকল্পনা হোক টেকসই।

লেখক: ইমরান ফয়সাল শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
আরও খবর
deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

১৫ দিন ১১ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

২৬ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

২৮ দিন ২৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে


deshchitro-67e77b5f5d7ad-290325104727.webp
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা

৩৫ দিন ১১ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে


67e68cb231674-280325054906.webp
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা

৩৬ দিন ৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে