◾এস. এম মুকুল || পেরেশানি বেশি থাকলে আমি নীরব থাকতে চেষ্টা করি। যদিও আমি কর্মক্ষেত্রে সক্রিয়-সানন্দের থাকার চেষ্টা করি সবসময়। কিন্তু মানুষ এত খারাপ যে- তারা নিরবতা বিনষ্ট করেই ছাড়বে। দলাদলি-কোন্দল-মিথ্যাচার ছাড়া প্রাণীগুলো যেন চলতেই পারেনা! মাঝে মাঝে মন চায় সব ছেড়ে পাহাড়ে-জঙ্গলে একাকী থাকা ভালো। তবুও টক্সিনাক্রান্ত (বিষাক্রান্ত) মানুষের থেকে দূরে থাকা দরকার।
এই শ্রেণির মানুষগুলোর সমস্যা হলো- এরা নিজেরা যে বড় রকমের সমস্যা তা তারা বুঝতেই পারেনা! এরা কথার মধ্য দিয়ে একে অপরের কাছে বিষয় ছড়ায়! যার কারণে সুন্দর একটি কথা, ভালো একটি কাজ এমনকি একটি সাধারণ সমস্যাকেও তারা জটিল করে তোলে। আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যারা অপরের কাঁধে বন্ধ রেখে শিকার করতে চায়! নিজেরা পারেনা, তাদের অপারগতাকে অপরের ঘারে চাপায়! এরা নানান সম্পর্কের মাঝে বিষ ছড়িয়ে দেয়। সত্যটাকে রঙ লাগিয়ে নিজের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করে। আমি সত্য, আমি ঠিক- এই চেতনায় বিশ্বাসী এরা। কখনোই তারা ভুল স্বীকার করবেনা। অন্যায় হলেও না।
ছোটবেলার একটা গল্প মনেপড়ে গেল। এক বোনের বিয়েতে গেলাম কঠিন শীতেরকালে। জুবুথুবু হয়ে গ্রামের একটা ঘরে এক বিছানায় ৫-৭ জনকে থাকতে দিলো। আমি ঘুমাতে পারছিনা। অভ্যাস নেই এভাবে ঘুমিয়ে। হঠাৎ মলের গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠলাম। ঘরের ভিতরে কে করল এই কাজ! সবাইকে ডেকে উঠালাম। দেখি ঘরে ভিতর যা-তা অবস্থা। গন্ধে থাকা দায়! এপর্যন্ত ঠিক ছিলো। কিন্তু পরে দেখা গেল আমাদের সবার প্যান্ট ও শার্টের কোথাও না কোথাও ঐ জিনিসটা লাগানো! কী যে অবস্থা আমার। শীতের রাতে গ্রামের পুকুরে গিয়ে গোসল করতে বাধ্য হলাম। যে একাজটি করেছিলো তাকে বললাম- তুই, আমাদেরকে ডাকতি- আমরা বাহিরে নিয়া যাইতাম। ঘরে কেউ এই কাজ করে! আচ্ছা করলি তো করলি, আমাদের গায়ে মাখালি ক্যান? জবাবে সে বললো- আমি একলা গোসল করুম না, তোমরা আরামে ঘুমাইবা! এর লাইগ্যাতো এই কাজ করছি! হায় মাবুদ- টক্সিনাক্রান্ত লোকেরা ঠিক এইরকম।এরা শয়তানের মতো- জাহান্নামে একা যাবেনা, সঙ্গে আরো অনেককে নিয়ে যাবে!!
যাহোক আমাদের দেশ-সমাজ-পরিবারে এসব মানুষগুলো ভয়ঙ্করভাবে বিষ ছড়িয়ে সবকিছুকে তছনছ করে দিচ্ছে। দেখুন- দেশের কি অবস্থা! কীভাবে গুজব ছড়িয়ে দেশটাকে অস্থিতিশীল করছে, শান্তি বিনষ্ট করছে। এই শ্রেণির মানুষদের থেকে দূরে থাকা উচিত। এদের মুখোশ উন্মোচন করা জরুরি।
এজন্য সত্য বলে যেতে হবে অবিরাম। তা না হলে মিথ্যাকে ওরা সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করে ছাড়বে। সত্যের পক্ষে থাকতে হবে। নিদেনপক্ষে নীরবে সত্যকে সমর্থন যোগাতে হবে। ওদের কারণে দুনিয়া হারালেও- আখেরাত হারাতে চাই না। আল্লাহ হেদায়েত করুন।
লেখক : সম্পাদক ও উন্নয়ন গবেষক
১৫ দিন ১২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
২১ দিন ৬ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২২ দিন ৬ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২৬ দিন ১৬ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
২৯ দিন ৫ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১২ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৩৬ দিন ৫ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৩৭ দিন ২ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে