কুলিয়ারচরে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ব্যক্তি উদ্যোগে তালের আঁটি রোপন কর্মসূচী
মোঃ ফরমান উল্লাহ, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সালুয়া গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে তালের আঁটি রোপন কর্মসূচী শুরু হয়েছে। দক্ষিণ সালুয়া গ্রামের সালুয়া ইউনিয়ন ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল কাইউম এ কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছেন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাল গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। তাল গাছ বজ্রপাত প্রতিরোধকারী। তাল গাছে কার্বনের পরিমান বেশী থাকায় বজ্রপাত প্রতিরোধে সক্ষম। তাছাড়া তালে রয়েছে ক্যাসিয়াম ও ফসফরাস যা দাঁত এবং হাড়ের সুরক্ষা দেয়। তালে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামুন-"বি"। যা মানব দেহের ভিটামিন "বি" জাতীয় রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাল মানব দেহে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
জানা যায়, যে এলাকায় তাল গাছ বেশী সে এলাকায় বজ্রপাত কম হয়। পরিত্যাক্ত জায়গা, রাস্তা ও বাড়ির আশপাশে তাল গাছ রোপন করলে একদিনে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে অন্য দিকে ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
প্রতি বছর বাংলাদেশে বজ্রপাতে শতাধিক মানুষ মারা যায়। কয়েক বছর আগেও বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর হার ছিল খুবই কম। তাল গাছ নিধনের ফলে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ দূর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে অন্যান্য বৃক্ষের পাশাপাশি, তালগাছ,সুপারি গাছ ও নারিকেল গাছ রোপন করা খুবই জরুরী।
বজ্রা পাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে সালুযা ইউনিয়নের দক্ষিণ সালুয়া গ্রামের সালুয়া ব্লাড ডোনার্স ক্লাবে প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল কাইউম নিজ গ্রাম সহ আশেপাশে গ্রাম ও রাস্তার পাশে শুরু করেছেন তালের চারা-আঁটি রোপন। তার এ মহতি উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন এলাকার যুব সমাজ। তারা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করছেন তালের আঁটি। গত দুই দিন যাবৎ নিজ গ্রাম সহ আশেপাশে গ্রামের বিভিন্ন পরিত্যাক্ত জায়গা এবং রাস্তার পাশে রোপন করেছেন শতাধিক তালের চারা-আঁটি।
তাছাও আব্দুল্লাহ আল কাইউম স্বেচ্ছায় রক্ত দান, অসহায়,গরীব-দুস্ত মানুষের সেবা করে আসছেন। আর্থ- মানবতার সেবার তার আহবানে সাড়া দিয়েছেন প্রবাসী সহ দানবীর অনেকেই।
আব্দুল্লাহ আল কাইউম বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সমাজের সকল স্তরের মানুষ যদি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সাথে তালের চারা-আঁটি রোপন করেন, তাহলে অক্সিজেনের ঘাটতি পুরন সহ বজ্রপাতের হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
২৯ দিন ১৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৪৩ দিন ১৮ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৪৫ দিন ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৪৬ দিন ১৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৫৫ দিন ১৬ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৫৮ দিন ১৮ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৬১ দিন ১৫ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৬৯ দিন ৯ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে