হামিদের বিদেশ গমন ও আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন আইন উপদেষ্টা ভারতের ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান জুমার পরও চলবে: হাসনাত ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ইলিয়াস কাঞ্চনের জেপিবির শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৩ দুর্যোগ বিষয়ক মহড়া সাগর পাড়ের জীবন যুদ্ধ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ আগুন সাবেক মেয়র আইভি গ্রেফতার সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদিত লাইসেন্স না থাকায় দুই ড্রিংকিং ওয়াটার মালিককে জরিমানা খুবিতে প্রফেসর দীপক কামাল মেমোরিয়াল স্কলারশিপ পেলন ১৬ শিক্ষার্থী মানবতার সেবায় রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা অতুলনীয় - চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ১৬টি টাওয়ারসহ পাইপ ধ্বংস, ১টি ট্রাক ও ২টি মাহিন্দ্র জব্দ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ পদবঞ্চিত নেতাদের কৃষ্ণনগরে কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নিয়মিত ক্রু মিটিং বাস্তবায়ন করায় পুরস্কার পেলেন বাকৃবির রোভার স্কাউট লিডার প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপ পেল বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আশাশুনিতে অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সম্পদ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করণ কর্মশালা পীরগাছায় ভাবীর হোটেলে ১৯৯টাকায় পাওয়া যাবে একটি মোটরসাইকেল ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির

ভেতরে-বাইরে কী হচ্ছে মিয়ানমারে

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 04-09-2022 11:41:02 pm

সংগৃহীত ছবি

◾ আন্তর্জাতিক ডেস্ক


মিয়ানমারকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় এখন সর্বত্র। দেশটিতে সামরিক সরকারের অপশাসন, গণতন্ত্রকামীদের বিপরীতে পীড়ননীতি, অং সান সু কিকে অন্তরীণ রাখা, রোহিঙ্গাদের গণহত্যা তথা বাংলাদেশে পুশইন করানো, বাংলাদেশে মর্টার শেল নিক্ষেপ এবং আকাশসীমায় সামরিক হেলিকপ্টার প্রবেশ করে গোলাবর্ষণ প্রভৃতি বিষয় মানুষকে এই মর্মে ভাবাচ্ছে যে, ‘ভেতরে-বাইরে কী হচ্ছে মিয়ানমারে?’ এক কথায় এর সহজ উত্তর হচ্ছে, ঘরে-বাইরে বেশ চাপে পড়েছে দেশটি।


এই চাপের শুরু মূলত আগস্ট মাসে। ওই মাসে ইয়াঙ্গুন কর্তৃপক্ষ চার গণতন্ত্রকামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এরপরই আসিয়ানের বৈঠকের আলোচ্যসূচির শীর্ষে উঠে আসে ‘মিয়ানমার সংকট’। আসিয়ানের ওই বৈঠকের সপ্তাহখানেক আগে চার গণতন্ত্রকামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপরই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলকে (এসএসি) সতর্ক করে আসিয়ান । 


অবশেষে, ১০ সদস্যের অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের বৈঠকে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেন। আসিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হয়, যতক্ষণ মিয়ানমার সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন না করবে, ততক্ষণ মিয়ানমার আসিয়ানের বাইরে থাকবে। এটা মিয়ানমারের জন্য নিঃসন্দেহে বড় চাপ। 


কিন্তু সমাধানের পথে হাঁটছে না মিয়ানমার। তারা দেশের অভ্যন্তরের গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন রুখে দিতে গতবারের জান্তা সরকারের আমলে আরোপ করা এবং সু কির আমলে বাতিল করা ‘ওভার নাইট গেস্ট রেসট্রিকশন’ আইনটি আবার বলবৎ করেছে। এই আইনের অধীনে কারও বাসায় হঠাৎ করে আসা মেহমানদের তালিকা থানায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই আইনের অপব্যবহার করে প্রায় প্রতি রাতেই কোনো না কোনো শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সন্দেহজনক মনে হলেই লোকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টর্চার সেলে। নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পরিবারের লোকজনকে দিতে হচ্ছে বড় অঙ্কের ঘুষ। 


কিন্তু গণতন্ত্রকামীদের নিরস্ত্র আন্দোলন বর্তমান সময়ে সশস্ত্র আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। সেই আন্দোলনকে রুখতে সামরিক পদক্ষেপকেই বেছে নিয়েছে জান্তা সরকার। সাগাইং অঞ্চলের কানি টাউনশিপে পরিচালিত জান্তা বাহিনী ২৮ আগস্ট আরাকান আর্মির (এএ) পাঁচ সদস্যকে হত্যা করে। এরপরই এই হত্যার সমুচিত জবাব দেয় আরাকান আর্মি। ৩১ আগস্ট চিন রাজ্যের ফালাম শহরের উপকণ্ঠে মিয়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় একজন কর্মকর্তাসহ অন্তত পাঁচজন সরকারি সেনাকে হত্যা করে আরাকান আর্মি। এরপর থেকে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বার্তা সংস্থা মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যে গত সপ্তাহে উত্তর রাখাইন এবং দক্ষিণ চিন রাজ্যে হাজার হাজার স্থানীয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যুদ্ধে আরাকান আর্মি এতটাই সাফল্য পেয়েছে যে, তাদের মোকাবিলায় দেশটির সামরিক বাহিনী ফাইটার জেট এবং হেলিকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহার করতে বাধ্যে হচ্ছে। যুদ্ধের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে শহরের মানুষ বলছে, তারা দূরাঞ্চলের যুদ্ধের শব্দ ঘরে বসেই শুনতে পাচ্ছে। 


উভয়পক্ষের গোলাগুলি এবং গোলাবর্ষণের ঘটনায় শত শত বেসামরিক নাগরিকের হতাহত হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীভাবে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, সেখানে ওষুধের সংকটও দেখা যাচ্ছে।


কিন্তু এই সংঘর্ষের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে জান্তা সরকার। তারপরও সেই ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যখন মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়ছে তখন। শুধু তাই নয়, শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশসীমায় মিয়ানমারের সামরিক কপ্টার অবৈধভাবে প্রবেশ করে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশে গোলাবর্ষণ কিংবা সামরিক হেলিকপ্টার প্রবেশের ঘটনা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ভুলবশত ঘটেছে। এসব পদক্ষেপ তারা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধেই নিয়েছিল। 


আর যদি সজ্ঞানে করে থাকে তবে তার পেছনে একমাত্র কারণ ‘রোহিঙ্গা সংকট’। কারণ রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে মিয়ানমারকে আর কোনো সময় দিতে রাজি নয় জাতিসংঘ। তাই মিয়ানমার নিজেদেরকে নিরাপদ করতে চীনের সমর্থন লাভের পর এবার রাশিয়ার পথে পা বাড়িয়েছে। জান্তা সরকারের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং আগামী সপ্তাহে মস্কো সফরে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ওই গোলাবর্ষণ এবং সামরিক কপ্টারের ইস্যুতে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে এ বিষয়ে তলব করে স্পষ্ট জবাব চাওয়া হয়েছে। 

আরও খবর


681ca152c1c54-080525061930.webp
৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

২১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে