দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাড়াহুড়ো কোনো কাজ ভাল লাগে না লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত তামিম চিরনিদ্রায় শায়িত। কচুয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা সার্ভেয়ারের পরিদর্শন নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় চিলমারীতে "কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের" দিনব্যাপী, হাতে-কলমে শিক্ষা সফর শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ঝিনাইগাতীতে কারিতাসের আয়োজনে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয় ডোমারে ইউএনও'র যোগদান ও বিদায় সংবর্ধনা ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদল কতৃক এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ ১৭ বছর পর মোংলায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন নির্বাচন রাজবাড়ী বিআরটিএতে দুদকের অভিযান: চার দালাল আটক, টাকা উদ্ধার লাখাই উঠেছে তালের শাঁস,প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর। শ্রীমঙ্গলে নগরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন নিশ্চিতে ম্যাক বাংলাদেশের মতবিনিময় ও ইউএনও বরাবর নারী ফোরামের স্মারকলিপি সাতক্ষীরায় নাগরিক প্লাটফর্ম ও যুব ফোরামের সংলাপ অনুষ্ঠিত আক্কেলপুর একযুগ আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা পর ও চলছে স্কুলের পাঠদান।

ইউরো: আরও অনেক দেশের ভবিষ্যৎ মুদ্রা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 26-05-2023 12:34:57 pm

ইউরোপীয় অভিন্ন মুদ্রা ইউরোর স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারা। ইসিবির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (২৪ মে) ফ্রাঙ্কফুর্টে তারা মিলিত হয়েছিলেন। মানবজাতির ইতিহাসে এমন পরীক্ষা কখনো হয়নি। 


ইউরোপের একাধিক দেশ স্বেচ্ছায় নিজস্ব মুদ্রা ত্যাগ করে একক মুদ্রা গ্রহণ করে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে। ২৫ বছর আগে ইউরোপীয় অভিন্ন মুদ্রা হিসেবে ইউরো চালু করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠন করা হয়। 


এরপর ১৯৯৯ সালের ১লা জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি সদস্য দেশে 'অদৃশ্য' মুদ্রা হিসেবে সমান্তরালভাবে ইউরো চালু হয়। ২০০২ সালের ১লা জানুয়ারি প্রথম ইউরো ব্যাংক নোট ও পয়সা হিসেবে সেন্ট সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সদস্য দেশগুলোর জাতীয় মুদ্রা লোপ পায়। 


বর্তমানে ইইউ এর ২০টি দেশে এই মুদ্রা চালু আছে। ৩৪ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ এই মুদ্রা ব্যবহার করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ইসিবি এর রজত জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। 


১৯৯৯ সালের ১লা জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১১টি সদস্য দেশে 'অদৃশ্য' মুদ্রা হিসেবে সমান্তরালভাবে ইউরো চালু হয়।


ব্যাংকের বর্তমান প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ এ দিন ২০টি সদস্য দেশের সংবাদপত্রে ব্যাংকের সাফল্য তুলে ধরেন। ইউরো এলাকায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইসিবির ভূমিকার উপর জোর দেন তিনি। 


অনেক বছর ধরে সেই মাত্রা কম থাকার পর বর্তমানে মূল্যস্ফীতির উচ্চ হারে রাশ টানতে ইসিবি উদ্যোগ নিলেও অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বদলানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। তবে সেই মাত্রা দুই শতাংশে ফিরিয়ে আনতে সূদের হার বাড়ানোসহ সব রকম পদক্ষেপ নেবার অঙ্গীকার করেন লাগার্দ।


জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রোব্যার্তা মেৎসোলা ও ইইউ সরকার পরিষদের প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেল ইসিবির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 


শলৎস ইউরোপীয় অভিন্ন মুদ্রাকে ইউরোপীয় সমন্বয়ের সবচেয়ে সফল প্রকল্পগুলোর অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করেন। তার মতে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'স্থিতিশীলতার নোঙর' হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে আরও দেশ অভিন্ন মুদ্রা হিসেবে ইউরো গ্রহণ করবে বলে শলৎস আশা প্রকাশ করেন।


ইউরোপীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ইউরো মুদ্রা ও ইসিবির ভূমিকার প্রশংসা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের কাঠামোগত দুর্বলতা নিয়ে বিতর্ক কম নেই। কারণ ২০টি দেশে অভিন্ন মুদ্রা চালু হলেও সে সব দেশের আর্থিক ও অর্থনৈতিক নীতির মধ্যে কোনো সমন্বয়ের বাধ্যবাধকতা এখনো নেই। 


ফলে প্রায়ই স্বার্থের সংঘাত দেখা যায়। বিশেষ করে, ইউরোপের উত্তর ও দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে মৌলিক নীতি নিয়ে মতবিরোধ বার বার সমস্যা সৃষ্টি করে। ইউরো মুদ্রার এমন অন্তর্নিহিত দুর্বলতা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ইসিবির ভূমিকা বার বার প্রশংসা কুড়িয়েছে। 


বিশেষ করে, আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে ইউরোর স্বার্থ রক্ষায় পরিস্থিতি সামল দিতে ইসিবি যেভাবে জোরালো উদ্যোগ নিয়েছে, তা আর্থিক বাজার স্থিতিশীল করতেও সাহায্য করেছে। 


বিশেষ করে, ২০১২ সালে ইউরো এলাকায় সংকটের সময়ে ইসিবির তৎকালীন প্রধান মারিও দ্রাগি 'ওয়াটএভার ইট টেকস্' শীর্ষক ভাষণে যে কোনো মূল্যে ইউরো বাঁচানোর অঙ্গীকার করে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন। তবে অসময়ে সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে ইসিবির কিছু ভুলত্রুটি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।

আরও খবর