◾ নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগ সরকার পতনই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর এক্ষেত্রে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কবি নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এমন মত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন যে নিরেট বাস্তবতা, সেই বাস্তবতা হচ্ছে, একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী, দানবীয়-মনস্টার সববিষয় দুমড়ে মুচড়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে; তাকে প্রতিহত করা, তাকে পরাজিত করা, এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
এই লক্ষ্য অর্জনে কবি নজরুল প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই আসুন, আজকে নয়, সার্বক্ষণিকভাবে নজরুল ইসলামকে স্মরণ করে, ধারণ করে সামনের দিকে যেন এগিয়ে যেতে পারি। এটাই হোক আমাদের কাম্য।’
বিএনপিসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনি তুলে ধরে এ থেকে মুক্তি পেতে কবি নজরুলের দেখানো পথকে উপযুক্ত বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘যখন নূরে আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়, অথবা ইলিয়াস আলীকে গুম করে দেওয়া হয়, অথবা আমাদের সমস্ত নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার করা হয়, যখন আমরা দেখি দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়, তখন নজরুল ইসলামকে অনেক বেশি অনুসরণ করতে ইচ্ছে হয়।’
কেন কবি নজরুলকে অনুসরণ করতে চান তারও ব্যাখ্যা দেন একসময়কার অর্থনীতি বিষয়ের এই শিক্ষক। কবিকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘অনেক বড় বড় কবি রয়েছেন, তাদের দ্বারা দর্শন-সাহিত্য রচিত হবে। তখন উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই, সেই লড়াইকে তিনি সবচেয়ে বড় করে দেখেছেন। তিনি মানুষের মুক্তিটাকে বড় করে দেখেছেন।’
কবি নজরুল ইসলামকে রাজনীতি, ধর্ম ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট কোনো গণ্ডিতে আটকে দেওয়া হলে তার প্রতি অবিচার করা হবে বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তাকে একটি সুনির্র্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে নিতে চাই, তখনই আমার মনে হয় তার প্রতি প্রচণ্ড অবিচার করা হয়। ব্রিটিশ আমলে তার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেটা ছিল, তার সৃষ্টির মধ্যে রাজনীতি অত্যন্ত প্রবল ছিল। তিনি রাজনীতি করেছেন, দল তৈরি করেছেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এই দলের মধ্য দিয়ে, তারপরও তাকে সেখানে আটকে রাখাটা আমার কাছে মনে হয় সমীচীন নয়।’
বিএনপি মহাসচিব নজরুলকে বিশ্বমানবতার কবি আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তিনি সত্যিকার অর্থে বিশ্বমানবতার কবি। প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অবাধ বিচরণ এবং সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি আমার মনে হয়, শোষিত-নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা সবসময় সবকালেই মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা দুঃশাসনের কারাগারে আছি। এই কারাগার থেকে মুক্ত হতে কবি নজরুল ইসলাম থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হতে পারি।’
১৫ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১ দিন ৫৪ মিনিট আগে
২ দিন ১৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৩ দিন ১৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৪ দিন ৫৩ মিনিট আগে
৭ দিন ১৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৭ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৯ দিন ৯ মিনিট আগে