ঘাটাইলে রাত হলেই চলে মাটি খেকোদের তান্ডব আদমদীঘিতে পোল্ট্রি ফার্মের ১হাজার মুরগীর বাচ্চা পদদলিত করে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা আদমদীঘিতে জামায়াত নেতাসহ তিনজনকে মারপিট করে দুই মোটরসাইকেল মোবাইল ফোন ছিনতাই দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাড়াহুড়ো কোনো কাজ ভাল লাগে না লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত তামিম চিরনিদ্রায় শায়িত। কচুয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা সার্ভেয়ারের পরিদর্শন নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় চিলমারীতে "কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের" দিনব্যাপী, হাতে-কলমে শিক্ষা সফর শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ঝিনাইগাতীতে কারিতাসের আয়োজনে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয় ডোমারে ইউএনও'র যোগদান ও বিদায় সংবর্ধনা ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদল কতৃক এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ ১৭ বছর পর মোংলায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন নির্বাচন রাজবাড়ী বিআরটিএতে দুদকের অভিযান: চার দালাল আটক, টাকা উদ্ধার লাখাই উঠেছে তালের শাঁস,প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর।

সাতক্ষীরার তালায় প্রকল্পের টাকা পকেটে, প্রকল্প যাচ্ছে নদীতে

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মেলা বাজার এলাকায় কপোতাক্ষ নদে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে মেলা বাজার-মাঝিয়াড়া সংযোগ পাকা রাস্তাসহ ভাঙন সংলগ্ন তিনতলা বাড়িটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতিসত্বর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোনো সময় রাস্তা, মন্দিরসহ তিনতলা বাড়িটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কপোতাক্ষ নদে মেলা বাজার এলাকার ভয়াবহ ভাঙনের থেকে গুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তাসহ মন্দির ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য আপৎকালীন জরুরি প্যকেজে-১ এর মাধ্যমে গাছ দিয়ে পাইলিং ও মাটি দিয়ে ভরাট করার জন্য ২৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মেসার্স তানিয়া এন্টারপ্রাইজ কেশবপুর নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ভাঙন রোধে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তার সিংহভাগ নদীগর্ভে চলে গেছে।

বুধবার কপোতাক্ষ নদের মেলাবাজার ভাঙনকবলিত এলাকায় সরেজমিনে গেলে দেখা মেলেনি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো লোককে।

এ সময় ব্যবসায়ী কাশেম আলীসহ স্থানীয় লোকজন নদীর ওপারে বালুর ভর্তি বস্তা গুলো দেখিয়ে বলেন, কিছু বস্তায় বালি ভরাট করে রাখা হয়েছে। আর মেলা বাজার-মাঝিয়াড়া সংযোগ রাস্তার মুখে বালু ও আরো কিছু বালু ভর্তি বস্তা এবং মোড়ের একটি দোকানের ভিতর রাখা বস্তা গুলো দেখান এ প্রতিনিধিকে।

এ সময় তারা বলেন, এখন শুনছি বালুর বস্তা দিয়ে নাকি ডাম্পিং করবে। সেখানে নাকি আরো ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এত টাকা বরাদ্দ দেওয়ার পরও ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে কখন যে মন্দিরসহ ঘরবাড়ি নদীতে মিশে যায় সেই আশংকায় রয়েছেন তারাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।


এ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুল মতিন বলেন, আপদকালীন জরুরি প্যকেজের-১ পাইলিং ও মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই পাইলিংসহ পাকা রাস্তাটি নদীতে দেবে গেছে। এখন আপৎকালীন জরুরি প্যকেজের-২ এর মাধ্যমে ডাম্পিংয়ের করার কার্যাদেশ পেয়েছি। প্রথম পর্যায়ে ভাঙন এলাকায় ৫০০ বালির বস্তা ফেলা হয়েছে।


বালির বস্তা ভরাটের কাজ চলছে আগামী ১৫ দিনের ভিতর বাকি বস্তাগুলো ফেলে ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিরুল ইসলাম জানান, কপোতাক্ষ নদের তীরে ভাঙন রোধে আপৎকালীন জরুরি প্যাকেজের আওতায় প্রথমে ২৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গাছ ও বাঁশ দিয়ে পাইলিং করলেও সেটা টেকেনি। একই জায়গায় আবারও আপৎকালীন জরুরি প্যাকেজের ২৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৭২০০ বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা হচ্ছে।

বস্তায় বালুর পরিমাণ কমের বিয়য়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন বস্তায় বালু ভরা হচ্ছে। এই কাজ শেষে আমরা ওজন করে নির্দেশনা দিলে সেলাই করে বাঁধ দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রকল্প মনিটরিংয়ের জন্য এমপি সাহেবের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জয় সরকার বলেন, আমাদের কমিটিতে রাখা হলেও কাজের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এমনকি ইস্টিমেটও দেওয়া হয়নি। শুধু একদিন বালুর বস্তা গণনার জন্য জন্য তাদের ডাকা হয়েছিল।



Tag
আরও খবর