সাতক্ষীরায় প্রযুক্তির সহায়তায় নারী প্রকল্পের ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাবটপ বিতরণ নোয়াখালীতে ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার নোয়াখালীতে ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার উপকূলে জেলেদের জন্য ‘লাইফলাইন’ হতে পারে স্টারলিংক ইন্টারনেট ইতালি বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিয়োগ করতে আগ্রহী : প্রধান উপদেষ্টাকে মাত্তেও ফের বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকেই কার্যকর উর্দু ভাষায় পাকিস্তান মাতাবে সিয়ামের ‘জংলি’, চলছে ডাবিং কালীগঞ্জে কিশোরী উদ্ধারে এসে হামলার শিকার যশোরের তিন পুলিশ সদস্য ও এক গৃহবধূ মিরসরাইয়ে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে ছাত্র সমাবেশ গলায় লিচু আটকে প্রাণ গেল শিশুর অবশেষে বদলি হলেন ৫ যুবককে হেনেস্তাকারী ইসলামপুর সার্কেলের সেই এএসপি বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক সাতক্ষীরায় বিজিবি’র অভিযানে কাটাগ্রা ট্যাবলেট, ১০ বোতল মদসহ ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল আটক হাসনাত আব্দুল্লাহর উপর হামলার প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ শামীম ওসমান পরিবারের দুই সহযোগী সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মধুপুরে বিএনপি নেতর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল মধুপুরে সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল নালিতাবাড়ীতে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীতে দুর্নীতি বিরোধী বিষয়ক ফোকাল পার্সনদের দুর্নীতি ও এর প্রতিরোধ এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শ্রীপুরে ভুল চিকিৎসায় গর্ভের ভ্রূণ ও সন্তান হত্যার অভিযোগ

জায়েদা মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল, শ্রীপুর চৌরাস্তা, গাজীপুর.




 গাজীপুরের শ্রীপুরে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর চৌরাস্তার জায়েদা মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে। 


এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের চিকিৎসক শাকিলা শাহরিন ও তার স্বামী হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা সন্দেহে গত ১৪ই জুন ঐ হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক জানান এখনও অন্তঃসত্ত্বা হয়নি। পরে আবার ০৩ জুলাই গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা জানিয়ে ব্যবস্থাপত্র লিখে দেয়। তার ১৫ দিনপর গেলে ভ্রুণটি ভালো অবস্থানে নেই জানিয়ে জরায়ুর ভিতরে থাকা ভ্রুণটি নষ্ট করে বের করার জন্য ব্যবস্থাপত্র দেয়। সর্বশেষ ১ আগস্ট হাসপাতালে যাবার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান ভিতরে কিছু নাই, ঔষধ খাবার পর সবকিছু পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে গিয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এরপর থেকে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাত থেকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথায় কাতরাতে থাকলে সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত চিকিৎসক নষ্ট হওয়া ভ্রুণ জরায়ু থেকে উদ্ধার করে।



ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ভুল রিপোর্ট ও ভুল চিকিৎসার জন্য আমার স্ত্রী অনেক দিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগছে। তিনি তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।



এদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর রায়হান নামে আরেকজন ভুক্তভোগী জায়েদা মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে  ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।


রায়হান জানান, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হবার পর থেকেই নিয়মিত ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে থাকেন। গত ৪ জুলাই চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৮ জুলাই সন্তানের সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের কথা জানান।চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী তারা ১৮ তারিখের অপেক্ষায় থাকেন।এরই মধ্যে ১৫ জুলাই তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন গর্ভের সন্তান নাড়াচাড়া বন্ধ করে দিয়েছে। রায়হান হাসপাতালের পরিচালককে ফোন দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ চাইলে তিনি চিকিৎসকের সাথে কথা না বলতে দিয়ে তিনি  নিজেই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে গ্যাস দেওয়ার কথা বলেন। রায়হান সাথে তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক কাউকে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যান। পর দিন হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান কীভাবে মারা গেলো জানতে চাইলে কোন আশানুরূপ উত্তর দিতে পারেনি। এবং তাদের সহযোগিতা চাইলেও তারা তালবাহানা শুরু করে কোন চিকিৎসা ও সহযোগিতা করেনি। বাধ্য হয়ে ঐ হাসপাতাল থেকে বের হয়ে মাওনা আলহেরা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান এবং তার স্ত্রী মৃত সন্তান প্রসব করেন। আলহেরা হাসপাতালের চিকিৎসকগণ জানান গত ৪ জুলাই সন্তান প্রসবের সঠিক সময় ছিলো, দেরিতে হওয়ায় সন্তানটি মরা যেতে পারে। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন চিকিৎসক কখনও সনোলজিষ্ট কখনও প্যাথলজিষ্ট হিসাবে বিভিন্ন রিপোর্টে স্বাক্ষর করেন। হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল  চিকিৎসক না হয়েও হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসক সেজে ভুল চিকিৎসা ও  পরামর্শ দিয়ে বিভ্রান্ত করেন। এছাড়াও হাসপাতালের নার্স ও স্টাফরা রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে।


এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও হাসপাতালের পরিচালক অভিযোগ অস্বীকার করেন।


শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag
আরও খবর
মাদকমুক্ত তারুণ্যই হবে আগামীর বাংলাদেশ!!!

২৮ দিন ১৬ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে








শ্রীপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন

২৫৯ দিন ১৪ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে