হাসপাতালে আসবাবপত্র সরবরাহের নামে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা ও দেড় কোটি টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ তিন চিকিৎসক ও দুই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সুত্র:ঢাকা পোস্ট
দুই মামলার আসামিরা হলেন— কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল বরকত মুহাম্মদ আদনান, জেলা মার্কেটিং অফিসার শাহজাহান আলী এবং দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আফসানা ইসলাম কাকলী ও মেসার্স এস এল ট্রেডার্সের মালিক মিঞা সাদুল্লাহ বিন হাসান।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে আসবাবপত্রের চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও প্রতারণার মাধ্যমে নিম্নমানের আসবাবপত্র বাজায় দরের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয় করে সরবরাহ করেন। ভ্যাট ও আয়কর বাবদ ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৯ টাকা আত্মসাত করেন এবং আরও ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬১২ টাকা আত্মসারের প্রচেষ্টা করেছেন। এছাড়াও প্রয়োজন না থাকার পরও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজ ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ টাকার আসবাবপত্র ক্রয় করে সরকারকে আর্থিকভাবে ক্ষতিসাধন করেছেন আসামিরা।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল বরকত মুহাম্মদ আদনান, জেলা মার্কেটিং অফিসার শাহজাহান আলী ও নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আফসানা ইসলাম কাকলীকে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল বরকত মুহাম্মদ আদনান, জেলা মার্কেটিং অফিসার শাহজাহান আলী ও মেসার্স এস এল ট্রেডার্সের মালিক মিঞা সাদুল্লাহ বিন হাসান।
এই মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুইটি ভুয়া জিও সৃষ্টি করে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও নিম্নমানের আসবাবপত্র উচ্চ মূল্যে সরবরাহ করে ১৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৭ টাকা সরকারকে আর্থিকভাবে ক্ষতিসাধন ও আত্মসাতের প্রচেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ওই আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে বলে দুদক সূত্রে জানা যায়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪১/৫১১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিয়োয় আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
২২ দিন ১ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৩১ দিন ৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৩৩ দিন ৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩৭ দিন ৫ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৩৭ দিন ৫ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৫২ দিন ১৭ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৫৫ দিন ৪ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে