মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রার্থনা অনন্য দৃষ্টান্ত সোনাইমুড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধা নারীকে জবাই করে হত্যা রাতভর টানা বৃষ্টিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড, নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ কুতুবদিয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন কচুয়ায় মাঠের পানি থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার কুতুবদিয়া সরকারি কলেজে এইচএসসি ২০২৫ ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন চিলমারীতে পানিতে পড়ে যুবকের মৃত্যু আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন নিহত ঝিনাইগাতীতে দেশীয় মাছ ধরার ৯৭৫ মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল আটক ও ধ্বংস ৭৫ বছরের পুরনো কলেজ, ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য লাইব্রেরিতে মাত্র ৪০টি আসন সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন তৈরিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঝিনাইদহে অবৈধ স্থাপনা ও সড়ক থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অফিসিয়াল নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী

সাতক্ষীরায় রেজিস্ট্রার অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ




সাইফুল ইসলাম বাচ্চু যেভাবে ছড়ি ঘোরান সেভাবেই চলে জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস। খোদ জেলা রেজিস্ট্রারও বাচ্চুর বাইরে কথা বলেননা বলে অভিযোগ করেছেন অনেকের।


সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম বাচ্চু’র বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্ণীতি, অনিয়ম, নকল নবিশদের হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।


এবিষয়ে অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি বলে দাবী ভূক্তভূগীদের।


সম্প্রতি আবেদ আলী নামের একজন ব্যক্তি নিবন্ধন শাখার মহাপরিদর্শক বরাবর বাচ্চু’র দূর্ণীতি ও অনিয়মের বিচার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।


অভিযোগ সূত্র জানায়, নকলনবিশ থেকে আসা অফিস সহকারি পদে যোগদানের পরে সাইফুল ইসলাম বাচ্চুকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস, জেলা ৭টি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস একায় নিয়ন্ত্রণ করেন। জেলা ৭টি অফিস থেকে গড়ে মাসে ৪০০০ হাজার দলিল রেজিষ্ট্রি হয় এতে বাচ্চু দলিল প্রতি নেন ২০০ টাকা, মাসে ৩ হাজার নকলে নেন নকল প্রতি ১৫০ টাকা করে। প্রতি মাসে পরির্শনে অফিস প্রতি দিতে হয় লাখ টাকা, ৩০ জন কর্মচারিকে প্রতিমাসে বাচ্চু বাবদ দিতে হয় ৫ হাজার টাকা করে।


জেলায় ১০০ জনের নিকাহ রেজিস্ট্রারকে প্রতি বছর ইনডেন্ট প্রতি দিতে ৩ হাজার টাকা, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার নামে লাখ টাকা নিয়ে থাকে। জেলা অফিসে প্রতি বছর আসবাব পত্র কেনার জন্য যে বাজেট থাকে তার কোন কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচার করে টাকা হজম করে ফেলে। সহকারি বদলিতে দিতে হয় ৫ লাখ টাকা, মোহরার ৩ লাখ টাকা ও পিয়নে দিতে হয় ২ লাখ টাকা। দলিল লেখার লাইসেন্স নবায়ন করতে জনপ্রতি দিতে হয় ১৫০০ টাকা। জেলায় লাইসেন্স আছে ৪০০।


আরো জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারি হয়েও সাইফুল ইসলাম বাচ্চু সাতক্ষীরা শহরে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। কিনেছে শত বিঘা জমি। কৌশলে নিজের ছেলেকে দিয়েছেন নকল নবিশের চাকুরি। যদিও তিনি অফিস করেন না। বোনকে করিয়েছে পদন্নতি। বাচ্চু জেলা রেজিস্ট্রার অফিস নিজের বাড়ি মনে করেন। নিজের ইচ্ছামত করেন অফিসের কাজ। অফিসের প্রধান সহকারী নুসরাত ফাতেমাকে দিয়ে কোন কাজ করান না। কম্পিউটার অপারেটরেরও একই অবস্থা। নিজেই করেন যাবতীয় কাজ।


এ বিসয়ে তদন্তপূর্বক বাচ্চুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে ভূক্তভোগীরা মহাপরিদর্শকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বাচ্চু তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এ সকল অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।’


Tag
আরও খবর