চিলমারীতে পানিতে পড়ে যুবকের মৃত্যু আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন নিহত ঝিনাইগাতীতে দেশীয় মাছ ধরার ৯৭৫ মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল আটক ও ধ্বংস ৭৫ বছরের পুরনো কলেজ, ১২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য লাইব্রেরিতে মাত্র ৪০টি আসন সুন্দরবন সংলগ্ন মালঞ্চ নদীর চরে বনায়ন তৈরিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঝিনাইদহে অবৈধ স্থাপনা ও সড়ক থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অফিসিয়াল নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী নাসিরনগরে মহানবী সা. এর শানে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ সিএনআরএসের বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন কাদাকাটিতে হাত কোদালে খাল খনন চলছে, কাজের খবর জানেন না প্রকল্পের সভাপতি আশাশুনিতে উত্তরণের এক্সেস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ক্ষেতলালে বিডব্লিউবি বিতরণে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় সরকারি বন বিভাগের গাছ কেটে ভূমি দখলের অভিযোগ ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়নে বিনামূল্যে স্যানিটারি ল্যাট্রিন সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরায় বিশ্ব শিশুশ্রম উপলক্ষে আলোচনা সভা সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে ফেন্সিডিলসহ প্রায় চোদ্দ লক্ষ টাকার মালামাল আটক চিলমারীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের দাফন সম্পন্ন গলাচিপায়- স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রয়োগ মেলা ও সেমিনার। লালপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মশালা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক  প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

দুধ পান ও মা হালিম রা: এর তত্ত্বাবধানে রাসুল (সা:) এর লালন পালন



লেখক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান 


রাসুল (সা:) তাঁর মাতার পরে সর্বপ্রথম দুধ পান করেন আবু লাহাবের দাসী সুওয়ায়বার কাছ থেকে।( মোকতাসারুস সীরাহ ১৩ পৃ.)

আরবের তৎকালীন শিশুদের লালন পালনের ব্যাপারে  একটি বিশেষ প্রথা প্রচলিত ছিল, শহর নগরের জনাকীর্ণ পরিবেশেজনিত রোগ ব্যাধির কুপ্রভাব থেকে দূরে উন্নত গ্রামীণ পরিবেশে শিশুদের লালন পালন করার মাঝে যাতে শিশুর বলীষ্ঠ দেহের অধিকারী হয় এবং বিশুদ্ধ ভাষা শিখতে সক্ষম হয় সে উদ্দেশ্যে দুধ পানের জন্য বেদুইন পরিবারের ধাত্রীদের নিকট শিশুদের দেওয়া হত।

উক্ত আরবের প্রথা মতো শিশু মুহাম্মদকে দুধ পান কারানোর জন্য ধাত্রী খুঁজ করেন এবং অবশেষে হালিমা বিনতে আবু যুবায়েরের নিকট তাঁকে প্রদান করা হয়। হালিবা বিনতে আবু যুবায়েরের স্বামীর নাম হলো হারিস বিন আব্দুল উযযা এবং উপনাম ছিল আবু কাবশাহ।তাঁরা স্বামী স্ত্রী দুজনে বনূ সাদ বংশের সম্পর্কীত ছিলেন।এই বছরটি ছিল মারাত্মক দুর্ভিক্ষ ও অভাব-অনটনের বছর। অভাবের তাড়নায় নিঃস্ব যেসব নারীর দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিল তারা দুগ্ধপোষ্য শিশু গ্রহণের ব্যকুল ছিল। হজরত হালিমার দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিল তার নাম হলো আব্দুল্লাহ।ক্ষুধার যন্ত্রণায় শিশু আবদুল্লাহ সারারাত কান্নাকাটি করে, ফলে তারা বিনিদ্র রজনী অতিবাহিত করে। সন্তানের ক্ষুধা নিবৃত্ত করার মতো দুধ ছিল না হজরত হালিমার বুকে।এবং তাঁদের কাছে যে সাওয়ারি ছিল সেটা ছিল দূর্বল।  

শিশু মুহাম্মদকে গ্রহণ সঙ্গে সঙ্গেই বিবি হালিমা অনুভব করলেন যে,তাঁর স্তন দুধে পরিপূর্ণ। তা থেকে শিশু মুহাম্মদকে দুধ পান করালেন। তার সন্তান আব্দুল্লাহকেও দুধ পান করালেন।যে বয়স্ক ও দুর্বল সাওয়ারিতে ছিল সে সাওয়ারী অন্যদের সাওয়ারী থেকে শক্তিশালী ও তার পালনেও দুধে ভরপুর হয়ে গেল। তা থেকে হজরত হালিমার স্বামী হারিস দুধ দোহন করে তারা উভয়ে তৃপ্তিসহকারে দুধ পান করলেন।হজরত হালিমার স্বামী তখন তাকে বললেন, হে হালিমা! জেনে রেখো, তুমি এক মহান কল্যাণময় শিশু পেয়েছ। হজরত হালিমা বলেন,আমারও তা-ই মনে হয়। শুরু হলো শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে হালিমার পথচলা।যে সাওয়ারী নিয়ে আসার সময় হালিমার কষ্ট হয়েছিল সাওয়ারীটি এখন শক্তিশালী কাফেলার সকল সওয়ারীর আগে চলে গেলো।

কাফেলার সহযাত্রী নারীরা বলতে লাগলো, হে হালিমা! একটু দাঁড়াও এবং আমাদের জন্য অপেক্ষা কর। এটা কি সেই সাওয়ারী নয়, যেটায় চড়ে তুমি আমাদের সঙ্গে এসেছিলে?হজরত হালিমা বললেন, ‘হ্যাঁ’। তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম! এ সাওয়ারী পূর্বের অবস্থা হতে পুরোপুরি উল্টো।অতঃপর হজরত হালিমা শিশু মুহাম্মদ কে নিয়ে তাঁর গৃহে হাজির হলেন।আল্লাহর একান্ত মেহেরবানিতে সবাই যখন অভাব-অনটনে নিমজ্জিত, তখন হালিমার গৃহে বেইছে স্বচ্ছলতার সুবাতাস।যেখানে গোত্রের কারো ভেড়া ও ছাগলের পাল পেট পুরে খেতে পারে না এবং দুধ দেয় না সেখানে হজরত হালিমার ভেড়া ও ছাগলের পাল পেট ভরে খায় এবং পালান ভর্তি দুধ দেয়। আর তাতে দ্রুত হজরত হালিমার অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। এবং সাবলম্বী হয়ে ওঠে হজরত হালিমার পরিবার।

 প্রিয়নবির আগমনই ছিল মহান আল্লাহর একান্ত রহমত। যে কারণে পুরো গোত্র দুর্ভিক্ষগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তার গৃহ ছিল সার্বিকভাবে স্বচ্ছল। এর এটি ছিল প্রিয়নবি (সা:)-এর এক বিশেষ মুজিজা।

আল্লাহ তাআলা একান্ত রহমত ও বরকতা দ্বারা হালিমাকে সাহায্য করেন। ক্ষুধা ও ভয় থেকে প্রিয়নবিসহ বিবি হালিমার পুরো পরিবারকে হেফাজত করেন। আর এভাবেই নিরাপদে বিবি হালিমার ঘরে বেড়ে ওঠেন বিশ্বনবি (সা:)।আল্লাহ তাআলা এভাবে দুর্ভিক্ষের মাঝে ও সাহায্য করেছেন তাঁর হাবিব রাসুল (সা:) কে যা ছিল বিশ্বের মুসলিম উম্মাহের জন্য এক মহান শিক্ষা।

আরও খবর
রক্তদাতার যে বিষয় গুলো মেনে চলা জরুরী

৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে