 
                                                            বাংলাদেশে শান্তি ও সম্প্রীতি সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা। গণমাধ্যমকর্মীরাও এই উদ্যোগের বাইরে নয়; বরং তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
ময়মনসিংহের নতুন বাজারে ট্রিপল ট্রি ক্যাফে এন্ড রেস্টুরেন্টে বুধবার দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শান্তি ও সম্প্রীতির প্রসারে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য উঠে আসে। এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ময়মনসিংহে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমের ১৮ জন সাংবাদিক।
যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়নে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি- এমআইপিএস প্রকল্প “সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কাজ করছে। মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার সায়েদুল ইসলাম এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পটির বিশদ উপস্থিত সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা চিহ্নিত, প্রতিরোধ, প্রশমন ও নিষক্রিয় করার মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি জোরদার করাই এমআইপিএস প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।
মতবিনিময় সভার সঞ্চালক দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমন্বয়ক জয়ন্ত কর বলেন, এই মহতী উদ্যোগকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের সাথে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার লক্ষ্যেই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ তাদের কাজের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রসারে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
এখন টিভির ময়মনসিংহ ব্যুরো ইনচার্জ হারুনুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতিরই দেশ। সহিংসতার ঘটনা খুব বেশি না। কিন্তু সেগুলো বেশি প্রচারে আসে। আমাদের উচিৎ, ইতিবাচক খবরগুলো বেশি করে প্রচার করা। এতে অনেকেই উৎসাহিত হবে।
চ্যানেল ২৪ এর আঞ্চলিক বিভাগীয় প্রধান সুলতান মাহমুদ বলেন, সহিংসতার ঘটনা কেন বাড়ছে; মানুষ কেন এত অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে এটা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। গবেষণায় সহিংসতা কমাতে কি কি সুপারিশ আসে তা নিয়ে আমরা সবাই কাজ করতে পারি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক কালের কন্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক নিয়ামুল কবীর সজল বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সহিংসতা হচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হলে পারিবারিক অনুশাসন ও প্রশাসসিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
যমুনা টিভির রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ভুল তথ্য, অপ তথ্য প্রচার হচ্ছে। মানুষ বুঝে না বুঝে এতে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার অনেকেই উদ্দেশ্যমূলক চরিত্রহননে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে। বাক স্বাধীনতার একটা গন্ডি থাকা উচিৎ মন্তব্য করে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের নীতিমালা প্রণয়ণের তাগিদ দেন দৈনিক দিনকালের প্রতিবেদক আমানুল্লাহ আকন্দ জাহাঙ্গীর।
দৈনিক আজকের বাংলাদেশের বার্তা সম্পাদক বাবলী আকন্দ বলেন, যুদ্ধ ও সংঘাত শান্তি বিনষ্ট করে। সাংবাদিকরা তখনই শান্তি প্রতিষ্ঠায় মানুষকে প্রভাবিত করতে পারবে যখন তারা নিজেরা প্রভাবমুক্ত হয়ে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করা ময়মনসিংহের পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রæপ বা পিএফজির কয়েকজন সদস্য। পিএফজি অ্যাম্বাসেডর ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার বলেন, শিক্ষাখাতে আমুল পরিবর্তন আনতে হবে। কেননা পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই দুই স্থান থেকেই মানুষ শেখে। শান্তি ও সম্প্রীতির পাঠ এখান থেকেই দিতে হবে। ঈশ্বরগঞ্জ পিএফজি কোঅর্ডিনেটর ও দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, রাজনীতিতে কেন্দ্রের প্রভাব সরাসরি তৃণমূলে এসে পড়ে। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান তৈরিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের জন্য দি হাঙ্গার প্রজেক্টকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর আখতারুজ্জামান।
৩৫ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            