জিএসটি গুচ্ছভুক্ত জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথমবর্ষে ভর্তির বি ইউনিটের (মানবিক শাখা) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে৷
শুক্রবার (০২ মে) বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় জাবিপ্রবিতেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভর্তি পরীক্ষা যেন উৎসবমুখর পর্যায়ে যেতে পারে সব ব্যবস্থা আমরা করেছি৷’
এ সময় উপাচার্য আগত অভিভাবকদের সাথে পরীক্ষা চলাকালে কুশল বিনিময় ও খোঁজখবর নেন৷ অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ‘আপনারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। আপনাদের মূল্যবান সময় এবং কষ্টের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। শিক্ষার্থীদের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
এ বছর ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসকে ঢেলে সাজিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি, ভলিন্টিয়ার শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক, গোয়েন্দা সংস্থা, স্কাউটদের সার্বিক সহযোগিতায় ভিন্নধর্মী রুপ পেয়েছে৷ অভিভাবকদের বিশ্রাম ছাউনি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পুলিশ ও সাংবাদিক ডেস্ক, ভলিন্টিয়ারদের তথ্য সহায়তা ডেস্ক, অত্যাধুনিক চ্যাকিং পয়েন্ট, গাড়ী পার্কিং, মেডিকেল টিম ইত্যাদি৷ ক্যাম্পাসের বাহিরে প্রধান ফটক সংলগ্নে ছাত্রদল, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব জামালপুর, গ্রীন ভয়েস, সমাজকর্ম বিভাগ ইত্যাদি নানা ধরনের ক্লাব সংগঠনের কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা৷
খলিলুর রহমান নামের এক অভিভাবক জানান ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আরেক অভিভাবক বলেন ‘ঢাবিতেও গেলাম জাবিতেও গেলাম, তোমাদের মত আন্তরিকতা কোথাও পেলাম না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নূর হোসেন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উর্ধতন কর্মকর্তারা উপাচার্যের সাথে পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর বি ইউনিটে (মানবিক) জাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৬১ জন। এর মাঝে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ হাজার ৯৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। উপস্থিতির শতকরা হার ৯৫.৫৬ শতাংশ।