জোবাইদার ৪ ধরনের নিরাপত্তা চেয়ে আইজিপিকে চিঠি বিএনপির গাজায় একদিনে আরও ৪৩ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে উদ্বেগ দেখছে না বিসিবি অন্যায়ভাবে কারও সম্পদ দখল করলে যে গুনাহ গরমে ঘামাচির সমস্যা দূর করবে আমলকি পাংশায় মাছের সাথে এ কী শত্রুতা পাংশায় নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস মুগ্ধতা ছড়ালেন জয়া আদমদীঘিতে শ্রমিক দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত খামারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি,র কার্যালয় উদ্বোধন ও আলোচনা সভা নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ হলরুমে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় জাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার উৎসবমুখর পরিবেশের প্রশংসা সর্বমহলে অভয়নগরে শরীফ হজ গ্রুপ বাংলাদেশের হজ প্রশিক্ষণ ২০২৫ অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলার ৫৪টি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনকে হাজী সেলিম ফাউন্ডেশনের সম্মাননা শৈলকূপায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা বাবুল হোসেন মোল্লাকে দেখতে গেলেন নায়েব আলী মণ্ডল মোংলায় বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ চত্বরে মে দিবস পালন হলোনা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী নিশ্চিত করতে পেরেছে কি আর কোন শামীম ওসমান যেন মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে: ভিপি নুর তিনবার আবেদনেও সাড়া মেলেনি, ক্যান্সারে হার মানলেন ববি শিক্ষার্থী জিমি

বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 18-04-2025 07:53:16 pm


তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। খবর ডয়চে ভেলের


বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এর আগে বাংলাদেশ কী কী করেছে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার।


ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পদক্ষেপ কেন নিল, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতের বন্দরগুলোতে যানজট তৈরি হচ্ছে। পণ্য পরিবহণ করতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ওই জট কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


রণধীর মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নেপাল-ভুটানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। অর্থাৎ, ওই দুই দেশে ভারতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ। 


তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়েছেন, ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক। আমরা গণতান্ত্রিক, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশ গঠনের পাশে আছি।'


কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রণধীরের এই বক্তব্য প্রত্যাশিত ছিল। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের নোটিসেও ভারত এই কথাগুলোই লিখেছিল। শুধু তা-ই নয়, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে ঠিক এই কথাগুলোই লেখা হয়েছিল। গণতান্ত্রিক, সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত। ঈদের বার্তাতেও একই কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি ব্যাংককে এক সম্মেলনে ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদী। সেখানেও ভারতের তরফে এই কথাগুলোই বলা হয়েছিল।


বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এরপর রণধীর আরেকটি বাক্য বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার ওই বাক্যটি যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। রণধীর বলেন, আমাদের ঘোষণার আগে বাংলাদেশের তরফে কী ঘটেছে, তার দিকেও নজর দিতে হবে।


বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতের এই ঘোষণার আগে বাংলাদেশ তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করেছে। বন্ধ করা হয়েছে একটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম। ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তও আগেই নেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, চীনে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ড. ইউনূস। সেই মন্তব্য ভারত খুব ভালো চোখে দেখেনি।


ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ভারতের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। দুই দেশের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, তার জেরেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


তার মতে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে।


আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আরো একটি নজির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে কোনো আপস করেন না। এই পদক্ষেপ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করবে।


ইন্দো-বাংলা চেম্বার অফ কমার্সের উত্তর-পূর্ব ভারতের সাধারণ সম্পাদক অমরেশ রায় বলেন, সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা যে মন্তব্য করেছেন, আমরা তা সমর্থন করি না। ফলে ভারতের এই অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই।


গত মার্চ মাসেই বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত থেকে স্থলপথে সুতা রপ্তানি বন্ধ করা হবে। এর ফলে ভারতের সুতা ব্যবসায়ীদের বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সমুদ্রপথে ভারত থেকে সুতা আমদানিতে কোনো বাধা নেই। 

আরও খবর