গাড়িতে হামলা, আহত হাসনাত ঝিনাইগাতীতে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় নকলের দায়ে ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার পদ্মায় জেলের জালে আটক দুই কাতল ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে হেরোইনসহ ইউপি সদস্য গ্রেফতার । রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি করেনি: ড. খলিলুর রহমান এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ ভিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডোমারে স্কাউট ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী আটক;উদ্ধার ১০ পিছ ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দিবে সরকার কিশোরগঞ্জে দেশীয় অস্ত্র্র ও বুলেটসহ ভুয়া ছাত্র সমন্বয়ক গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন "মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা সভা লালপুরে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় প্রধান আসামী মনি সরদার গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামের মইনুলের ভর্তির ব্যবস্থা করলো জবি ছাত্র শিবির পাগলা-বীরগাঁও রাস্তায় ভাঙন, চরম ভোগান্তির আশঙ্কায় জনসাধারণ নাগেশ্বরীতে নারীর পর্দা নিয়ে কটুক্তি সহকারী অধ্যাপক লাকীর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল আগামী সপ্তাহেই

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 23-11-2022 10:29:09 am

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল। তবে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।


তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেই ফল প্রকাশ করা হবে। তবে বিষয়টি আমাদের হাতে নেই, তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।’


কতটি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে শাহ রেজওয়ান বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদেই নিয়োগ হচ্ছে। সে অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদেই নিয়োগ দেওয়া হবে।’


প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানও আগামী সপ্তাহে ফল প্রকাশ হবে বলে  জানিয়েছেন।


৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। পদ বাড়ানোর ফলে কেউ আদালতে গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যেতে পারে। এ কারণেই পদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না।’


এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।


তবে দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় অবসরজনিত কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হয়। এ কারণে পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।


চলতি বছরের মার্চে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ৩২ হাজারের পরিবর্তে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে শেষমেশ তা ভেস্তে যায়।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য হওয়ায় একসঙ্গে ৩২ হাজারের পরিবর্তে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুসারে সব কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসার কারণে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কয়েক কর্মকর্তার আপত্তির কারণেই অতিরিক্ত ১০ হাজার শিক্ষক নেওয়া যাচ্ছে না।’


চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে এভাবে পদসংখ্যা কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরাও। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে রবিবার (২০ নভেম্বর) মানববন্ধন ও বিক্ষোভও করেছেন তারা।


চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘ দিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রাথমিকে আরও ১০ হাজার পদ শূন্য হয়। পরে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। তারা বলছেন, বৈঠকের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কথা জানান। তবে শনিবার (১৯ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানানো হলো, পদসংখ্যা বাড়ছে না। এটি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।


চাকরিপ্রত্যাশী কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘প্রতিবছর প্রতি ৩ জনে ১ জন আনুপাতিক হারে নিয়োগ দেওয়া হতো। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অধিকাংশের বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হওয়ার প্রান্তে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলাই আছে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে কেন এই ১০-১৫ হাজার অবসরজিনত শূন্য পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না? তাই আমরা কর্তৃপক্ষের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।


বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হচ্ছে।


প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।

আরও খবর