আসন্ন পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে গিয়ে কেউ অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা বা ভিক্ষা করলে তাকে ৭ বছর কারাগারে থাকতে হতে পারে এমন সতর্কতা দিয়েছে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন।
এ ব্যাপারে পাবলিক প্রসিকিউশন জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া নগদ অর্থ বা অন্য কোনো সাহায্য সংগ্রহ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এটি একটি গুরুতর অপরাধ।
সৌদি বিচার বিভাগের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ কথা বলা হয়েছে বলে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গলফ নিউজ।
এ সংক্রান্ত যে আইনের তথ্য মতে, অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে তাহলে তাকে ৭ বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ড অথবা পাঁচ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সমান।
কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সৌদি আরবে হজে গিয়ে ভিক্ষারত অবস্থায় ধরা পড়লে ৭ বছরের কারাবাস ও ৫০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা দিতে হবে তাকে।
প্রতি বছর হজে গিয়ে সৌদি আরবে ভিক্ষাবৃত্তি করেন বহু দরিদ্র দেশের মুসলিমরা। হজের সময় গোটা পৃথিবী থেকে কোটি কোটি মুসলিম সমবেত হন মক্কা ও মদিনায়। সেই সুযোগে অনেকে হজে যাওয়ার নাম করে ভিসা আদায় করে সেখানে ভিক্ষাবৃত্তি করেন বলেও অভিযোগ।
সৌদি প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়েছে, এভাবে বিনা অনুমতিতে হাজিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই অর্থ তছরূপ আইনের ধারায় ভিক্ষাবৃত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা হবে।
সৌদি বিচার বিভাগের পক্ষে জানানো হয়, এই অপরাধে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। হতে পারে ৫০ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা। কারাবাস ও জরিমানার সাজা এক সঙ্গেও হতে পারে।
প্রতি বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন গরিব দেশ থেকে সাধারণ মানুষ হজের সময় সৌদি আরবে ভিক্ষাবৃত্তি করতে যান। এভাবে মোটা টাকা উপার্জন করে দেশে ফিরেও যান তারা।
ইসলামের বিধি অনুসারে প্রত্যেক আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির জীবনে অন্তত একবার হজে যাওয়া বাধ্যতামূলক। চলতি বছর জুনের শেষে বা জুলাইয়ের শুরুতে হজ হতে পারে।
৮ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে