যেকোনো সময় ইরানে হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র! সাতসকালে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, জেরুজালেম-তেল আবিবে বিস্ফোরণ কালের বিবর্তনে কচুয়ার গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নৌকা কচুয়ায় জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরে রিক্সা চালক দুলাল মিয়ার বসবাস চৌদ্দগ্রাম তারাশাইল ইয়াং স্টার ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন. ‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে এবারও নেই মাভাবিপ্রবি ‎ যবিপ্রবিতে 'নিরাপদ খাদ্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ' শীর্ষক ন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না: খামেনি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য রেশন ৮ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ ডলার করবে ডব্লিউএফপি

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 31-12-2023 04:00:57 pm

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আগামীকাল থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের খাদ্য সহায়তা প্যাকেজে প্রতি মাসে খাদ্য রেশন ৮ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ মার্কিন ডলার করবে এবং ধীরে ধীরে এতে স্থানীয় খাবার চাল যোগ করবে। 

আজ একটি ডব্লিউএফপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) কক্সবাজারের সকল রোহিঙ্গার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ডব্লিউএফপি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে জন প্রতি খাদ্য রেশন ৮ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ মার্কিন ডলার কররে এবং ধীরে ধীরে তার খাদ্য সহায়তা প্যাকেজে স্থানীয় খাবার চাল অন্তর্ভূক্ত করবে।’

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কালপেলি বলেন, ‘২০২৩ সাল বাংলাদেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ একটি বছর ছিল। বছরটি তারা একাধিক অগ্নিকা-, ঘূর্ণিঝড় ও প্রথমবারের মতো রেশন কর্তনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেছে। এর ফলে শরণার্থী শিবিরে খাদ্য ও পুষ্টির যোগান হ্রাস পায়-যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এর মধ্যেই দাতা সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দাতাদের এই উদার অবদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা এখন এই খাদ্য সহায়তা বাড়াতে পারি এবং ডব্লিউএফপি’র খাদ্য সহায়তা প্যাকেজে স্থানীয় ও টেকসই খাবার হিসেবে চাল অন্তর্ভূক্ত করতে পারি।’ 

সম্পদের তীব্র হ্রাসের ফলে ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের খাদ্য রেশন হ্রাস পায়। মার্চ মাসে কক্সবাজার ক্যাম্পের সকল শরণার্থীর জন্য জনপ্রতি খাদ্য রেশন ১২ ডলার থেকে হ্রাস পেয়ে ১০ ডলারে এবং জুন মাসে জনপ্রতি রেশন ৮ ডলারে নেমে আসে। রেশন কাটার আগেও পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪০ শতাংশ শিশু দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপুষ্টিতে ভুগছিল ও ১২ শতাংশ তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছিল।

এরপর থেকে ডব্লিউএফপি’র পর্যবেক্ষণে শিবিরে শরণার্থীদের খাদ্য গ্রহণ দ্রুত হ্রাস পেতে দেখা গেছে। জুনে ৭৯ শতাংশ পর্যপ্ত খাদ্য পায়নি এবং নভেম্বরের মধ্যে এখানে জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করতে পারেনি। আরও উদ্বেগের বিষয় হল- শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য ও পুষ্টির দ্রুত অবনতি ঘটে। 

ডব্লিউএইও’র জরুরি শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, সর্বশেষ পুষ্টি সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলগুলোতে দেখা যায় যে, বিশ্বব্যাপী তীব্র অপুষ্টি (জিএএম) বেড়েছে ১৫.১ শতাংশ-যা ২০১৭ সালের শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ এবং এটা ১৫ শতাংশের জরুরি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। 

২০২৩ সালে শরণার্থীরা আবার একাধিক বড় সংকটে পড়ে। এ বছর তারা বারবার ঘূর্ণিঝড়, বর্ষার বন্যা ও ভূমিধসের সম্মুখীন হয়। এছাড়াও শিবিরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি মানব পাচারের কারণে তাদের দুর্বলতা আরও গভীর হয়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৩,৪৬৮ রোহিঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ নৌকা সফরে গিয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। 

রেশন বাড়ানোর পাশাপাশি ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় খাবার চাল বিতরণ শুরু করবে। প্রথমে একটি বা দুটি শিবিরে এ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ধীরে ধীরে কক্সবাজার ও ভাসানচর দ্বীপের সমস্ত ক্যাম্পেই তা বিস্তৃত হবে। 

স্কালপেলি আরো বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয় বাংলাদেশীদের সহায়তা করার সময় রোহিঙ্গাদের প্রতি সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি। এই বাংলাদেশীরা এত বছর ধরে এত উদারভাবে রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তা করেছে। 

আমাদের সমস্ত দাতাদের প্রতি তাদের অটল সমর্থন ও সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা অশেষ কৃতজ্ঞ। ২০২৪ সালে রোহিঙ্গাদের পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর রেশন সরবরাহ নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে আমরা তাদের উপর নির্ভর করছি।’

আরও খবর