লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়।
লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়।
লাখাইয়ের ১নং লাখাই ইউনিয়নের লাখাই চিকনপুরের ব্রীজ এবং সংলগ্ন এলাকা মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত, বর্ষা আসতেই বিকেলের ঢেউয়ের কল্লোলে ব্রিজের নিচে পানিতে গোসল, হই হুল্লোড়, ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আনন্দ উল্লাস ও উম্মাদনায় মেতে ওঠে নানা বয়সের পর্যটকরা।
বিকালের দক্ষিণের মৃদু বাতাস, কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি। ব্রিজের নিচে আশেপাশে হাওয়ারের পানির সঙ্গে একের পর এক ঢেউ ব্রিজের সড়কে এসে আঁছড়ে পরছে। আর আকাশের কালো মেঘের ঘনঘটা জানান দিচ্ছে বর্ষার আগমনের বার্তা। এরই মধ্যে এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে লাখাই উপজেলার একমাত্র সম্ভাবনাময় পর্যটক কেন্দ্র লাখাই চিকনপুর ব্রীজ। তবে বর্ষার আগমনের পর থেকেই এখানে পর্যটকের আগমন বেড়ে গেছে। এ যেন প্রকৃতি আর পর্যটকের নীবিড় সেতুবন্ধন। তাদের কাছে বর্ষার মৌসুমে আলাদা এক অনুভূতি। বর্ষায় হাওরের পানির ছোট ছোট ঢেউয়ে পর্যটকদের গোসল ও সাতার কাটতে উপচে পড়ে। বর্ষাকালে সাতার কাটা, ফুটবল নিয়ে পানিতে খেলা, ঢেউয়ের সাথে গাঁ ভাসিয়ে দিয়ে পানিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে পর্যটকরা। এমন ছন্দময় সময়কে স্বরণীয় করে রাখতে অনেকেই ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলছে। কেউ কেউ ব্রিজের উপরে শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে, হাওরের পানি ঢেউ ও প্রকৃতি উপভোগ করছে। আবার কেউ ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাওরের পানিতে। বর্ষার পানি আসলেই পর্যটকদের ব্যাপক চাপ বেড়ে যায় এই চিকনপুর ব্রীজে। আরও ব্যাপক সমাগম ঘটবে পর্যটকদের এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ১ নং লাখাই ইউনিয়নে চিকনপুর গ্রামের পাশে এ পর্যটনকেন্দ্র চিকনপুর ব্রিজ অবস্থিত।
চিকনপুরের ব্রীজে ঘুরতে আসা অলিপুরের পলাশ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ওলীপুর আরএফএল কোম্পানিতে জব করি আজ বন্ধের দিন হওয়ায় এখানে ঘুরতে আসছি, আমার বাড়ী রংপুরে স্থানীয় বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারলাম লাখাইয়ের চিকনপুরের ব্রীজ নাকি মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত,তাই দেখার জন্য বন্ধুদেরকে নিয়ে ঘুরতে আসলাম।চিকনপুরের ব্রীজে সংলগ্ন এলাকায় সাঁতার কাটতে আসা লাখাই স্বজনগ্রামের বাসিন্দা আব্দাল মিয়া বলেন, বর্ষার আগমনে বিকাল হলেই সাঁতার কাটার সরঞ্জাম নিয়ে এখানে চলে আসি, এখানে শুধু লাখাই নয় বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটক চলে আসে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য, আমরা সকলে মিলে আনন্দ উল্লাস করি।
একটু দুরে দেখা যায় এক কোমলমতি কন্যা শিশু বাবার হাত ধরে হাটছে মনের আনন্দে,আর সারা শরীর কাদাভরা জ্বলে ভিজছে,তার অনুুভুতি জানতে চাইলে মিষ্টি মেয়েটি বলে আমি তাবাস্সুম আমি প্রতিদিন বিকালে এখানে বাবার সাথে ঘুরতে আসি,তাদের বাড়ী জানতে চাইলে তাবাস্সুমের বাবা বলেন আমি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি আমার বাড়ী ঢাকা গাজীপুরে,আমি দীর্ঘদিন ধরে লাখাইয়ে আছি, বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিকেল হলে এখানে ঘুরতে আসি, এখানে ঘুরতে আসলে মনে হয় আমি কক্সবাজারেই আছি।
এ ভাবেই বামৈর পশ্চিম দিক থেকে চিকনপুরের ব্রীজ পর্যন্ত, বিকাল হলে উৎসব মুখোর পরিবেশ তৈরি হয়।