১০অক্টোবর সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চিরিরবন্দর উপজেলা শাখার ত্রি বার্ষিক কাউন্সিলে আওয়ামীলীগ এর এক গ্রুপে সভাপতি পদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও সাধারন সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান অপর গ্রুপে সভাপতি পদে সুনীল কুমার শাহ্ ও সাধারন সম্পাদক পদে আহসানুল হক মুকুল প্রতিদ্বন্দিতা করে।কিন্তু কাউন্সিল চলাকালীন সময়ে সভাপতি প্রার্থী জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও তার সমর্থকরা কাউন্সিলের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে আহ্সানুল হক মুকুলের সমর্থকরা বাঁধা প্রদান করলে দু পক্ষের মধ্যে চরম সংঘর্ষের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাস্থলে সভাপতি প্রার্থী জ্যোতিষ চন্দ্র রায়,সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান,এবং জ্যোতিষ চন্দ্রের ভাই লক্ষী কান্ত রায়, সোনা কান্ত রায় ও নিবারন চন্দ্র রায়কে লাঠি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরতর জখম করে। এ ঘটনায় অন্ততপক্ষে আরো দশজন আহত হয়। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যিল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত সভাপতি প্রার্থী চিরিরবন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায় ও তার ভাই লক্ষী কান্ত রায় বলেন আমরা কাউন্সিলে প্রবেশ করতে গেলে সাধারন সম্পাদক পদ প্রার্থী আহসানুল হক মুকুল এর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঠিক করে রাখা ভারাটিয়া সন্ত্রাসীবাহিনী দিয়ে আমাদের কাউন্সিলে প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করে।আমরা কাউন্সিলে জোর করে প্রবেল করতে গেলে মুকুলের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীবাহিনী অস্ত্র সত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর কাউন্সিলকে ঘিরে সভাপতি প্রার্থী সুনীল কুমার সাহা ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আহসানুল হক মুকুল তারা আজীবন নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার স্বার্থে একটা প্রহসনের কাউন্সিল দিয়ে নিজেরাই টিকে থাকতে চায়।গনতান্ত্রিক পন্থায় আওয়ামীলীগ এর দুর্দিনের একনিষ্ঠি কর্মীরা নির্বাচনের মাধ্যমে পদ পদবীতে আসুক এটা তারা চায়না।আর কাউন্সিনে যেন আমরা অংশগ্রহন করতে না পারি সেজন্যই সে তার ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।এবং তারা এও বলেন যে যারা আজকে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে কাউন্সিলে ব্যক্তি স্বাধীনতা হনন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে আমাদেরকে নির্মমভাবে আহত করেছে তাদের দ্রুত আইনের এনে শাস্তির দাবী জানান।