নাটকীয় লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াকু স্কোর তুলেছিল ভারত। পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৬৭ রানের। কিন্তু বাদ সাধল বৃষ্টি। প্রথম ইনিংসে দুইবার বৃষ্টির কারণে কিছু সময় ম্যাচ স্থগিত থাকলেও পুরো ৫০ ওভারই খেলতে পারে ভারত। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর প্রকৃতি সহায় হয়নি। ইনিংস বিরতির সময়ে শুরু হওয়া বৃষ্টি একদফা থামার পর আবারও মুষলধারে নামে। তাই ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি। পরিত্যক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট ভাগাভাগি করল দুই দল।
এদিকে, গ্রুপ ‘এ’ তে প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে পাকিস্তানের সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে ভারতের পরের ম্যাচেই চূড়ান্ত হবে এই গ্রুপ থেকে অন্য কোন দল খেলবে সুপার ফোরে। অবশ্য দুর্বল নেপালের বিপক্ষে ভারতের জয়ই অনুমেয়।
এরআগে, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) শ্রীলংকার পাল্লেকেলেতে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্ধী। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই রান তুলতে হিমশিম খেতে থাকে ভারত। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। দুজন মিলে বেশ ধীরগতিতে রান তুলতে থাকেন। এর মধ্যেই ইনিংসের চার ওভার শেষ হতেই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পরপরই ভারতের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে আসেন শাহীন আফ্রিদি।
১১ রানে রোহিতকে বিদায় করার পর বিরাট কোহলির (৪) লেগ স্টাম্পও উপড়ে ফেলেন এ পেসার। এরপর শুভমানের সঙ্গে এসে জুটি বাধেন শ্রেয়াস আইয়ার। দারুণ শুরু ইঙ্গিত দিয়েও ৯ বলে ১৪ রান করে হারিস রউফের বলে ধরা পড়েন আইয়ার। শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ভারত। আইয়ারের বিদায়ে গিলের সঙ্গে এসে জুটি বাধেন ইশান কিশান। দুজন মিলে দলকে ধীরেসুস্থে এগিয়ে নিতে থাকেন।
হাত খুলতে গিয়ে হারিস রউফের বলে বিদায় নেন ৩২ বলে ১০ রান করা গিল। গিলের বিদায়ে ঈশানের সঙ্গে সে জুটি বাধেন হার্দিক পান্ডিয়া। দুজন মিলে রানের চাকা সচল রেখে এগিয়ে নেন ভারতের ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ঠিক রেখে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলীয় রান ১০০ পার করেন তারা।
দলীয় শতকের পর দুজন মিলে হাত খুলতে শুরু করেন। তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকে ভারতের রানের চাকা। এর মধ্যেই ফিফটি তুলে নেন ইশান। ৫৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কার মারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭ম ফিফটি তুলে নেন এই তরুণ। ইশানের ফিফটির পর ফিফটি তুলে নেন হার্দিকও। ৬২ বলে ৩ চারের মারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটির দেখা পান এই অলরাউন্ডার। হার্দিকের ফিফটির পর আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ৮২ রানে রউফের বলে বিদায় নেন কিশান। এর আগে পঞ্চম উইকেটে ম্যাচ বাঁচানো ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি গড়েন দুজন।
ইশানের বিদায়ের পর জাদেজাকে নিয়ে আগাতে থাকেন হার্দিক। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাকেও ৮৭ রানে থামিয়ে দেন শাহীন। একই ওভারের শেষ বলে ফাঁদে পা দিয়ে রিজওয়ানের হাতে ধরা দেন জাদেজাও (১৪)। শেষের দিকে বুমরাহর ১৬ রানে ভর করে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় ভারত। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল আগেই ২৬৬ রানে ভারতকে অলআউট করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পক্ষে ১০ ওভারে ৩৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। ৩টি করে উইকেট দখল করেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ।
৩ দিন ১১ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১৬ দিন ২১ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৩৭ দিন ৯ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৩৮ দিন ১০ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৪২ দিন ৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৪৩ দিন ৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৪৩ দিন ৭ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৪৭ দিন ১১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে