চোরের ছুরিকাঘাতে চাটখিলে বৃদ্ধার মৃত্যু ধর্ষন মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী এক মুসলিম দেশ রাজশাহী কলেজে ভাইভা দিতে এসে ছাত্রলীগ কর্মী আটক মিরসরাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থ্য পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সুন্দরবনে হরিণ মারার ফাঁসদড়ি ও দুটি নৌকা উদ্ধার শান্তিগঞ্জে পিক-আপের ধাক্কায় শিশু নিহত,গুরুতর আহত-১ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত আম ধ্বংসসহ ২টি দোকানে জরিমানা ঝিনাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার একই ব্যক্তি !! পীরগাছায় পাঁচদিন ধরে জামে মসজিদে তালা কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগ চায় এনসিপি জাবিপ্রবিতে ইইই বিভাগে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম চীনের সঙ্গে চুক্তি, মোংলা বন্দর পরিণত হবে আধুনিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘জুলাই ঐক্য’র আত্মপ্রকাশ সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেলেন যারা বড় ধরনের সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া বাস্তবায়ন করা হবে না নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিছু প্রতিক্রিয়া আক্রমণাত্মক ঝিনাইগাতীতে ফরমালিনযুক্ত আমের দোকানে অভিযান, ফরমালিনযুক্ত বেশকিছু আম ধ্বংস চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা নওগাঁর বদলগাছির ‘নাক ফজলি আম’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি

শার্শার ঠেঙামারি বিলে জলাবদ্ধতায় হয়না আমন ফসল, হাজার হাজার চাষী নিঃস্ব


১৯ ৭১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ঠেঙামারী বিলের ৫শ একর আমন ধানের জমি ৬ মাস ধরে পানির নিচে তলিয়ে থাকে। ফলে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার কারনে শত শত চাষী আজ পথের ফকির। টানা ৫৩ বছর ধরে এই বিলে কোনো আমন ফসল হয়না। যে কারনে কৃষকরা তাদের জায়গা জমি হারিয়ে হয়েছে দিশে হারা। এক কালে যারা ধনী চাষী পরিবার ছিলো আজ তারা অসহায় পড়েছে। ঠেঙামারী বিলসহ আসপাশের আওয়ালী বিল ও গোমর বিল সহ বেশ কয়েকটি বিল আষাঢ়মাস থেকে পানির নীচে ডুবে থাকে। যার দরুন উপজেলার রুদ্রপুর, দাউদখালী, ভবানীপুর, কায়বা, পাঁচকায়বা, গাজীর কায়বা,পাড়ের কায়বা ও বাইকোলা গ্রামসহ কায়বা ইউনিয়নের  ৮ গ্রামের হাজার হাজার চাষী আমন ধানের চাষ করতে না পেরে পথের ফকির বনে গেছেন। তারা এখন শুধু ইরিচাষের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। অনেক সময় বিলের পানি সময়মতো  নিষ্কাসিত না হওয়ায় ইরি বোরো চাষেও ব্যার্থ হয়ে যায় চাষীরা।


এ জলাবদ্ধতার আজও কোনো সমাধান করেনি কোনো সরকার।


 জানা গেছে, ভারত বাংলাদেশ সীমানা নির্ধারণী নদীর সাথে সংযোগ খাল রয়েছে ঠেঙামারী বিলের মাঝ দিয়ে। যেটা চলে গেছে শার্শা উপজেলার উত্তর অঞ্চলে।  বর্ষা মৌসুমে ঐ অঞ্চলের সমুদয় বিলের পানি জমা হয় এ ঠেঙামারী বিলে। এবং এই পানি নামতে নামতে ইরি মৌসুমে শেষ হয়ে যায়। চাষীরা আমন ধান তো লাগাতেই পারেনা। এমনকি ইরি বোরো ধানও  লাগাতে পারেনা চাষীরা। ৮০ ও ৯০ দশকের শেষ দিকে রুদ্রপুর ও দাউদখালী গ্রামের জিরো পয়েন্টে দুটি স্লুইসগেট নির্মান করা হয়েছিলো। নির্মানে ত্রুটি থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না। গত বছর পরীক্ষা মুলক ভাবে খালের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়।  এবং বিলের পানি সেচে ইরিধান রোপন করা হয়। খালের মুখ বন্ধ করার ফলে নদীর জোয়ারের পানি এবার প্রবেশ করতে পারেনি। যেকারণে পানির চাপ এবছর একটু কম ছিলো। তার পরেও বিলে জমে থাকা পানি বেরুনোর কোনো রাস্তা না থাকায় জলাবদ্ধতার কোনো নিরসন হয়নি।


 এলাকাবাসী ও চাষীদের দাবী গোমর বিলের ভেতর দিয়ে নতুন খাল কেটে কলারোয়া উপজেলার সোনাই নদীর সাথে সংযোগ ঘটালে ও ইছামতী নদীর সংযোগস্থলে বাঁধ দিয়ে মোটর গেট চালু করতে পারলে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার নিরসন হতে পারে।

আরও খবর