সাবেক এমপি রবি পুত্রের প্রতি ফুঁসে উঠেছে ভোমরা স্থল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা
সাবেক এমপি রবি পুত্রের প্রতি ফুঁসে উঠেছে ভোমরা স্থল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা
মোঃ আজগার আলী, সদর উপজেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সদ্য সাবেক এমপি পুত্র মীর তানজীর আহমেদের সীমাহীন শোষণের হাত থেকে তারা মুক্তি চায়। ফুঁসে উঠেছে ভোমরা স্থল বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হরণ করে নেওয়া তাদের ন্যায্য মজুরীর টাকা সঠিক হিসাবে পেতে চায়। আর এরই প্রেক্ষিতে ভোমরা স্থল বন্দরে কর্মরত চারটি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মজুরী বৈষম্যের বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যে ০৭ (সাত) কর্ম দিবসের আলটিমেটাম দিয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমতাবস্থায় সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আহরণে কোনপ্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হওয়া নির্ভর করছে মেসার্স ড্রপ কমিউনিকেশন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সাবেক এমপি পুত্র মীর তানজীর আহমেদের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের উপর।
ভোমরা স্থল বন্দরের একাধিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত শ্রমিক ঠিকাদার মেসার্স ড্রপ কমিউনিকেশন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মীর তানজীর আহমেদ বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে টন প্রতি মজুরী গ্রহণ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের কেবলমাত্র ভারতীয় ট্রাক প্রতি ৪০০ (চারশত) টাকা হারে মজুরী প্রদান করছিল। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বিরতিহীন আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯-০৩-২৩ খ্রি: তারিখে খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ শ্রম আইন২০০৬(সংশোধিত-১৮)এর২১০(৮) ধারার বিধান মোতাবেক টনপ্রতি ১৫ (পনেরো) টাকা হারে শ্রমিকদের মজুরী প্রদানে সম্মত হয়ে নিস্পত্তিনামায় স্বাক্ষর করেন শ্রমিক ঠিকাদারের পক্ষে সাবেক এমপি পুত্র মীর তানজীর আহমেদ। নিস্পত্তিনামা মোতাবেক ১৯-০৩-২৩ তারিখ থেকে ৩০-০৪-২৩ তারিখ পর্যন্ত টনপ্রতি ১৫ (পনেরো) টাকা হারে শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করলেও পরবর্তি মাসে অর্থাৎ মে মাসে শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে মোজাফ্ফার গার্ডেনে ডেকে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে ভারতীয় ট্রাক প্রতি ৫০০ (পাচশত) টাকা হারে মজুরী প্রদানের অবৈধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। যা টনপ্রতি ১০(দশ) টাকা হারের কাছাকাছি। সেই মোতাবেক অদ্যাবধি বন্দরে শ্রমিকদের মজুরী পরিশোধ করছেন।
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভোমরা বন্দরের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সকল ভয়কে জয় করে শ্রমিকদের অব্যাহত দাবির মুখে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর তাদের দাবিনামা পেশ করেছেন। যদি ঠিকাদারের পক্ষে মীর তানজীর কোন টালবাহানা করেন সেক্ষেত্রে বন্দরে যেকোন আনাকাক্ষিত ঘটনার জন্য মীর তানজীরই দায়ী থাকবেন বলেও তারা দাবিনামায় উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ১১৫৫ এর সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং ১৯৬৪ এর সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবলু জানান, একজন ঊর্দ্ধতন সরকারি কর্মকর্তার নিস্পত্তিনামাকে অগ্রাহ্য করে আমাদের দিয়ে অবৈধ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার পর থেকে আমরা সাধারন শ্রমিকদের অব্যাহত চাপের মধ্যে ছিলাম। নূতন এমপি মহোদয় একজন শ্রমিক বান্ধব মানুষ।শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়ে তাঁর সুদৃষ্টি থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।