স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অনিয়মের চিত্র আদমদীঘিতে নাগর নদীর তলদেশ থেকে উত্তোলন করা বিপুল বালু জব্দ শ্রীপুরের জি.কে আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজের পরিচালনা পর্ষদের পরিচিতি অনুষ্ঠান আদমদীঘিতে প্রধান শিক্ষককে মারপিটের বিচার দাবীতে মানববন্ধন সিংড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের সময় গ্রেফতার ১জন ঈশ্বরগঞ্জে ১৫ কেজি গাঁজাসহ আটক ২ লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে গণহত্যা দিবস পালিত অবশেষে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু ঢাকায় শাপলা চত্বরে গণ হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান তৈয়েব হাসান বাবু ফিফা’র আমন্ত্রণে যাচ্ছেন বাগদাদ বিচারপতি মাহমুদুল হক সাতক্ষীরায় ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলেন গলাচিপা ইউএনও এর বদলির আদেশ প্রত্যাহরের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত সদর উপজেলায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সুন্দরবনে বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে জন্মাল ৬৫ বাচ্চা গোয়ালন্দে নতুন ভবনে সোনালী ব্যাংক উপজেলা শাখার কার্যক্রমের উদ্বোধন বাঘায় ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছের চাপায় এক গৃহবধূর মৃত্যু বাঘায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নাগেশ্বরীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন আইসটি কম্পিউটার এ্যান্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন। রংপুর অঞ্চল অচল করে দেয়ার হুমকি দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা লাখাই ডি সি রোডে শুকানো হচ্ছে গরুর খাদ্য খড়,যানচলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

সাতক্ষীরায় অর্থকারী ফসল উৎপাদন সুপারি

সাতক্ষীরায় অর্থকারী ফসল উৎপাদন সুপারি

 

 

মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:  

সাতক্ষীরা জেলার অর্থকারী ফসল হিসেবে সুপারির উৎপাদন বাড়ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় উৎপাদনে তেমন খরচ না থাকায় জেলায় বাগান বাড়ছে সুপারির। বছরের সাড়ে ৪শ’ টন সুপারি উৎপাদন হয় সাতক্ষীরায়। যার বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকার উপরে।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরায় পান উৎপাদনের পাশাপাশি বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সুপারি উৎপাদন হয়। বর্তমান সময়ে পান-সুপারির চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই দু’টি পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রমান্বয়ে ফসলটির উৎপাদনও বাড়ছে। কৃষকরা তাদের বাড়ির আঙ্গিনার পাশাপাশি পতিত জমিতে ও সীমানা প্রাচীরের ধার দিয়ে এখন সুপারির গাছ লাগাচ্ছে। ফলে ক্রমান্বয়ে জেলায় এই ফসলটির উৎপাদন বাড়ছে। সাতক্ষীরার মধ্যে তালা উপজেলায় সব চেয়ে বেশি সুপারির চাষ হয়ে থাকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যানুযায়ী চলতি মৌসুমে জেলায় সুপারি আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ বিঘা জমিতে। যার উৎপাদন হয়েছে ৪৫০ টন। কেজি প্রতি শুকনা সুপারির বাজার দাম ৪৫০ টাকা। এ হিসাবে ৪৫০ টন সুপারির বাজার মুল্য ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

সূত্রটি আরও জানায়, গত তিন বছরের ব্যবধানে জেলায় সুপারি আবাদ বেড়েছে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় মোট সুপারি আবাদ ছিলো ১ হাজার ১৫০ বিঘা জমিতে। যা বর্তমানে বেড়ে দাড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫০ বিঘায়।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা কুমিরা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, তার তিন বিঘা পরিমাণ জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। নারিকেল বা অন্যান্য ফসলি গাছগাছালির সাথেই মুলত সুপারি গাছ লাগানো রয়েছে। এসব সুপারি গাছে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর যাবত ফল দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বছরে তার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা সুপারি বিক্রি হয়। এসব সুপারি স্থানীয় ব্যাপারীরা বাগান থেকে পাইকারী মুল্যে পেড়ে নিয়ে যায়।

আমজাদ হোসেন আরও বলেন, তার গ্রামে বহু সংখ্যক পান বরজের পাশাপাশি সুপারি বাগান রয়েছে কৃষকদের।

সাতক্ষীরা জেলার পাইকারি সুপারি বিক্রির মোকাম হচ্ছে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজার। সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গল ও শুক্রবার এখানে পাইকারি সুপারির হাট বসে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ সুপারি উঠে এই হাটে। স্থানীয় ছাড়াও পার্শ্ববর্তী যশোর ও খুলনা থেকে পাইকারি ব্যাপারীরা সুপারি সংগ্রহ করেন পাটকেলঘাটা বাজার থেকে।

পাটকেলঘাটা বাজারের সুপারি বিক্রির আড়তদার হযরত আলী জানান, প্রতি সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গল ও শুক্রবার তার আড়তে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার সুপারি ক্রয়-বিক্রয় হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা পাটকেলঘাটা থেকে সুপারি ও পান কিনতে আসেন। তারা এখান থেকে কিনে নিয়ে জেলার অন্যান্য খুচরা বাজারে বিক্রি করেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা রাজার বাগান এলাকার সুপারি ব্যবসায়ী প্রণব চ্যাটার্জি বলেন, সুপারি কাঁচা বা শুকনা দুটোরই বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পান ও সুপারি বিক্রি করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার জেলার পাটকেলঘাটা থেকে পান ও সুপারি পাইকারি ক্রয় করেন। কাঁচা সুপারি প্রতি হাজার ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে কিনতে হয়। এছাড়া শুকনা সুপারি পাইকারি দর যাচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, পান ও সুপারি আমাদের দেশের খুবই অর্থকারী ফসল। তবে পার্শ্ববর্তী খুলনা বা বাগেরহাট জেলার তুলনায় এ জেলায় সুপারি বা পান উৎপাদন কম। তার পরও বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সুপারি উৎপাদন হচ্ছে সাতক্ষীরাতে। এখন অনেকে বাড়ির বসতভিটার সাথেই সুপারি বাগান করছেন, আবার কোনো কোনো কৃষক সাথী ফসল হিসেবেও সুপারির সাথে বিভিন্ন ফসল করছেন। তবে পান এবং সুপারি খুবই লাভজনক ফসল। সাতক্ষীরায় এটির চাষ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Tag
আরও খবর