কুলিয়ারচর উপজেলার পীরপুরে প্রতিবেশীর হামলার শিকার হয়ে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম হাসপাতালের বেডে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছেন, অঞ্জনা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। হামলার সময় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপের আঘাতে মাথায় মারাত্মক জখম হয়। তার মাথায় ১০ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিক উপজেলার রামদী ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের পারুল মিয়ার দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হাসপাতালে খোঁজ নিতে গেলে এ ঘটনায় অঞ্জনা বেগম (৪৫) জানান, ঘটনার দিন আমার ছেলে তোফাজ্জল পারুল মিয়ার দোকানে গেলে আমার মেয়ের শশুর মনজু মিয়ার ছেলে কামরুল, কাজল মিয়ার ছেলে মুস্তাকিন এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে এমন সময় ছেলের ডাক চিৎকারে ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে মো. মনজু মিয়ার ছেলে মামুন আমার মাথায় দা দিয়ে কোপ মারে তখন আমি মাটিতে পড়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার অবস্থা দেখে আমাদের এলাকার শাহ আলম মেম্বার ও আমার জাল রিনা আমাকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এখনো এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। তিনি আরও জানান, আমদের উপর হামলা করে আহত রক্তাক্ত করে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে, পত্র পত্রিকায় নিউজ করিয়ে আামাদের মান সম্মান বিনষ্ট করছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগীর স্বামী বাচ্চু মিয়া (৫০) জানান, প্রতিপক্ষ আমার প্রতিবেশী মো. মনজু মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রী মোঃ মোমেন (৩২) এর প্রায় ১১ বছর আগে তার মেয়ে পুতুল (২৮) এর বিয়ে হয়। পরে ১০ বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে মোমেন এর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। মোমেনের সাথে তার মেয়ে পুতুলের স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন করে ডিভোর্স হওয়ায় পুতুলের শশুর মো. মনজু মিয়া ও শাশুড়ী রিনা বেগম আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পরিবারের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ২৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যাহার মামলা নং- ৭।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী মো. রফিক মিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম ডাক চিৎকার চেচামেচি শোনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি চাচাতো ভাইকে কেন মারলো জিজ্ঞেস করায় রবিউল ইসলামের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে কায়েকজন মাইরধোর করছে, এসময় দেখি কাজলের হাতে রানদা নিয়ে মারতে আসছে পরে তার হাত থেকে দা ছিনিয়ে নিয়ে রবিউলকে রক্ষা করি। এর মধ্যেই জানতে পারি অঞ্জনা বেগমরে এর আগেই কোবাইয়া লাইছে, তার আশংকা জনক অবস্থা। আর প্রতিপক্ষের ঘরে হামল ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বাচ্চু মিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় নিউজ গুলো সম্পূর্ণ এদের সাজানো এবং মিথ্যা। এমনকি সেই ঘরটি তাঁর মেয়ে পুতুল ঐ বাড়িতে থাকাকালীন জতুক হিসেবে দিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. অন্তর বলেন, ঘটনার সময় আমি অফিস থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলাম, চার পাঁচ জন বড় রানদা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ওদের কেও একজন অঞ্জনা বেগমকে মাথায় কোপ দিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে রামদী ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ডর স্থানীয় মেম্বার মো: শাহ আলম জানান, এ বিষয়টা আমি অবগত আছি। এটা খুব ই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে সত্য ঘটনাটি প্রকাশ করুন।
১ দিন ৬ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৬ দিন ১৬ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
১৪ দিন ৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৫ দিন ৬ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১৬ দিন ৭ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২৩ দিন ৭ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
২৭ দিন ১৫ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৩০ দিন ১৪ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে