ঘাটাইলে রাত হলেই চলে মাটি খেকোদের তান্ডব আদমদীঘিতে পোল্ট্রি ফার্মের ১হাজার মুরগীর বাচ্চা পদদলিত করে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা আদমদীঘিতে জামায়াত নেতাসহ তিনজনকে মারপিট করে দুই মোটরসাইকেল মোবাইল ফোন ছিনতাই দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাড়াহুড়ো কোনো কাজ ভাল লাগে না লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত তামিম চিরনিদ্রায় শায়িত। কচুয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা সার্ভেয়ারের পরিদর্শন নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় চিলমারীতে "কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের" দিনব্যাপী, হাতে-কলমে শিক্ষা সফর শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ঝিনাইগাতীতে কারিতাসের আয়োজনে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ একনেকে ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে এসপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন গ্রহণযোগ্য নয় ডোমারে ইউএনও'র যোগদান ও বিদায় সংবর্ধনা ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রদল কতৃক এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ ১৭ বছর পর মোংলায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন নির্বাচন রাজবাড়ী বিআরটিএতে দুদকের অভিযান: চার দালাল আটক, টাকা উদ্ধার লাখাই উঠেছে তালের শাঁস,প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বিধি নিয়ন্ত্রণ জরুরি


◾নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার: বর্তমান প্রেক্ষাপটের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বিষয় হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এইসব যোগাযোগ মাধ্যমের সকল প্রক্রিয়াই সকলস্তরের মানুষের মাঝে এমনভাবে চেপে বসেছে যেন একদিনও একে বাইরে রেখে বেঁচে থাকা সম্ভব না। প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে তার সাথে মানুষের চিন্তা চেতনা পরিবর্তন হচ্ছে এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এইসব সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারের রয়েছে বিভিন্ন এ্যাপস। এই এ্যাপস গুলোর নাম এতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে যে তা একেবারে আমাদের হৃদয়ের সাথে মিশে গেছে। এসব এ্যাপসের মাধ্যমে আমরা সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করে আসছি। বিভিন্ন রকমের কার্য সম্পাদনের জন্য এই সব যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তবে এর ব্যবহারের ধরণ যা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে প্রতিনিয়ত। প্রত্যেকটি জিনিষের ভালো মন্দ দুটো দিক থাকতে পারে ।


মূলত এর ব্যবহারের উপর নির্ভর করে এর ভালো মন্দ দিক। সম্প্রতি এর ব্যবহার যে হারে বাড়ছে তা কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের সেটা ভাববার সময় হয়েছে। ভাবনা যদি সঠিক সময়ে জন্ম না নেয় তাহলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ এ কথা বলা চলে। আমাদের সমাজের মানুষ এতটা হুজুগে কাজ করে যে কাজ করার আগে সামান্যটুকু ভাবনাও থাকে মনে। যবু সমাজ যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে কিন্তু সেই যুব সমাজই যখন হয়ে যাচ্ছে অস্থির প্রবণ সেখানে তাদের কাছে ভালো কিছু চাওয়াটা অস্বাভাবিক হবে বলেই মনে হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে পরিচিত শব্দ ফেসবুক। একবারে বলা চলে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে নামটি অত্যন্ত পরিচিত। কিছু কিছু মানুষের কাছে কিছুটা বিরিক্তকর হলেও যুব সমাজের কাছে তা অ্যতন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবেই পরিচিত হয়ে ওঠেছে। এর ব্যবহার দিনদিন এতই বাড়ছে যে এর ব্যবহার ছাড়া যেন সময় কাটানো কল্পনা করা সম্ভব না।


একসময় বিদ্যালয়ের মাঠ যখন বিকেলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকতো খেলোয়ারদের নিয়ে এখন সে চিত্র আর লক্ষ্য করা যায় না। মাঠ আছে খেলোয়ার নেই। মাঝে মাঝে বিকেলে মাঠের উপর বসে থেকে দলবেঁধে চলে ফেসবুক দেখা। শুধু ফেসবুক দেখার মাধ্যইে সীমাবদ্ধ নয় যুব সমাজ। এইসব এ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের অপকর্মে জড়িয়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। সরে যাচ্ছে লেখাপড়ার টেবিল থেকে। শ্রম মেধা ব্যবহার না করে হয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর। বই পড়া শব্দটি এখন নির্বাসিত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে এমনকি দূরে চলে যাওয়া মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপতি হয়েছে পুনরায় এটি একটি খুব ভালো দিক। কম খরচে সবসময় আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর রাখা সহজসাধ্য হয়েছে। মোবাইল ফোনে কথা হলেও সরাসরি ছবি দেখার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এ্যাপস এর মাধ্যমে। যারা ফলে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হচ্ছে আরো বেশি। নিঃসন্দেহে এ বিষয়টি যথেষ্ট আনন্দ দেয়। তাই এ কথা বলা চলে যে এইসব সামাজিক যোগাযোগের ফলে কম খরচে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু এসব জায়গা থেকে আমাদের গ্রহণের জায়গায় যদি মন্দ দিকটিই প্রাধান্য পায় তাহলে জটিলতা বাড়ে। সম্প্রতি তাই ঘটছে আমাদের দেশে তা না মেনে উপায় নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন তথ্য অতি দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে সব জায়গায়। যার ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সামাজিক বিশৃংখলা। সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেকে কেন্দ্র করে সমাজের ভালো কাজের জন্য অনেক গ্রুপ তৈরি হয়েছে যা আমাদের আশার বাণী শোনায়।


এ থেকে সমাজের অনেক ভালো ভালো কাজের সূত্রপাত হচ্ছে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের মাঝে জেগে উঠছে মানবতা। মানুষ হচ্ছে সামাজিক। একজনের সহায়তায় অন্য জন বাড়াচ্ছে সহায়তার হাত এ থেকে আগামী প্রজন্ম আরো উৎসাহিত হচ্ছে। তৈরি হচ্চে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। আবার অন্যদিকে এইসব যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণ সমাজের মাঝে প্রতারণা করার নেশা জেগে বসেছে। বিশেষ করে তরুণ তরুণীদের মাঝে অসামাজিক কার্যকলাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জন্য তৈরি হচ্ছে পারিবারিক বিশৃংঙ্খলা। এছাড়াও বিশেষ সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন অপকর্মের জন্য ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে তৈরি করছে অপরাধের রাজত্ব। এর মূল কারন হলো অতিমাত্রায় এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার। একটা সময় যখন তরুণ প্রজন্ম বিভিন্ন খেলাধূলা কিংবা সামাজিক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকতো তখনকার সময়ে এত অপরাধ প্রবণতা লক্ষ্য করা যেত না। যার ফলে পারিবারিক শক্তি ও সামাজিক শক্তিটা অনেক বেশি থাকতো। সরকার এই বিষয়টা নিয়ে সময় না দিলেও যারা সমাজকে নিয়ে চিন্তা করে তাদের ভাবনায় এ বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। এটা যে কেবল নতুন প্রজন্মের সাথী এ হিসেবে শুধু চিন্তার বিষয় তা নয় এটা সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে বিধায় কপালে ভাঁজ পড়েছে বেশি। কিছু দিন পূর্বেও সামাজিক কারনে মেয়েদের মাঝে এ প্রবণতা কম থাকলেও বর্তমানে পাল্লা দিয়ে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার।


শিক্ষা ব্যবস্থায় এর প্রভাব যে কতটা কেবল মাত্র সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করতে পারে শিক্ষকরা। ক্লাস কিংবা পরীক্ষার হলেও মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও তা ব্যবহার রোধ করা যাচ্ছে না। শিক্ষকরা চাকুরি যাওয়া কিংবা পাল্টা মার খাওয়া কিংবা অপমাণিত হওয়ার ভয়ে শাসন থেকেও বিরত রয়েছেন। তারচেয়ে আরো কঠিন অবস্থানে রয়েছেন পরিবার। ঠিক সময়ে সন্তানের জীবনের কথা চিন্তা এইসব মোবাাইল ব্যবহার থেকেও বাঁধা দিতে পারছেন না। এ যেন এক কঠিন বাস্তবতায় পরিবার এবং শিক্ষক সমাজ। যে যার মতো তার ইচ্ছে হচ্ছে ব্যবহার করছে। রাষ্ট্রীয় কোন নিয়ম নেই এইসব ব্যবহারের বেলায়। নেই কোন বয়সের বাধ্যবাধকতা এবং এ্যাপস ব্যবহারের বিধান। এইসব বিষয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সহজেই এসব ব্যবহারের ফলে কম বয়সের ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে ফলে ব্যক্তি পরিবার সমাজ রাষ্ট্র বিপরীত দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে এর লাগাম টানতে না পারলে চরম খেসারত দিতে হবে জাতিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেহেতু বন্ধ করা সম্ভব না তাই সরকারের পক্ষ থেকে এর নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রণের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বর্তমান প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে পারলে এইসব অপকর্ম থেকে কিছুটা হলেও সরে আসবে তরুণ সমাজ।



লেখক : নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার

শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক


আরও খবর

ঈশ্বরগঞ্জে ১৫ কেজি গাঁজাসহ আটক ২

২ দিন ২৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে


ঈশ্বরগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৭ দিন ১৬ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে




অপহরণ মামলার দুই ঘন্টা পর আসামী গ্রেফতার

১২ দিন ১৯ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে