আদমদীঘিতে বিএনপির সদস্য নবায়ন-সংগ্রহ ও ৩১ দফা বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা আদমদীঘিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের দামোদর ব্রত ও প্রদীপ প্রজ্জলনের সমাপ্তি আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামে বিএনপির কর্মী সমাবেশে অনুষ্ঠিত প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে, অতঃপর অপহরণ মামলায় কারাগারে নববিবাহিত বর বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু লোহাগড়ায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে ভ্যান মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের হাতে হরিণের মাংস ও ফাঁদসহ শিকারি আটক বরিশালে হেযবুত তাওহীদের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ভারতে পাচারের আগে সীমান্তে নারী উদ্ধার চাম্পাফুলে কিশোরীর বিয়েতে অভিযান, দুই পক্ষের জরিমানা অরিয়ন হাসপাতালের সাথে হাসি মুখ ইয়ুথ এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন-এর কর্পোরেট সেবা চুক্তি সম্পন্ন। শ্যামনগরে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মনিরুজ্জামান মনিরের গণ সংযোগ শেরপুরে আস্থা প্রকল্পের উদ্যোগে গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফুলহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে বিএনপি প্যানেলের পূর্ণ জয় মৌলভীবাজার জেলা যুব মজলিসের শাখা দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত আনুলিয়ায় কাজী আলাউদ্দীনের নির্বাচনী প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ দুধকুমার নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ : গাছের গুড়ির সাথে ঘের বিচ্ছিন্ন হয়ে সর্বশান্ত মৎস্য উদ্যোক্তা সিদ্দিক নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরার উৎসবে যোগ দিতে প্রস্তুত উপকূলের জেলেরা আশাশুনিতে বিচারাধীন সম্পত্তির গাছ কাটার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ‎

গোদাগাড়ীতে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনকারী কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য গ্রেপ্তার

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ইট-ভাটার মধ্যে পাষবিক নির্যাতন ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করার ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর ১ নং আসামী ও গোদাগাড়ী মডেল থানার তালিকাভুক্ত মাদক সম্রাট মেহেদী পলাশ (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার  দুপুর দেড়টার সময়  উপজেলার লস্করহাটি এলাকায় একটি ক্লাব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার দুদিন পর শনিবার দুপুরে কিশোর গ্যাংয়ের একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গত (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে সামিউল আলমকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্জন ইট-ভাটায় নির্যাতন করা হলে সেদিন রাতেই গোদাগাড়ী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার মা হালিমা বেগম।

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সামিউল আলমকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হলেও পুলিশ এসব কিশোর গ্যাংদের ধরতে গড়িমসি শুরু করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামাল উদ্দিন।

গত (৮ সেপ্টেম্বর) গোদাগাড়ী মডেল থানায় রাত সোয়া ৯ টার দিকে ৬ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে মামলা রেকর্ড করে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম।

আসামীরা হলো উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার মেহেদী পলাশ (২২)। মহিশালবাড়ী আলীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ও গোদাগাড়ী আ.ফ.জি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার শিক্ষক, বণিক সমিতির সভাপতি শামসুজ্জোহা বাবুর ছোট ভাই কিশোর গ্যাং লিডার ও মাদক ব্যবসায়ী রবিউল আওয়াল, মাদক ব্যবসায়ী মুক্তি খাতুনের ছেলে শাহরিয়ার জয় (২৪) , গড়ের মাঠের মাদক সম্রাট আব্দুল মালেকের দুই ছেলে জাহিদ হোসেন (১৮) ও তারেক হাসান (২০) এবং লস্করহাটি এলাকার সাগর (২২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ী পৌর এলাকাতেই রয়েছে ৫-৬ টি কিশোর গ্যাং। এদের মধ্যে আব্দুল আওয়াল ও মেহেদী পলাশের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের রয়েছে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী। আওয়াল, পলাশ, মেহেদী দাপটের সাথে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগের শুরে বলেন, গোদাগাড়ীতে কিশোর গ্যংরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ নিরব ভূমিকা থাকায় এরা পার পেয়ে যাচ্ছে তারা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জামালের কাছে জানতে চাওয়া হয় কি ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থী সামিউল ,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামান্য কিছু মারধর হয়েছে তেমন জটিল কিছু নয়।

অথচ নির্যাতনের শিকার হওয়া সামিউলরে পুরো শরীরে মারধরের কারনে রক্ত জমাট বাঁধা, কালশিরা পড়া, পায়ে ধারালো অন্ত্র্র দিয়ে আঘাতের ফলে গর্ত হয়ে রক্ত জমাট বাঁধা, পায়ের তালুতে কালিশিরার চিহৃ থাকা সহ নানান আলামত দেখা গেছে। এছাড়াও সামিউলের মাথায় প্রচন্ড আঘাতের কারণে অতিরিক্ত ব্যাথা হওয়ায় ও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসপি পরীক্ষা শুরু হবে এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সামিউল নিজেই। এই ঘটনায় গোদাগাড়ী ৩১ শষ্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য গোদাগাড়ী হাসপাতালের চিকিৎসকরা গত ৮ সেপ্টেম্বর রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে সামিউলকে।

সামিউলরের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ছেলেকে যে ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এমন ঘটনা যেনো গোদাগাড়ীতে আর না ঘঠে। এমন নির্যাতন মধ্যযুগীয় কায়দায় করা হয়েছে। এই নির্যাতনের সাথে জড়িতরা সবাই এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এরা সংঘবন্ধ হয়ে বহুদিন থেকে নানান অপকর্ম করে বেড়ায়।

এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও প্রথমে থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতো পারতো। তবে তা না করে পুলিশের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে । এই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে পুলিশ কিছুটা তৎপর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর  আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যহত আছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার ১ নং আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের ধরেতে অভিযান অব্যহত আছে।  তাদের পেছনে সোর্স লাগানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই আসামীরা কেউ বাড়ীতে না থাকায় গ্রেপ্তার করতে কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান।

Tag
আরও খবর