শতাব্দী জুড়ে তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা বিস্তারে বেতার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের উদ্যোগে বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপিত হয়েছে ।
দিবসটি উপলক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র র্যালি, আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নানা কর্মসূচির আয়োজন করেন।
সকালে নগরীর আগ্রাবাদ বেতার ভবনে সমানে বেলুন উড়িয়ে বেতার দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম ঘোষণা করেন। পরে বেতার ভবন থেকে র্যালি শুরু হয়ে সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বেতার কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই
র্যালিতে চট্টগ্রাম বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিল্পী ও কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মো. মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা ছোট বেলায় বেতারের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার অপেক্ষায় থাকতাম। একটা রেডিও মানে অনেক মানুষের সমাগম। যখন টেলিভিশন মোবাইল ইন্টারনেট ছিলনা সেসময় বেতারই ছিল বহিঃর্বিশ্বে যোগাযোগের একমাত্র উপায়। আমাদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখান থেকেই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা আসে এবং মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই এখন আধুনিক হওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। এখন আর পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে শুরু হয়েছে কমিউনিটি রেডিও। এজন্য আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বেতারকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তুলতে হবে। মানুষ গাড়িতে করে কোথাও যাওয়ার সময়, আজকের কী কী অনুষ্ঠান আছে বা বিবিসির খবর শোনার জন্য এখনো রেডিও ব্যবহার করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষ এখনো বেতার বার্তার উপর বেশি নির্ভর করে। সমুদ্রে অবস্থানরত সকল নৌযান বেতার বার্তা শুনেই নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়। তিনি বলেন, বেতারের অনেক বয়স হয়েছে, তবে আবেদন ফুরায়নি। তাই বেতার ছিল, আছে এবং থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়।