গাড়িতে হামলা, আহত হাসনাত ঝিনাইগাতীতে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় নকলের দায়ে ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার পদ্মায় জেলের জালে আটক দুই কাতল ৯৫ হাজার টাকায় বিক্রি দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে হেরোইনসহ ইউপি সদস্য গ্রেফতার । রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার কোনো চুক্তি করেনি: ড. খলিলুর রহমান এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ ভিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সারিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন নিরাপত্তা নিশ্চিতের পরই মিয়ানমারে ফিরবে রোহিঙ্গারা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ডোমারে স্কাউট ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী আটক;উদ্ধার ১০ পিছ ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দিবে সরকার কিশোরগঞ্জে দেশীয় অস্ত্র্র ও বুলেটসহ ভুয়া ছাত্র সমন্বয়ক গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন "মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা সভা লালপুরে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় প্রধান আসামী মনি সরদার গ্রেপ্তার কুড়িগ্রামের মইনুলের ভর্তির ব্যবস্থা করলো জবি ছাত্র শিবির পাগলা-বীরগাঁও রাস্তায় ভাঙন, চরম ভোগান্তির আশঙ্কায় জনসাধারণ নাগেশ্বরীতে নারীর পর্দা নিয়ে কটুক্তি সহকারী অধ্যাপক লাকীর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

ঝিনাইগাতীর দুধনই গ্রামে বিদ্যালয় আছে, রাস্তা নেই ॥ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের দুধনই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অবকাঠামো সবই আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। জমির আল ও অন্যের বাড়ীর উপর দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারীকরণ হয় ২০১৩ সালে। এখানে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১০০ জন। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক রয়েছেন চারজন। জমিদাতা বিদ্যালয়ের জন্য জমি দিলেও পরবর্তী সময়ে এর আশপাশের জমির মালিকেরা তাঁদের জায়গা না ছাড়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার নির্দিষ্ট কোনো রাস্তা হয়নি। ৮ আগস্ট সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের চারদিকেই আবাদি জমি।



বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩০০ গজ পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে দুটি রাস্তা আছে। সেই রাস্তা থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার কোনো পথ নেই।  বিদ্যালয় ছুটির সময় দেখা গেল, শিক্ষার্থীরা দুই দিকের খেতের আল ধরে সারিবদ্ধভাবে বাড়ি ফিরছে। এ সময় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, এভাবে জমির মাঝ দিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। খেতের মধ্যে পড়ে যেতেও হয়। তখন খেতের মালিক রাগ করে। এছাড়াও শিক্ষার্থী আরো বলে, ‘শীতে আইল ধরিয়া গেইলেও বর্ষায় স্কুলে যাওয়া যায় না। জমিতে পানি ওঠে।’ বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুরুল হক বলেন, একটি সরকারী বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তা থাকবে না, তা কেমন করে হয়। এ বিষয়ে সরকারীভাবেই উদ্যোগ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে আসতে খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। যেকোনো মালামাল নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাস্তা না থাকায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে না; বরং দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসায় কষ্ট ও দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক নূরে আলম মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আট মাস আগে রাস্তা করার জন্য তৎকালীন গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু বরাবর আবেদন দিয়েছি।’ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম পলাশ জানান, আমার পূর্বের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমাকে বিষয়টি গত এক সপ্তাহ আগে অবগত করেছেন। রাস্তা করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ রাস্তা হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

Tag
আরও খবর