নিষিদ্ধ হলো ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ নাগরপুরে বিবাহিত নারীর অশ্লীল ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নন্দীগ্রামে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মোংলায় মশাল মিছিল প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ প্রদান দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে জামায়াত ছাত্রদলের আহ্বায়ককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন শিবিরের সভাপতি বাগআঁচড়া বেলতলা আম বাজারে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় চাঁদাবাজি, থানায় অভিযোগ সঙ্গীতশিল্পী মুস্তফা জামান আব্বাসী আর নেই যৌথবাহিনীর অভিযানে পুশকৃত চিংড়ী আটক, ছয়জনকে জরিমানা স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না পীরগাছায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা করলেন জাপা নেতা!! স্বাক্ষী অপর দুই বিএনপি নেতা; সমালোচনার ঝড় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ট্রাম্প লালপুরে পর্নোগ্রাফি অপরাধে শফিউদৌলা গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে ‘লীগ ধর, জেলে ভর, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিও করার দাবিতে লালপুরে মতবিনিময় সভা সাধারণ মানুষের মাঝে ৫ শতাধিক বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করলেন আহসানুল কবির বাবু পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন যৌথ বাহিনীর অভিযানে চাঁদাবাজ গ্রেফতার শ্যামনগরে তিন দফা দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল

কেচোঁ সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কচুয়ার শহীদুল্লাহ্

চাঁদপুরের কচুয়ায় কেঁচো সার (ভার্মিং কম্পোস্ট) উৎপাদন করে স্বাবলম্বী কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী (৬৬)। কেঁচো সার উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন সৌদি আরবের খেজুরের বাগানসহ সমন্বিত কৃষি খামার। কেঁচো সার উৎপাদনে এখন মাসে আয় করেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।


কচুয়া পৌরসভার কোয়া চাঁদপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী বাড়ির উঠানে দোচালা টিনের ঘরের নিচে স্থাপন করা হয় রিং স্ল্যাব। কৃষি অফিস থেকে প্রথমে ৪টি সিমেন্টের তৈরি রিং সø্যাব দিলেও পর্যায়ক্রমে কৃষক ১২২টি রিং স্ল্যাব তৈরি করে কেচোঁ সার উৎপাদন করেন। পরবর্তীতে হাউজের মাধ্যমে বর্তমানে কেচোঁ সার উৎপাদন করছেন ।



এসব রিং সø্যাবে তিন বছর ধরে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন তিনি। রিং সø্যাবে গোবর, মুরগির বিষ্ঠা ও কলাগাছ টুকরা টুকরা করে কেটে মিশ্রণ করা হয়। সব রিং সø্যাবে ছেড়ে দেয়া হয় কেঁচো। তারপর চটের বস্তা দিয়ে রিং স্যাবে ঢেকে রাখা হয়।


জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে পাওয়া ৪টি রিং এবং বাকি রিংগুলো নির্জ খরচে ও কেঁচো দিয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি শুরু করেন। প্রতি কেজি সার ২০ টাকা ও কেচোঁ ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এছাড়া কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী কেচোঁ সার উৎপাদনের পাশাপাশি মুরগীর ফার্ম ও বস্তায় আদা চাষ করেন। এদিকে কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী উৎপাদিত কেঁচো সার স্থানীয় কৃষকদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।



স্থানীয় কৃষকরা জানান, শহীদুল্লাহ মুন্সীর কেঁচো সার ফসলে ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছি। পাশাপাশি তার সমন্বিত কৃষি খামার আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে যে হারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে, তাতে ধানের চাষ করে লাভ হয় না। তাই রাসায়ানিক সারের পরিবর্তে এখন কেচোঁ সার ব্যবহার করছি।


কেচোঁ সার উদ্যোক্তা শহীদুল্লাহ মুন্সী জানান, প্রথম দিকে কিছুটা কষ্ট হলেও এখন আর পিছনে তাকাতে হয়নি। কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শে বাড়িতে আমি কেচোঁ সার উৎপাদন করি। কেচোঁ সার উৎপাদনে আমার স্ত্রী আমাকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে থাকেন। প্রতি মাসে যে টাকা আয় তাতে আমার সংসার চলে যায়। কেচোঁ সার উৎপাদন করে এখন আমি সাবলম্বী।



উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার ফসল উৎপাদনে খুবই উপযোগী একটি সার। এছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এ সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে এ সারের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। সেই সঙ্গে উৎকৃষ্ট মানের ভার্মিং কম্পোস্ট সার প্রস্তুতে খামারিদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে আসছি। স্থানীয় কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সীর এরই মধ্যে ভার্মি কম্পোস্ট সার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে যারা বেকার ও হতাশ যুবকদের জন্য প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্বাবলম্বী প্রবীণ কৃষক শহীদুল্লাহ মুন্সী।

আরও খবর