মেয়ের পড়াশোনার জন্য জমা রাখা টাকা বাবা-মা কাউকে না জানিয়ে ছেলের বিয়েতে খরচ করে ফেলেছেন। এখন ফেরত চাইলেও দিচ্ছেন না। এমন অভিযোগে বাবা ও মায়ের নামে মামলা করেছেন মেয়ে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ওই নারী নামপরিচয় গোপন রেখে রেডিটে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, তাদের সংস্কৃতিতে মেয়েদের পড়াশোনাকে তেমন দাম দেওয়া হয় না। কিন্তু এই ধারণার বিরুদ্ধে ছিলেন তার এক দূরসম্পর্কের নানি/দাদি। তিনি নিজে লন্ডনে পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়েছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন।
ওই নানি/দাদি মারা যাওয়ার আগে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে সব মেয়ের পড়াশোনার জন্য ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে মোটা অংকের টাকা জমা রাখেন। অভিযোগকারী নারী ও তার বোনের নামেও টাকা জমা ছিল।
কিন্তু অভিযোগকারীর দাবি, তার বাবা-মা কোনোভাবে সেই অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস নিয়ে বেশিরভাগ টাকা তুলে ফেলেন এবং তা ছেলের বিয়েতে খরচ করেন।
বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপনই ছিল। তবে স্নাতক শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য সেই টাকার খোঁজ নিতে গিয়ে বড় ধাক্কা খান অভিযোগকারী। তিনি দেখেন, অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৩ হাজার ডলার রয়েছে। তবে টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি তিনি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঠিকই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
পরে যখন জানতে পারেন, তার পড়াশোনার জন্য জমা টাকা বাবা-মা ভাইয়ের বিয়েতে খরচ করে ফেলেছেন, তাদের ওপর মারাত্মক ক্ষুব্ধ হন তিনি। তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ কারণে টাকা ফিরে পেতে বাবা-মায়ের নামে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
তবে বিষয়টি নিয়ে তার বোনের খুব একটা মাথাব্যথা নেই। কারণ হাইস্কুলে থাকতেই তার বিয়ে হয়ে গেছে এবং তার কলেজে ভর্তি হওয়ার কোনো আগ্রহ নেই।
মামলা করা নারী জানিয়েছেন, এখন পুরো পরিবার তার বিরুদ্ধে। কারণ তিনি ঘরের কথা বাইরে জানিয়েছেন। এটি গোটা পরিবারকে সমাজের কাছে ছোট করেছে বলে মনে করছেন তারা।
শেষের দিকে ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ দেওয়ার শর্তে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তার ভাই। তবে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে লিখিত চুক্তি হলেই কেবল মামলা তুলে নেওয়া হবে।
৮ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
১ দিন ২২ মিনিট আগে
৪ দিন ৯ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৬ দিন ২০ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৭ দিন ১৯ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৮ দিন ৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৯ দিন ১ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৯ দিন ৯ ঘন্টা ০ মিনিট আগে