দিনাজপুর শহরে বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সকালে খাদ্য অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক পদে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এক পরীক্ষার্থীক ডিভাইসসহ আটক করার পর এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মো. মামুন (৩৫) ও হর সুন্দর রায় ওরফে সবুজ (৩৮), এবং পরীক্ষার্থী কৃষ্ণপদ।দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, পরীক্ষায় হাতেনাতে ধরা পড়া কৃষ্ণপদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রথমে সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। সবুজ ওই পরীক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিলেন। পরে তাঁর সহযোগী মামুনকে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার ‘স্বপ্নচূড়া’ ছাত্রাবাস থেকে আটক করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একাধিক ডিভাইস, মোবাইল ফোন, ২৪টি প্রবেশপত্র ও বিভিন্ন স্ট্যাম্প।
পুলিশ জানায়, মো. মামুন আগে থেকেই প্রশ্নফাঁস ও পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি ‘স্বপ্নচূড়া’ ছাত্রাবাস পরিচালনা শুরু করেন এবং ২০১৮ সালে ডাক বিভাগের এক কর্মকর্তার সহায়তায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি নেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই জালিয়াতি চক্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
চক্রটি গত কয়েক বছরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, স্বাস্থ্য সহকারী, মাধ্যমিক নিবন্ধনসহ বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে
নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত আছেন। তাঁদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে
৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে