লাখাইয়ের হাওরের বোরো জমিতে কচুরিফ্যানা আটক, আতংকে শত শত কৃষক।
লাখাইয়ের হাওরের বোরো জমিতে কচুরিফ্যানা আটক, আতংকে শত শত কৃষক।
লাখাই উপজেলার সুতাং নদীর পার্শ্ববর্তী হাওরের কয়েকটি বিলের বোরোধান ক্ষেতে ঘন কচুরিফ্যানায় ঢাকা পড়েছে। এতে অন্তত কয়েক হাজার একর জমির বোরো ধান চাষ করতে ক্লান্তবোধ করছেন কৃষকেরা। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা কৃষি বিভাগের কাছে কচুরিফ্যানা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কৃষি অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার লাখাই উপজেলায় ১১ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করার জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। চার-পাঁছ সপ্তাহ পর বোরো বীজতলার কাজ শুরুহবে। বর্ষার শেষ এক–দেড় মাসের মাথায় বৃষ্টির পানি বিলে জমতে শুরু করে, এ সময় কচুরিপানাও ভেসে আসে। ধীরে ধীরে পুরো বিলে ছেয়ে যায়। উপজেলার বিভিন্ন বিলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কচুরিফ্যানায় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
পুর্ববুল্লা গ্রামের কৃষক আজদু মিয়া বলেন,আমার ১৫কের জমিতে বোরো ধান আবাদ করার ইচ্ছা ।কিন্তু সব জমিতে কচুরিফ্যানা আটকে আছে,এদিকে কামলাও পাচ্ছি না কচুরিপানা সব ঘেরাও করে জমিতে আছে। ঘন কচুরিপানায় জমির কাছে যাওয়ারই উপায় নাই।’
সাতবিলা হাওরের কৃষকেরা বলেন, এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টি অসময়ে হওয়ার কারণে এই কচুরিফ্যানা আটকে যায়, আমরা কচুরিপানার কারণে ঠিকভাবে বোরো ধান রোপন করতে পারবো কি না জানিনা। তবে এবারের মতো এত কচুরিপানা আর কখনো দেখা যায়নি। বর্ষা শেষে জমিতে কচুরিফ্যানা পড়ে থাকায় পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। জমিতে পড়ে থাকা কচুরিফ্যানা অপসারণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে অনেক কৃষকই এসব জমি অনাবাদি অবস্থায় ফেলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । অথচ একসময় এসব জমিতে প্রচুর ফসল ফলত।
সচেতন মহলের মতে , কচুরিপানার কারণে কিছু এলাকার ক্ষতি হতে পারে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সহায়তা নিয়ে কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কচুরিপানা পুরোপুরি নির্মূলের উদ্যোগ নিতে হবে।